Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন কলাকৌশল

গ্রীষ্মকালীন 
টমেটোর 
উৎপাদন 
কলাকৌশল 
ড. মোঃ হাফিজুর রহমান
বিশ্বব্যাপী সকল স্তরের মানুষের কাছে টমেটো একটি অন্যতম প্রধান সবজি। বাংলাদেশে টমেটো প্রধানত শীতকালীন বা রবি মৌসুমের ফসল। এর আকর্ষণীয়তা, স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ ব্যবহারযোগ্যতার কারণে পৃথিবীর সর্বত্রই এটি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে স্বীকৃত। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ‘, ভিটামিন ‘সি‘, ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান। টমেটো খেলে ভিটামিন ও খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ, রোগ প্রতিরোধ, ক্ষুধা বৃদ্ধি, পাকস্থলী সুস্থ  রাখা এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করা সম্ভব হয়। টমেটোর ফল সালাদ, তরকারি ও টক হিসেবে খাওয়া  যায়। এ ছাড়া  জ্যাম, সস, সুপ, কেচআপ ইত্যাদি তৈরিতেও ব্যাপকভাবে টমেটো ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসে উচ্চতাপমাত্রা ও অতিবৃষ্টি টমেটো চাষের প্রধান অন্তরায়। আবহাওয়াগত এ সমস্যা উত্তরণ তথা গ্রীষ্ম মৌসুমে উৎপাদন উপযোগী জাত উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবজি বিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে কয়েকটি উচ্চতাপমাত্রা সহিষ্ণু টমেটোর জাত এবং এগুলোর উৎপাদন কলাকৌশল উদ্ভাবন করেছেন এবং এইজাতগুলো গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত হিসেবে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করা হয়।    
জাত : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে বারি টমেটো-৪ ও বারি টমেটো-৫ গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে পলিথিন ছাউনির ভেতরে ও ফুটন্ত ফুলে হরমোন প্রয়োগের সাহায্যে এবং বারি হাইব্রিড    টমেটো-৩, বারি হাইব্রিড টমেটো-৪, বারি হাইব্রিড টমেটো-৮, বারি হাইব্রিড টমেটো-১০ ও বারি হাইব্রিড টমেটো-১১ জাতগুলো হরমোন প্রয়োগ ছাড়া পলিথিন ছাউনির ভেতরে চাষাবাদের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও দুটি জাত অর্থাৎ বারি টমেটো-৬ (চৈতি) ও বারি টমেটো-৯ (লালিমা) সারা বছরব্যাপী চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। এ দুটো জাত বছরের যে কোন সময় চাষাবাদ করা যায়। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে চাষাবাদের জন্য পলিথিন ছাউনি এবং হরমোন প্রয়োগের ব্যবস্থাদি অবলম্বন করতে হয় ।   
মাটি জলবায়ু : আলো বাতাসযুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য ভালো। পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত এবং পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এঁটেল দো-আঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। মাটির অম্লতা ৬.০-৭.০ হলে এর আবাদ ভালো হয়। মাটির অম্লতা বেশি হলে জমিতে চুন প্রয়োগ করা উচিত। সাধারণত টমেটো ২০-২৫ সে. তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো হয়। অপেক্ষাকৃত অধিক তাপমাত্রায় বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় না। তবে ভরা গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হলেও আশানুরূপ ফলনের জন্য বিশেষ চাষ পদ্ধতি প্রয়োজন হয়।
বীজতলা : পানি নিষ্কাশনের সুবিধা রয়েছে এমন উন্মুক্ত উঁচু জমি বীজতলা তৈরির জন্য উপযুক্ত জায়গা। বীজতলায় সেচের জন্য পানির উৎসের কাছাকাছি বীজতলা তৈরি করতে হবে। চারা তৈরির উদ্দেশ্যে বীজতলা সাধারণত বালু, পঁচা গোবরসার/কম্পোস্ট ও উর্বর মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে মিহি করে তৈরি করতে হয়। প্রতিটি বীজতলা ৩ মি. দৈর্ঘ্য ও ১ মি. প্রস্থ এবং ১৫ সেমি. উঁচু হলে ভালো। পাশাপাশি দুটি বীজতলার মধ্যে ৩০ সেমি. নালা থাকবে। প্রতিটি প্রাথমিক বীজতলায় ১০ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। বীজ বপনের পর থেকে রোপণের উপযুক্ত হওয়া পর্যন্ত চারাগুলোকে ঝড়বৃষ্টি এবং রোদ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় চালার ব্যবস্থা করতে হবে। 
বীজ শোধন : কেজি প্রতি ২ গ্রাম ভিটাভেক্স/অটোস্টিন দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
বীজ বপন ও চারা উৎপাদন : এপ্রিল-জুন মাস বীজ বপনের সময়। প্রথমে যে সব বীজতলায় বীজ ফেলা হয় সেগুলোকে প্রাথমিক বীজতলা বলে। প্রাথমিক বীজতলায় ঘন করে বীজ বপন করা হয়। গজানোর পর উপযুক্ত সময়ে (৭-১০ দিন পর) চারাগুলোকে নার্সারি বীজতলায় বা ২য় বীজতলায় স্থানান্তর করা হয়। ৩/১ মি. সাইজের প্রাথমিক বীজতলায় ৪০ গ্রাম বীজ বপন করা যেতে পারে। এ হিসেবে প্রতি হেক্টরের জন্য ২০০ গ্রাম ভালো বীজ বুনতে ৫টি বীজতলার প্রয়োজন হবে। বীজ গজানোর ৭-১০ দিন পর (দুপাতা বিশিষ্ট) চারা দ্বিতীয় বীজ তলা অর্থাৎ নার্সারি  বীজতলায় ৪/৪ সেমি. দূরত্বে (সারি/গাছ) স্থানান্তর করতে হবে। এক হেক্টর জমিতে টমেটো চাষের জন্য এরূপ ২০টি বীজতলার প্রয়োজন হবে।  দ্বিতীয় বীজতলার চারা লেগে উঠতে ৫-৬ দিন লাগবে। এ সময়ে ১ দিন অন্তর পানি সেচ দিতে হয়। পরবর্তীতে ৪-৫ দিন পরপর সেচ দেয়া বাঞ্ছনীয় এতে চারা শক্তিশালী হবে। কারণ অতিরিক্ত সেচ দিলে চারা লম্বা, লিকলিকে এবং দুর্বল হয় এবং পরবর্তীতে এরূপ গাছ থেকে ফলন কম পাওয়া যায় । 
জমি তৈরি : টমেটো চাষের জন্য সারাদিন রোদ পায় এমন জমিই উপযুক্ত। টমেটোর শিকড় প্রায় ১ মিটার গভীরে প্রবেশ করে। সুতরাং গভীর চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। মাটির প্রকৃতি ও স্থান এবং রোপণকাল ভেদে ২৫-৩০ সেমি. উঁচু এবং ২৩০ সেমি. চওড়া বেড তৈরি করতে হবে। বেডের দৈর্ঘ্য ২০ মিটার অথবা জমির দৈর্ঘ্যরে উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যেতে পারে। সেচ অথবা পানি নিকাশের সুবিধার্থে ২টি বেডের মাঝখানে ৩০ সেমি. চওড়া নালা রাখতে হবে। 
সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি : মাটির প্রকারভেদে সারের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। প্রতি হেক্টর জমিতে সার ব্যবহারের সুপারিশ সারণি দ্রষ্টব্য।
সারণি : সারের পরিমাণ (প্রতি হেক্টর)

ইউরিয়া এবং পটাশ সার বেডে ছিটিয়ে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে দিলেই চলবে। গাছের গোড়ায় দিতে হবে না।  উল্লেখ্য, সারের উপরিপ্রয়োগের পর অবশ্যই পানি সেচ দিতে হবে।  
চারা রোপণ : বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারা রোপণের উপযুক্ত হয়। এ সময় চারাগুলো ৭.৫-১০ সেমি. উঁচু হয় এবং প্রতিটি চারায় ৫-৬টি প্রকৃত পাতা হয়ে থাকে। চারা রোপণের দূরত্ব সারি থেকে ৬০ সেমি. এবং গাছ থেকে গাছ ৪০ সেমি. হিসেবে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে  প্রতি হেক্টরে ৪২,৫০০টি চারার প্রয়োজন হবে।  
পরিচর্যা : ক্ষেতের আগাছা দমন খুবই জরুরি। প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি সারের উপরিপ্রয়োগের সময় পার্শ্বকুশি ছাঁটাই করে দিলে গাছ কম ঝোপালো হয়। ফলে গাছের ভেতর আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব এবং রোগবালাইও কম হয়। চারা রোপণের ২-৩ সপ্তাহ পরই গাছে খুঁটি দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাঁশের চটা, কানচি, ধৈঞ্চা ইত্যাদি একাজে ব্যবহার  করা যেতে পারে। যথাযথ সময়ে পানি সেচ এবং নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন ও গাছের গোড়ায়  মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে। ফলে গাছের বৃদ্ধি ও অধিক ফল ধারণে সহায়ক হবে।
হরমোন প্রয়োগ : গ্রীষ্মকালীন টমেটো গাছে প্রচুর ফুল ধরে তবে উচ্চতাপমাত্রা ও বৃষ্টির জন্য গাছপ্রতি ফল কম হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য টমেটোটন নামক কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করে প্রতি গাছে আশানুরূপ ফল ধারণ করানো সম্ভব হয়। হাত সিনচন যন্ত্রের সাহায্যে টমেটোটন (৫ চা চামচ/লিটার পানিতে) শুধুমাত্র ফুটন্ত ফুলে ৮-১০ দিন অন্তর ২ বার  ছিটাতে হয়। গাছ প্রতি ২০-২৫টি ফল ধরলে স্বাভাবিক ফলন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। 
পলিথিন ছাউনি : পলিথিন ছাউনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিবৃষ্টির হাত থেকে গাছকে রক্ষা করা সম্ভব। এতে ছাউনির মধ্যে লাগানো চারার বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। মূলকথা বর্ষা মৌসুমে সবজি উৎপাদনের প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি সাফল্য নির্ভর করে গাছে পলিথিন ছাউনি দেয়া উপর। মাঠে পলিথিন ছাউনি দেওয়া খুবই সহজ। তবে এ কাজের জন্য কিছুটা কারিগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। মাঠে চারা লাগানোর পূর্বেই নৌকার ছইয়ের আকৃতি করে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ছাউনি দিতে হয়। চারা লাগানো এবং অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যার সুবিধার্থে একটি ছাউনির উচ্চতা সবজির প্রকারভেদে উভয় পাশে ১.২০-১.৩৫ মিটার এবং মাঝখানে ১.৮০-২.১০ মিটার হওয়া বাঞ্ছনীয়। ছাউনির জন্য স্বচ্ছ পলিথিন; বাঁশ, ধনুক, বাতা, আঁড়া, খুঁটি; দড়ি-পাটের সুতলি প্রয়োজন হয়। পলিথিন যাতে বাতাসে উড়ে না যায় সেজন্য ছাউনির উপর দিয়ে উভয় পার্শ্ব থেকে আড়াআড়িভাবে দড়ি পেচানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি ২টি ছাউনির মাঝে ৫০-৭৫ সেমি. চওড়া নালা রাখতে হবে যাতে ছাউনি থেকে নির্গত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। 
পলিথিন ছাউনির জন্য পলিথিন নানা রঙের হয়ে থাকে। ছাউনি তৈরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ পলিথিন ব্যবহার করতে হয়। এই পলিথিন ব্যবহার করলে গাছ অতি সহজে প্রচুর সূর্যের আলো পেতে পারে। পলিথিন চওড়ায় ভাঁজসহ ৭২ ইঞ্চি অর্থাৎ খোলা অবস্থায় ১৪৪ ইঞ্চি প্রশস্ত হবে। বাজারে সাধারণত ৮/১০/১২ পুরু পলিথিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে থেকে ১০ পুরু ছাউনির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। পলিথিন ছাউনির প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হেক্টরপ্রতি ১৬২-১৭০টি (২০/২.৩ মিটার) ছাউনি তৈরি করা যায়। একটি ছাউনি থেকে সবজির জাতভেদে অনায়াসে ২০০-৩০০ কেজি টমেটো ফলানো যায়। বাঁশের তৈরি কাঠামোর খুঁটি, ধনুক এবং কাঠি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করলে ২-৩ মৌসুম ব্যবহার করা যায়। অতএব, বাঁশের খরচ প্রাথমিকভাবে বেশি মনে হলেও একাধিক মৌসুম ব্যবহার করা যায় বলে খরচ আনুপাতিক হারে কম হয়। স্বল্পমেয়াদের একটি ছাউনির খরচ অঞ্চল ও সবজির প্রকারভেদে তারতম্য হতে পারে।  
অনিষ্টকারী পোকামাকড় এবং রোগবালাই : টমেটো ফসলের প্রতিস্তরে কীটপতংগ ও রোগবালাই দমনে সচেষ্ট থাকতে হবে। বীজতলায় সাধারণত “ড্যাম্পিং অফ” ও “আশুধসা” রোগের আক্রমণ হয়। ভ্যাম্পিং অফ রোগের জন্য ডায়াথেন এম-৪৫ অথবা রিডোমিল এম জেড এবং আশুধসা রোগের জন্য রোভারাল (২ গ্রাম/লিটার) পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর বীজতলায় চারায় প্রয়োগ করতে হবে। পাতার দাগপড়া রোগ টমেটোর বাড়ন্ত গাছে দেখা যায়। ব্যাভিষ্টিন ছত্রাকনাশক (১ গ্রাম/লিটার) পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এ রোগ দমন হয়। টমেটো গাছে সাদা মাছি পোকার আক্রমণ হতে দেখা যায়। এ পোকা খুব ছোট এবং পাতার নিচের দিকে থাকে বলে চোখে পড়ে না। পাতা কোকড়ানো ভাইরাস রোগের বাহক হিসেবে এ পোকা কাজ করে। এ পোকা দমনের জন্য ডাইমেক্রণ নামক কীটনাশক (১মিলি./লিটার) পানিতে মিশিয়ে পাতার নিচের দিকে স্প্রে করতে হবে। ১৫ দিন অন্তর আরো একটি স্প্রে করা যেতে পারে। জাবপোকার আক্রমণ হলেও এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। কোন কোন অঞ্চলে পাতায় সুড়ঙ্গ পোকার আক্রমণ হতে দেখা যায়। এ পোকা কচি পাতার রস চুসে খায়। ফলে পাতায় সাদা আঁকাবাঁকা দাগ দেখা যায়। ডাইমেক্রন, ডায়াজিনন অথবা রিপকর্ড (১ মিলি./লিটার) পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে  করলে দমন করা সম্ভব। উল্লেখ্য, কীটনাশক প্রয়োগের অন্তত ১৫ দিন পর টমেটো সংগ্রহ করতে হবে। 
ফসল সংগ্রহ ও ফলন :  চারা  লাগানোর ৬০ দিনের মধ্যে পাকা টমেটো সংগ্রহ শুরু হয়। প্রতি গাছ থেকে ৪-৫ বার ফল সংগ্রহ করা যায়। কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে ফলানো টমেটো বীজবিহীন হয়। তাই শীতকালে এর বীজ উৎপাদন করতে হবে। জাতভেদে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর হেক্টরপ্রতি ফলন  ২২-৫২ টন।  

লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, শিবপুর, নরসিংদী; মোবাইল নম্বর : ০১৭২০৬৪৫৬২৯;