Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

ব্লাক সোলজার ফ্লাই সম্ভাবনাময় শিল্প

ব্লাক
সোলজার
ফ্লাই
সম্ভাবনাময় শিল্প
ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত পোকামাকড়ের মধ্যে অতি পরিচিত একটি পতঙ্গ ব্লাক সোলজার ফ্লাই। এটি মূলত এক ধরনের মাছি পোকা, যা দেখতে সম্পূর্ণ কালো বর্ণের ও শান্ত প্রকৃতির। এরা প্রকৃতি বা মানুষের জন্য একেবারেই ক্ষতিকর নয়। বরং এটিকে আমরা নানাভাবে আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। ব্লাক সোলজার ফ্লাই প্রকৃতিতে বিচরণকারী হলেও এর অর্থনৈতিক বিবেচনায় বিশ^ব্যাপী এটিকে এখন ফার্মে চাষ করা হয়।
ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা পুষ্টিসমৃদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় মুরগী ও মাছের খাবারের বিকল্প হিসেবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক মাছিপোকা তাই সারা বিশ্বে এখন পালন করা হচ্ছে এবং এ পোকার খামার বর্তমানে বিশ্বে পোকামাকড় চাষের সবচেয়ে বিস্তৃত রূপ।
ব্লাক সোলজার ফ্লাই বা প্যারেড পোকা ফার্মের হাঁস মুরগীর বা মাছের প্রচলিত রেডি ফিডের পরিবর্তে অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন   প্রাকৃতিক খাবার। ব্লাক সোলজার ফ্লাই মাছির  লার্ভা হয়ে উঠেছে প্রাণিসম্পদের জন্য প্রাণিজ আমিষের একটি সুলভ উৎস। বর্তমানে প্রাণিজ সেক্টরে এই মাছিপোকার খামার ও লার্ভা কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বহুপুষ্টিগুণ ও উপকার বিবেচনায় পোল্ট্রি খামারিরা একে বলছে বাদামি সোনা বা ব্রাউন গোল্ড। বাংলাদেশেও বর্তমানে এই বিশেষ প্রজাতির মাছির খামারে লার্ভা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই মাছিপোকার থেকে উৎপাদিত লার্ভা প্রাণিসম্পদের নিরাপদ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করছে।
ব্লাক সোলজার ফ্লাই এর দ্রুত উৎপাদন চক্র ও প্রোটিনের উচ্চমাত্রার কারণে খাদ্য উৎপাদনের জন্য এবং লার্ভাতে প্রোটিনের মাত্রা উচ্চ থাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর খাদ্যের একটি আদর্শ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু প্রোটিনের উৎস হিসেবেই নয় জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর লার্ভা জৈব বর্জ্য খেয়েই বাঁচে।
প্রাপ্তবয়স্ক মাছিপোকা ভাগাড় বা বর্জ্যরে স্তূপে ডিম পাড়ে। সেই ডিম থেকে উৎপাদিত লার্ভা এই বর্জ্য খায় এবং বর্জ্যকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করে এবং উপজাত হিসেবে তা থেকে জৈবসার তৈরি হয়। অর্থাৎ টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও এই পোকার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের অনেক দেশেই জৈব বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে এটি ব্যবহৃত হয় এবং বাংলাদেশে এটির সম্ভাবনা নিয়ে কাজ চলছে।
জীবনচক্র : ব্লাক সোলজার ফ্লাই পতঙ্গের জীবনচক্র সম্পন্ন করতে পাঁচটি ধাপের প্রয়োজন হয়। যেমন : ১. মাছি; ২. ডিম; ৩. লার্ভা; ৪. (পিপি) পিউপা; এবং ৫. পিউপা (স্টিক)।
১. মাছি : ব্লাক সোলজার ফ্লাই পপুলেশনে পুরুষ মাছি ও স্ত্রী মাছি বিদ্যমান। স্ত্রী মাছি সাধারণত পুরুষের থেকে বড় হয়। পুরুষ মাছি স্ত্রী মাছির সাথে মিলনের পরে মারা যায় এবং স্ত্রী মাছি ডিম পাড়ার পরে মারা যায়।
র) মাছির ফ্লায়িং খাঁচা : ব্লাক সোলজার ফ্লাই চাষ করতে হলে একটি নেট ঘরের প্রয়োজন। যে স্থানে আলো, বাতাস ও সূর্যের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
রর) মাছির খাবার : এটি সাদা পানি ও মিষ্টি পানি পান করে। যেকোন ধরনের পানি পাত্রে রেখে তার উপর সুতি কাপড় ভিজিয়ে রাখতে হয়।
ররর) মাছির বসার স্থান : যে কোন ধরনের ছোট গাছ ফ্লাইং কেসে রাখতে হয় বা শুকনা কলাপাতাও ঝুলিয়ে রাখা যায় এবং এই পাতায় পানি বা চিনি মিশ্রিত পানি স্প্রে করা যেতে পারে।
রা) মাছি ডিম পাড়ার স্থান : ডিম পাড়ার পূর্বেই ডিম পাড়ার স্থান তৈরি করতে হবে। ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ২.৫ ইঞ্চি প্রস্থ ও ১.৫ ইঞ্চি উচ্চতার কাঠের টুকরায় আলপিন ঢুকিয়ে তিনটি আলপিন যুক্ত কাঠ রাবার দিয়ে একত্র করে তৈরি করা হয়। কাঠগুলো কোন বালতি বা বোলে পচনশীল বর্জ্য রেখে তার উপরে কাঠগুলো স্থাপন করা হয়। যেমন- ভাত, পচা শাকসবজি ও পচা ফল ইত্যাদি।
া) ডিম সংগ্রহ : মাছি পোকা কাঠের ফাঁকে ডিম পাড়ে। এই ডিমগুলো কাঠ থেকে ছুরির মাধ্যমে খুব আলতোভাবে তুলে যেকোন পাত্রে সংগ্রহ করতে হয়। ডিম সংগ্রহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই কাজটি অতি সাবধানতার সাথে করতে হয়। একটি স্ত্রী মাছি           ৫০০-৯০০টি ডিম পাড়ে।
২. ডিম : ডিমগুলো সংগ্রহ করার পর একটি চালনি বা নেটযুক্ত পাত্রে রাখতে হবে। সমপরিমাণ পাত্রে ফিড ও পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর নেটযুক্ত চালনিসহ ডিমগুলো বোল বা বালতিতে রাখতে হয়।
ডিম সংগ্রহের ৩-৫ দিন পর ডিম ফুটে। ডিম ফোটার আরো ২ দিন পর পাত্রে হালকা ফিড দিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর লার্ভা তৈরির স্থানে যে কোন ধরনের নরম পচনশীল বস্তু দিতে হবে। এতে ফোটানো ডিমগুলো ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩. লার্ভা : লার্ভা চাষের জন্য বেড তৈরি করতে হয়। একটি বেডের দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট, প্রস্থ ৩ ফুট আকারের তৈরি করতে হবে। কেউ চাইলে বড় গামলা বা বোলেও চাষ করতে পারবেন। বেড তৈরি হলে তাতে আগে পচনশীল বস্তু দিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যাতে পলিথিনজাতীয় কিছু বেডে না পড়ে। খাবার প্রস্তুত হলে ডিম বীজ ছাড়তে হবে। ৮-৯ দিন বয়স হলে মুরগি ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ১৪-১৫ দিন বয়স হলে তা পিউপা হয়ে যায়। এগুলো আর খাওয়ানো যাবে না।
র) লার্ভার খাবার : লার্ভার খাবার হিসেবে সাধারণত যেকোন ধরনের নরম পচনশীল বস্তু ব্যবহার করা যায়। যেমন- ভাত, পচা শাকসবজি, পচা মাছ-মাংস, গোবর, মুরগীর বিষ্ঠা ইত্যাদি। লার্ভা বাদামি রঙ হয়ে গেলে আর খাবারের প্রয়োজন হয় না।
৪. প্রি-পিউপা : পিউপার বয়স ১৪-১৫ দিন হলে তা কালো রং হয়ে যায় এবং ওই অবস্থায় ৭-১০ দিন থাকে। তারপর স্টিক হয়ে যায়।
৫. পিউপা (স্টিক) : স্টিকগুলো একদম নড়াচড়া করে না; শক্ত হয়ে যায়। এই অবস্থায় ৭-৮ দিন থাকবে। এর মধ্যে মাছি হয়ে যাবে। মাছি হওয়ার পর খেয়াল রাখতে হবে যাতে তার ডানায় পানি না লাগে।
ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ের গুরুত্ব
পোল্ট্রি ফিড হিসেবে ব্যবহার : রান্না ঘরের বর্জ্যে উৎপাদিত এই পোকার লার্ভা পোল্ট্রির ফিড হিসেবে খুব ভালো ফলাফল দেয়। পোল্ট্রি ফিডে সয়াবিনের (১০-২০%) সাথে ব্লাক সোলজার ফ্লাই ফিড হিসেবে ব্যবহার করলে সব থেকে ভালো উৎপাদন পাওয়া যায়। কমার্শিয়াল ফিডের থেকে এই ফিডে প্রোটিন বেশি ও উন্নত মানের। ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ে বিদ্যমান অ্যামিনো এসিড পোল্ট্রি ফিড হিসেবে এটিকে বেশি মূল্যবান করে তোলে।
মাছের খাদ্য হিসেবে : এই পোকার লার্ভা ও প্রি-পিউপা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ে প্রোটিন ও মিনারেল যথেষ্ট পরিমাণ থাকায় এটি মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার  করা যায়। এটি মাছের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং লিপিড এর পরিমাণ বাড়ায়। এটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহারে কোন সমস্যা হয় না এবং মাছের গুণগত উৎপাদন বাড়ায়।
প্রাণীর খাদ্য হিসেবে : ব্লাক সোলজার ফ্লাই প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহারে খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এটি কুমির, ব্যাঙ, শুকর, ভেড়া প্রভৃতির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরীসৃপের খাবার হিসেবে ব্যবহারে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
বায়োডিসেল প্রডাকশন : ব্লাক সোলজার ফ্লাই থেকে বায়োডিসেল আহরণ করা যায়। প্রাণীর বর্জ্য বা গোবরে চাষকৃত লার্ভা থেকে বায়োডিসেল আহরণ করা যায়। লার্ভার শরীরের লিপিড থেকে এটি তৈরি করা যায়।
কাইটিন উৎপাদন : ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ের দেহের বহিরাবরণ থেকে কাইটিন আহরণ করা যায়। এই কাইটিন বায়োটেকনোলজি, কসমেটিকস তৈরি এবং মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
জৈবসার উৎপাদন : ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা বর্জ্য খেয়ে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে এবং এদের মধ্যে জৈবসারে পরিণত হয়, যা অন্যান্য মাইক্রোবিয়াল সারের মতোই কাজ করে। ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ের সার বায়ো ফার্টিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন কেমিক্যাল ফার্টিলাইজারের চেয়ে বেশি হয়। এ ছাড়াও এটি মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
আর্থিক উপকারিতা : ব্লাক সোলজার ফ্লাই চাষ বা খামার করা অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি। এটির খরচ কম এবং কম সময়ে উৎপাদন সম্ভব। এই কালো মাছি পোকা লো-ভ্যালু দ্রব্য যেমন- জৈব বর্জ্য থেকে হাই ভ্যালু-প্রোটিন ও মিনারেল উৎপাদন করে। দ্রুত উৎপাদিত লার্ভার খামার আর্থিক সংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। লার্ভা পোল্ট্রি ফিড ও মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি হয়। এ ছাড়াও বর্জ্য পুনপ্রক্রিয়াজাতকরণ হওয়ায় উৎপাদিত উপজাত জৈবসার হিসেবে বিক্রি ও ব্যবহার করা যায়। কম সময়ে কম পরিশ্রমে ও কম দক্ষতার দ্বারা আর্থিক সংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ খাত এটি।
পরিবেশের উপর প্রভাব : পোল্ট্রি বা লাইভস্টকের জন্য খাবার উৎপাদনে আমাদের জমির উপরে আলাদা চাপ পড়ে তাই ব্লাক সোলজার ফ্লাই ব্যবহারে জমির উপর চাপ কমবে। তাছাড়াও এদের দ্বারা পুনপ্রক্রিয়াজাতকৃত বর্জ্য পরিবেশবান্ধব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়ে। পোল্ট্রি ও লাইভস্টকের নিরাপদ ফিডের উৎস হিসেবে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপাদান হিসেবে টেকসই কৃষি উন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আর্থসামাজিক প্রভাব : সনাতনী খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আমাদের ক্রমাগত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চাহিদা মেটাতে পারছে না। এ অবস্থায় উৎপাদন বাড়াতে টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অপরিহার্য। এই ক্রমাগত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে ব্লাক সোলজার ফ্লাই একটি। টেকসই ও নিরাপদ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া এটি সারাবিশ্বে কৃষি অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে।
ব্লাক সোলজার ফ্লাই এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা : পোল্ট্রি ফিড ও লাইভস্টক ফিডের আকাশচুম্বী দাম বিশ্বব্যাপী, যেখানে এ খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে, সেখানে এক বিরাট সম্ভাবনা উৎস ব্লাক সোলজার ফ্লাই। এ ছাড়াও দূষণ ও অনিরাপদ ফিডের বিকল্প হিসেবে এটির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। ব্লাক সোলজার ফ্লাই গুণগত পোল্ট্রি, লাইভস্টক ও মাছ উৎপাদনে টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এ ছাড়াও সারাবিশ্বে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও এটি অন্যতম উপাদান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কোন পুঁজি ছাড়াই বা স্বল্প পুঁজিতে ব্লাক সোলজার ফ্লাই থেকে আর্থিক ও পরিবেশগত মুনাফা এটিকে ক্রমশ জনপ্রিয় করে তুলছে।
বর্তমানে বিশ্বে জনসংখ্যা ৮.৪ বিলিয়ন, যা ২০৫০ সালে ৯ বিলিয়ন হবে। এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার  খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণে টেকসই হাতিয়ার হিসেবে ব্লাক সোলজার ফ্লাই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে ব্লাক সোলজার ফ্লাই ক্রমশ, জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বসতবাড়ির আশেপাশে সহজেই এটি চাষ করা সম্ভব বলে এটি হতে পারে সম্ভাবনাময় শিল্প।

লেখক : অধ্যাপক, কীটতত্ত্ব বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়। মোবাইল : ০১৭৭৪৩৫৫৭৮৭, ই-মেইল :sakhawat_sau@yahoo.com