পুষ্টিমানে ভরপুর লাভজনক ফসল চিচিঙ্গা
কৃষিবিদ মনিরুল হক রোমেল
চিচিঙ্গা বাংলাদেশের সকলের নিকট প্রিয় অন্যতম প্রধান গ্রীষ্মকালীন সবজি। এর অনেক ঔষধী গুণ আছে। এটা মূলত কুমড়াগোত্রীয় সবজি। চিচিংগা তরকারি, ভাজি ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় রান্না করে খাওয়া হয়। চিচিংগার ১০০ ভাগ ভক্ষণযোগ্য অংশে ৯৫ ভাগ পানি, ৩.২-৩.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৪-০.৭ গ্রাম আমিষ, ৩৫-৪০ মিগ্রা. ক্যালসিয়াম, ০.৫-০.৭ মিগ্রা. লৌহ এবং ৫-৮ মিগ্রা. খাদ্যপ্রাণ সি আছে।
আমাদের অপরিপক্ব দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বেশকিছু উপকারী সবজি একদমই পাত্তা পায় না। আর এমনই এক সবজি হল চিচিঙ্গা। তবে এই সবজিটির গুণাগুণ বলে শেষ করা যায় না। পুষ্টিবিদদের কথায়, চিচিঙ্গাতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজসহ একাধিক জরুরি খনিজ এবং ভিটামিন। তাই নিয়মিত এই সবজি খেলে যে বহু রোগব্যধি দূরে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
চিচিঙ্গা হলো একটি লো ক্যালোরি সবজি র্অথাৎ এই সবজি পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এছাড়া চিচিঙ্গাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার। আর এই উপাদান কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজে সিদ্ধহস্ত। আসলে এই ফাইবার অন্ত্রে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত থাকে ফলে সহজে ক্ষুধা পায় না। আর ক্ষুধা না পেলে স্বভাবতই কম খাওয়া হয়। আর তাতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। এক্ষেত্রে ফাইবার, সবজি যত বেশি খাওয়া যাবে ততই কিন্তু উপকার পাওয়া যাবে। চিচিঙ্গার তরকারি রোজ মেনুতে রাখা গেলে এতে ওজনও কমবে আর ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
চিচিঙ্গা উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি
জলবায়ু ও মাটি এদেশে চিচিঙ্গা প্রধানত খরিফ মৌসুমেই চাষ হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে যে কোন সময় চিচিঙ্গার বীজ বোনা যেতে পারে।
উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় চিচিঙ্গা ভাল জন্মে। শীতের দুই তিন মাস বাদ দিলে বাংলাদেশে বছরের যেকোন সময় চিচিঙ্গা জন্মানো যায়। সব রকম মাটিতে চিচিঙ্গার চাষ করা যায় তবে জৈবসার সমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। বারি চিচিঙ্গা-১, ঝুম লং, সাদা সাভারী, তিস্তা, তুরাগ, সুরমা, রূপসা, সুপ্রিম, ধবল, আশা, মধুমতি, ট্রনিক, পদ্ম, চিত্রা, ঢাকা গ্রীন, ইনানী ইত্যাদি জাতসমূহের চাষাবাদ করা হয়। মোট জীবনকাল প্রায় পাঁচ মাস। তবে জাত ও আবহাওয়া ভেদে সময় কমবেশি হতে পারে। চিচিঙ্গার জন্য হেক্টরপ্রতি ৪-৫ কেজি (১৬-২০ গ্রাম/শতাংশ) বীজের প্রয়োজন হয়।
জমি তৈরি ও বপন পদ্ধতি
খরিফ মৌসুমে চাষ হয় বলে চিচিঙ্গার জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে পানি জমার সম্ভাবনা নেই। বসতবাড়িতে চাষ করতে হলে দু-চারটি মাদায় বীজ বুনে গাছ বেয়ে উঠতে পারে এমন ব্যবস্থা করলেই হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য প্রথমে সম্পূর্ণ জমি ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করে নিতে হয় যাতে শিকড় সহজেই ছড়াতে পারে। জমি বড় হলে নির্দিষ্ট দূরত্বে নালা কেটে লম্বায় কয়েক ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। বেডের প্রস্থ হবে ১.০মিটার এবং দু-বেডের মাঝে ৩০ সেমি নালা থাকবে। চিচিঙ্গার বীজ সরাসরি মাদায় বোনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি মাদায় কমপক্ষে ২টি বীজ বপন করতে হবে। তাছাড়া পলিব্যাগে (১০ী ১২ সেমি.) ১৫-২০ দিন বয়সের চারা উৎপাদন করে নেওয়া যেতে পারে। চিচিঙ্গার জন্য ১.৫ মিটার দূরত্বে মাদা তৈরি করতে হবে। চারা গজানোর পর একের অধিক গাছ তুলে ফেলে দিতে হবে। বীজের ত্বক শক্ত ও পুরু বিধায় বোনার পূর্বে বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে বীজ তাড়াতাড়ি অঙ্কুরিত হয়। মাদায় বীজ বুনতে বা চারা রোপণ করতে হলে অন্তত ১০ দিন আগে মাদায় নির্ধারিত সার প্রয়োগ করে তৈরি করে নিতে হবে। মাদার আয়তন হবে ৪০ী৪০ী৪০ সেমি.।
মাদায় চারা রোপণের পূর্বে সার দেয়ার পর পানি দিয়ে মাদার মাটি ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। অতঃপর মাটিতে ‘জো’ এলে ৭-১০ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা
আগাছা সবসময় পরিষ্কার করে সাথে সাথে মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে। খরা হলে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হবে। জুন-জুলাই মাস থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর আর সেচের প্রয়োজন হয় না। পানির অভাব হলে গাছের বৃদ্ধির বিভিন্ন অবস্থায় এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় চারার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়া, পরবর্তীকালে ফুল ঝরে যাওয়া, ফলের বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া ও ঝরে যাওয়া ইত্যাদি। চিচিংগার বীজ উৎপাদনের সময় খেয়াল রাখতে হবে ফল পরিপক্ব হওয়া শুরু হলে সেচ দেয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
বাউনি
বাউনি দেয়া চিচিংগার প্রধান পরিচর্যা। চারা ২০-২৫ সেমি উঁচু হতেই ১.০-১.৫ মিটার উঁচু মাচা তৈরি করতে হবে। বাউনি দিলে ফলন বেশি ও ফলের গুণগত মানও ভালো হয়। গাছের গোড়া থেকে ডালপালা বের হলে সেগুলো কেটে দিতে হয় এতে গোড়া পরিষ্কার থাকে, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উৎপাত কম হয়। জুন-জুলাই মাস থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর আর সেচের প্রয়োজন হয় না। জমির পানি নিকাশ নিশ্চিত করার জন্য বেড ও নিকাশ নালা সর্বদা পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
চারা গজানোর ৬০-৭০ দিন পর চিচিঙ্গার গাছ ফল দিতে থাকে। স্ত্রীফুলের পরাগায়নের ১০-১৩ দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। ফল আহরণ একবার শুরু হলে তা দুই আড়াই মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে চিচিঙ্গার হেক্টর প্রতি ফলন ২৫-৩০ টন (১০০-১২০ কেজি/শতাংশ) অর্থাৎ বিঘায় ফলন ৩.৩-৩.৫ টন/হে. হয়ে থাকে।
বীজ উৎপাদনে করণীয়
কৃত্রিম পরাগায়ন
বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আশপাশে অন্য জাতের চিচিংগার গাছ থাকলে নির্বাচিত গাছের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল ফোটার আগে (সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকা থেকে দুপুর ২ঃ০০ ঘটিকার মধ্যে) পেপার ব্যাগ দ্বারা বেঁধে নিতে হবে। অতঃপর ফুল ফোটার পর কৃত্রিম পরাগায়ণ করতে হবে এবং পরাগায়ণ শেষে স্ত্রী ফুলটি আবার ব্যাগিং করে রাখতে হবে। ৩-৪ দিন পর ব্যাগ খুলে ফেলা যাবে। কৃত্রিম পরাগায়ণ অবশ্যই সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যেই সমাপ্ত করতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাই
ফলের মাছি পোকা : স্ত্রী মাছি কচি ফলে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়াগুলো ফলের শাঁস খায়, ফল পচে যায় এবং অকালে ঝরে পড়ে।
প্রতিকার : পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ এবং আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। সেক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার করে পোকা ভালোভাবে দমন করা যায়। বিষটোপের জন্য থেতলানো ১০০ গ্রাম পাকা মিষ্টি কুমড়ার সাথে ০.২৫ গ্রাম সেভিন ৮৫ পাউডার মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। বিষটোপ ৩-৪ দিন পরপর পরিবর্তন করতে হয়।
পাম্পকিন বিটল : পূর্ণাঙ্গ পোকা চারা গাছের পাতায় ছিদ্র করে খায়। কীড়া গাছের গোড়ায় মাটিতে বাস করে এবং গাছের শিকড়ের ক্ষতি করে, বড় গাছ মেরে ফেলতে পারে।
প্রতিকার : আক্রান্ত গাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ পোকা হাতে ধরে মেরে ফেলা। চারা অবস্থায় ২০-২৫ দিন চারা মশারির জাল দিয়ে ঢেকে রাখা। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সেভিন/কার্বারিল-৮৫ ডব্লিউপি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। কীড়া
দমনের জন্য প্রতি গাছের গোড়ায় ২-৫ গ্রাম বাসুডিন/ডায়াজিনন-১০ জি/ডায়াজন ১০ জি/রাজদান ১০ জি/ডাইজল ১০ জি আর মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।
এপিল্যাকনা বিটল : পাতায় সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে এবং আক্রান্ত পাতাগুলো বিবর্ণের মতো দেখায়, পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে এবং গাছ পাতাশূন্য হতে পারে।
প্রতিকার : প্রতি লিটার পানিতে ২.০ গ্রাম কার্বারিল-৮৫/সেভিন ডব্লিউপি অথবা ২ মিলি সুমিথিয়ন/ফাইফানন-৫৭ ইসি/সাইফানন ৫৭ ইসি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
জাব পোকা : জাব পোকা দলবদ্ধভাবে পাতার রস চুষে খায়। ফলে বাড়ন্ত ডগা ও পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে, পাতা বিকৃত হয়ে বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং পাতা নিচের দিকে কুঁকড়িয়ে যায়।
প্রতিকার : আক্রান্ত পাতা ও ডগার জাব পোকা হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে। নিমবীজের দ্রবণ (কেজি পরিমাণ অর্ধভাঙা নিমবীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে) বা সাবান গুলা পানি (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২ চা চামচ গুঁড়া সাবান মেশাতে হবে) স্প্রে করেও এ পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমানো যায়। লেডিবার্ড বিটলের পূর্ণাঙ্গ পোকা ও কীড়া এবং সিরফিড ফ্লাই-এর কীড়া জাবপোকা খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে দমন করে। সুতরাং উপরোক্ত বন্ধু পোকাসমূহ সংরক্ষণ করলে এ পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কম হয়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে ফাইফানন-৫৭ ইসি/সাইফানন ৫৭ ইসি/ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি/আসাটন ৫৭ ইসি/টাফগর ৪০ ইসি/ স্টার্টার ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
জৈব কীটনাশক হিসেবে ইকোম্যাক ১.৮ ইসি ১ মিলি. প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। এ ছাড়া হলুদ আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করলে জাব পোকা সহজে দমন করা যায়।
রোগবালাই
পাউডারি মিলডিউ বা গাদা গুঁড়া রোগ : পাতার উভয় পাশে প্রথমে সাদা সাদা পাউডার বা গুঁড়া দেখা যায়। ধীরে ধীরে এ দাগগুলো বড় হয়। ফলে গাছ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া দাগগুলো বাদামি হয়ে শুকিয়ে যায়। কোন একটি লতার পাতায় আক্রমণ বেশি হলে ধীরে ধীরে সেই লতা ও পরে পুরো গাছই মরে যেতে পারে। এমনকি ফল ঝরে যেতে পারে। যদি আগাম চাষ করা হয় তবে এ রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
প্রতিকার : এ রোগের প্রতিকারের জন্য আক্রান্ত পাতা ও গাছ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তাছাড়া ২ গ্রাম থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউপি অথবা টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা সালফোলাক্স/কুমুলাস ০.৫ মিলি অথবা ১ গ্রাম ক্যালিক্সিন প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জৈব ছত্রাকনাশক হিসেবে লাইকোম্যাক্স বা ডাইনামিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যানথ্রাকনোজ বা ফলপচা : পাতায় গোলাকৃতি দাগ দেখা যায়। বৃষ্টিতে পাতার পচন লক্ষ করা যায়। প্রথমে ছোট কালো দাগ যার মধ্যাংশ ছত্রাকের জালি ও অণুজীব দ্বারা ঢাকা থাকে। আক্রান্ত ফলের বীজও ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যায়।
প্রতিকার : রোগমুক্ত ভাল বীজ ব্যবহার করতে হবে। ঝরণা দিয়ে গাছে পানি বা সেচ দেওয়া যাবে না। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অটোস্টিন/নোইন বা একোনাজল আক্রমণের শুরুতেই ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০দিন অন্তর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিচিঙ্গার বীজ-ফলে অব্যশই ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে বীজ রোগমুক্ত রাখতে হবে। জৈব ছত্রাকনাশক হিসেবে ডাইনামিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
মোজাইক ভাইরাস : পাতায় হলদে ছোপ ছোপ দেখা দেয় ও পাতা কুঁকড়ে যায়। ফলে ফলন বহুলাংশে কমে যায়।
প্রতিকার : ভাইরাস দেখা মাত্র আক্রান্ত গাছ ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ভাইরাসের বাহক সাদা মাছি দমন করার জন্য হলুদ আঁঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেখক : আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লা, মোবাইল : ০১৬৮১৬৮৩৩৪২, ই-মেইল :monirulromel@gmail.com