Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা-ব্যবহারে-কৃষিক্ষেত্রে-বাড়বে-উৎপাদনশীলতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও) ব্যবহারে 
কৃষিক্ষেত্রে বাড়বে উৎপাদনশীলতা
ড. মোঃ কামরুজ্জামান১  সৌরভ অধিকারী২
বাংলাদেশের কৃষি খাত দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি। কৃষিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। যেমন : জনসংখ্যা ১.২০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনঘটিত প্রতিকূলতা যেমন-লবণাক্ততা, খরা, বন্যা ইত্যাদির কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে। মাটির অম্লতা, রোগবালাই, পানি সেচের অভাব ইত্যাদি কারণে কৃষির উৎপাদন প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। কৃষি মৌসুমে শ্রমিকের ঘাটতি এ খাতকে দিন দিন আরো চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে। কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও)। এর মাধ্যমে              কৃষিক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা অও হলো এমন প্রযুক্তি যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার কার্যক্রম কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে অনুকরণ করে। এটি মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং এবং অন্যান্য উন্নত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজ করে। কৃষিসংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত খুব সহজে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে মেশিন লার্নিং বা উন্নত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে অর্থবোধক ফলাফল দিয়ে কৃষিকাজে সাহায্য করতে পারে। এর ব্যবহার কৃষিকাজকে সহজ করেছে, উৎপাদন অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ভারতসহ অনেক দেশ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে অও প্রযুক্তি প্রয়োগের কিছু সফলতা ও সম্ভাবনা 
বীজ নির্বাচন ও চাষাবাদ : ফসলের ভালো জাত, বীজের বিশুদ্ধতা, পুষ্টতা ইত্যাদির উপর অধিক ফলন নির্ভর করে। তবে এসব কাজ বেশ শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার যা উন্নতবিশ্বে অও এর মাধ্যমে সহজে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দ্য ক্লাইমেট করপোরেশনের ‘ঋরবষফঠরব’ি প্লাটফর্মটি অও টুল ব্যবহার করে প্রিসিশন ফার্মিংয়ের জন্য নানা রকম তথ্য দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করছে। এটি শস্য ও জমির ওপর ভিত্তি করে সেই অনুযায়ী বীজ বপনের হার, চারার দূরত্ব ইত্যাদি তথ্য দিয়ে ফসল চাষাবাদে সহায়তা করে। এই টুল চারা রোপণের ঘনত্ব, ফলনের হার-এসব নিয়ে আগাম সংকেতও দিতে পারে। এই প্লাটফর্মটির সাথে মেশিন লার্নিংয়ের আরও কিছু ফিচার যোগ করলে বীজের রং, আকার-আকৃতিও নির্ণয় করা যাবে। এতে করে জাতের বা বীজের বিশুদ্ধতা সহজেই রক্ষা করা যাবে। এমনকি প্রযুক্তিটির দ্বারা নির্ভুল ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফল ও সবজির গ্রেডিংও করা সম্ভব হবে যা এতদিন সম্পূর্ণ ম্যানুয়ালি বা               সেমিঅটোমেটেড পদ্ধতিতে করা হতো। বীজ রোপণ ও জমিচাষের জন্য যুক্তরাজ্যে একজন কৃষক অও প্রযুক্তির চালকবিহীন ট্রাক্টর ব্যবহার করছেন। চালকবিহীন ট্রাক্টরে রাডার, আলট্রাসাউন্ড ও সেন্সর রয়েছে। এর ফলে কোনো বস্তুর সংস্পর্শে এলেই তা তৎক্ষণাৎ থেমে যায়। আর এর দ্বারা জমির ক্ষতিও খুব কম হয়। যন্ত্রটি হালকা হওয়ার কারণে গভীরের মাটি সুরক্ষিত থাকে। চাষাবাদের কাজে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতির চাহিদা পূরণের জন্য অদূর ভবিষ্যৎ এরকম ‘রোবট’-ই প্রয়োজন হতে পারে। 
স্মার্ট ফার্মিং : আবাদি জমির পরিমাপ অও এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে নিরূপণ করা সম্ভব। এ ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘খধহফংপধঢ়ব টহফবৎংঃধহফরহম’। এই প্রক্রিয়ায় স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি নিয়ে মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে জমির সীমানা শনাক্ত করা হয়। এভাবে ভূমিতে জমির বিভিন্ন খ-গুলোকে আলাদা করা হয়। এরপর মাপা হয় জমির সীমানা, আলাদা করা হয় আবাদযোগ্য জমি, অনুর্বর জমি, বনাঞ্চল, জলাভূমি, নদী ইত্যাদি। এরপর সেই তথ্য ব্যবহার করে সাধারণ চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে। কোথায় উঁচু, কোথায় মধ্যম উঁচু এবং নিচু জমি রয়েছে, কোথায় চরাঞ্চল, কোথায় বন্যাপ্রবণ সেসব জানা যাবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। জমিতে ফলন কেমন হতে পারে তাও এ সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। 
বাংলাদেশে বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা ২১৪%, যা আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। অও এর মাধ্যমে কোন জমিতে কোন ফসল উপযোগি, কোনটি এক ফসলী জমি, কোনটি দুই, তিন বা ততোধিক ফসল চাষযোগ্য এসব ম্যাপিং করা সম্ভব। এছাড়া বিভিন্ন ফসল চাষের তথ্যাদি অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এ সিস্টেমের দ্বারা সারাবছর একটি জমিকে কিভাবে চাষের আওতায় আনা যায় সেরূপ একটি মডেলও তৈরি করা সম্ভব। এতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নির্ভুলভাবে করা সম্ভব। খরাকালীন উপযুক্ত একটি সেচ পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে, যা করে দিতে পারবে অও। কোথায় কূপ খনন করলে বা কোথা থেকে পানি আনলে সবচেয়ে কম সময়ে, কম খরচে সব জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পৌঁছানো যাবে সেটা বলে দিবে। ‘খধহফংপধঢ়ব গড়হরঃড়ৎরহম’-এর জন্যও বিভিন্ন মডেল  তৈরি করছে গুগল। এ মডেলের কাজ জমির জন্য বিস্তারিত তথ্য তৈরি করা। এ থেকে কৃষকেরা জমির বর্তমান ফলন, উর্বরতার বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যতে জমিতে আর কোন কোন ধরনের সার, জৈব উপাদান ও রাসায়নিক প্রয়োজন হবে-এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এ ধরনের ফিউচার ল্যান্ডস্কেপ মনিটরিং মডেলগুলো রোপিত শস্য, পানির উৎস থেকে জমির দূরত্ব, কৃষিসংক্রান্ত যাবতীয় আরও অনেক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারবে। এসব তথ্য এই অও-এর কাছে জমাও থাকবে। এতে ভবিষ্যতে ওই জমিতে চাষাবাদের পূর্বেই অও এর অতীতের তথ্য-উপাত্ত থেকে কৃষককে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে এবং বন্যা-খরার মতো বৈরী আবহাওয়া থেকে জমিকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে পারবে। মাঠের এসব ব্যবহার ছাড়াও অও ভিত্তিক কৃষি-সংক্রান্ত অনলাইন চ্যাটের জন্য মাইক্রোসফটের ‘ঋধৎসঠরনবং.নড়ঃ’ নামে একটি চ্যাটবট রয়েছে যা কৃষকদের ফসল, জমি ও আবহাওয়া বিবেচনা করে ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ প্রদান করে। 
রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন : রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ ফসলের ফলন কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তবে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও পোকামাকড় শনাক্ত করা গেলে ক্ষতির পরিমাণ বহুলাংশে কমানো সম্ভব। অও প্রযুক্তি ফসলের রোগ ও পোকামাকড় শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাঠে গিয়ে রোগ আক্রান্ত নমুনা বা পোকামাকড়ের ছবি অ্যাপ্লিকেশন এ দিয়ে বিশ্লেষণ করলে দ্রুত ও সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও পোকামাকড় শনাক্ত করা যাবে। অও এটাও বলতে পারে, কীভাবে এই রোগ বা পোকামাকড় প্রতিরোধ করা যায় এবং ছড়িয়ে পড়া বা বংশবিস্তার থেকে আটকানো যায়। তাছাড়া এ প্রযুক্তি কীটনাশক এর সঠিক মাত্রা নিরূপণ করে এবং তার অপচয় রোধ করে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষিতে অও ব্যবহারে কীটনাশক ব্যবহার প্রায় ৬০% কমানো সম্ভব। অও-চালিত এ রকম আর একটি অ্যাপ্লিকেশন হলো প্ল্যান্টিক্স (চষধহঃরী)। অ্যাপ্লিকেশনটি পুষ্টিঘাটতি শনাক্ত করার পাশাপাশি জমিতে ফসলের কী কী রোগ হতে পারে, কতটুকু সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে তার উপদেশ দিতে পারে। এ জন্য কৃষককে শুধু তার ফসলের কয়েকটি ছবি তুলে দিলেই হয়। অও ব্যবহার করে বাকি কাজ নিজে থেকেই করে দেবে অ্যাপ্লিকেশনটি।
আগাছা নিধন : আগাছা নিধনেও অও ব্যবহার শুরু করেছে বেশ কিছু কোম্পানি। এদের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি বাজারে এনেছে ব্লু-রিভার টেকনোলজি। তাদের ‘সি অ্যান্ড স্প্রে’ মেশিন কম্পিউটার ভিশন ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে জমিতে ফসল ও আগাছা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারে। এরপর শুধু যে জায়গাটুকুতে আগাছা রয়েছে, সেখানে আগাছানাশক প্রয়োগ করে আগাছা নিধন করে।
পানি ব্যবস্থাপনা : গবেষণা বলছে কৃষিতে অও ব্যবহারে সেচের জন্য পানির ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। অও বা ওড়ঞ (ওহঃবৎহবঃ ড়ভ ঞযরহমং) ভিত্তিক সিস্টেমগুলো মাটি ও আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে গাছের জন্য সঠিক পরিমাণ পানি দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। এই সিস্টেমগুলো মাঠে ও ছাদবাগানে খুবই কার্যকরী। ফসলের মাঠ বা ছাদবাগানে গাছের বৃদ্ধির জন্য পরিমিত পানির প্রয়োজন। পানি অতিরিক্ত বেশি বা কম হওয়া গাছের জন্য ক্ষতিকর। অও বা ওড়ঞ সিস্টেমগুলোতে সঠিক পরিমাণ পানির জন্য প্রোগ্রাম করা হয়। পানি অতিরিক্ত হলে বা খরায় মাটি শুকিয়ে গেলে সিস্টেমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত পানি বের করার জন্য নির্দেশ প্রদান বা উৎস হতে পানি গাছে বয়ে নিয়ে আসবে। মাঠে বা ছাদবাগানে না গিয়ে বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসেই এ সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে অপচয় কমে মূল্যবান ভূগর্ভস্থ পানির, নিশ্চিত হয় গাছের সঠিক বৃদ্ধি এবং পানি দেয়ার জন্য অতিরিক্ত শ্রমেরও প্রয়োজন হয় না।
মাটির উর্বরতা ও পুষ্টিগুণ নিরূপণ : নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোকেয়ারস ‘নিউট্রিয়েন্ট স্ক্যানার’ নামক একটি টুল তৈরি করেছে। টুলটি জমির মাটি নমুনা হিসেবে নিয়ে তাতে কোন কোন উপাদানের ঘাটতি আছে, তা জানিয়ে দিতে পারে। এতে কৃষক আগে থেকেই তার জমি চাষের জন্য যথাযথ সার দিয়ে প্রস্তুত করতে পারবেন।
বাজার বিশ্লেষণ : অও ভিত্তিক অ্যানালিটিক্স কৃষককে বাজারের চাহিদা এবং মূল্য বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে, যা কৃষকের বিক্রয় পরিকল্পনা উন্নত করে। কৃষিপণ্যের বিপণন ও সরবরাহ চেইনকে আরো কার্যকর করতে, স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষণ, বাজার প্রবণতা শনাক্তকরণে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে। 
অও প্রয়োগের চ্যালেঞ্জসমূহ 
প্রযুক্তির উচ্চ খরচ : অও প্রযুক্তির উচ্চ খরচ কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই খরচের ব্যয়ভার করার জন্য সরকারের সহায়তা ও প্রণাদনা প্রয়োজন।
প্রশিক্ষণের অভাব : অও প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রযুক্তির পূর্ণ সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। 
প্রযুক্তির প্রতি অনীহা : কিছু কৃষক নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অনিচ্ছুক, যা প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা কমাতে পারে।
অও প্রয়োগের সুপারিশসমূহ 
প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি : কৃষকদের অও প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
সরকারি সহায়তা ও প্রণোদনা : কৃষি প্রযুক্তির জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করা উচিত।
নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো উন্নয়ন : অও প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করা।
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে অও ব্যবহার একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষতির পরিমাণ কমানো এবং কৃষি পদ্ধতির উন্নতি সম্ভব। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের কৃষি খাত একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। অও প্রযুক্তি কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

লেখক : ১ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, গোপালগঞ্জ; ২বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, গোপালগঞ্জ, মোবাইল : ০১৭৭৬৯৬০৭৬৯,       ই-মেইল :  kamruzzaman_bina2013@yahoo.com;