Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

আমের-জাতসমূহের-পরিপক্বতা-ও-সংগ্রহের-সময়সূচি

আমের জাতসমূহের পরিপক্বতা 
ও সংগ্রহের সময়সূচি
ড. মোঃ শরফ উদ্দিন১ ড. মোঃ উবায়দুল্লাহ কায়ছার২
গুণগত মানসম্পন্ন উৎপাদিত ফল হতে প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে উপযুক্ত পরিপক্বতা ও সংগ্রহের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন আমের জাত হতে প্রকৃত স্বাদ ও পুষ্টি পেতে হলে সঠিক পরিপক্বতায় আম সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। আম একটি ক্লাইমেকটেরিক ফল। সুতরাং সংগ্রহের পর ঘরে রেখে পাকালে স্বাদ ও মিষ্টতা বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৪-২৫টি জাত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয়। এর মধ্যে ৮-৯টি জাত রপ্তানি হচ্ছে। প্রত্যেকটি জাতের রয়েছে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আকার, রঙ, স্বাদ ও ঘ্রাণ। এদেশে জন্মানো জাতগুলো আগাম, মধ্যম ও নাবী প্রকৃতির। তবে সম্প্রতি বারোমাসি যেমন বারি আম-১১ এবং কাটিমন আমের চাষ বাণিজ্যিভাবে শুরু হয়েছে। আমের স্বাদ মূলত নির্ভর করে আমের পরিপক্বতা ও সংগ্রহের উপর। ফলে প্রত্যেক জাতের আসল স্বাদ পেতে হলে উপযুক্ত সময়ে সংগ্রহ করা জরুরি। 
বাংলাদেশে ২১ ডিগ্রি হতে ২৬ ডিগ্রি অক্ষাংশে আমের চাষ হয় এবং প্রতি ডিগ্রি অক্ষাংশ বৃদ্ধির জন্য আমের সংগ্রহ গড়ে ২.৫ দিন পিছিয়ে যায় বা দেরীতে পাকে। আমের ফল ধারণের পর আবহাওয়াগত বিষয়টিও আমের পরিপক্বতাকে প্রভাবিত করে। দেশিয় আমের জাতগুলো পরিপক্ব হলে রঙের তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না। তবে যে কোন জাতের ব্যাগিংকৃত আম হলুদ রঙের হয়ে থাকে। সুতরাং শুধুমাত্র রঙ দেখে পরিপক্বতা নির্ধারণ করা সঠিক নয়। আমের ফল ধারণ হতে পরিপক্ব হতে একটি নির্দিষ্ট সময় লাগে এবং সেটি অনুসরণ করে পরিপক্বতা নির্ধারণ করলে তাকে অধ্বংসাত্মক (হড়হ-ফবংঃৎঁপঃরাব) পদ্ধতি বলে। তবে আম কেটে পরিপক্বতা নির্ধারণকে(destructive) পদ্ধতি বলে। আমের সঠিক পরিপক্বতা নির্ধারণে সকল বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নি¤েœ বিভিন্ন জাতের পরিপক্বতা ও সংগ্রহ সময়সূচি সারণি দ্রষ্টব্য।
এখানে উল্লেখ্য যে, উল্লিখিত জাতসমূহে ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে সংরক্ষণকাল সাধারণ আমের চেয়ে ৩-৪ দিন বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে বা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি হলে আমের সংগ্রহ ২-৪ দিন এগিয়ে আসতে পারে।
ফল বিজ্ঞানীবৃন্দের আশাবাদ, ক্রেতা সাধারণের প্রত্যেক জাতের পরিপক্বতা ও সংগ্রহ বিষয়ে আগাম ধারণা থাকলে বাজার হতে আম কিনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে এবং খাওয়ার সময় প্রত্যেক জাতের প্রকৃত স্বাদ পাবেন। এ তথ্যগুলো আম রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রপ্তানি পরিকল্পনা তৈরি করতে কাজে লাগাতে পারবেন।  

লেখক : ১ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বারি, গাজীপুর, মোবাইল : ০১৭১২১৫৭৯৮৯, ই-মেইল:sorofu@yahoo.com