Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ

পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ
কৃষিবিদ মোঃ তারিক হাসান
র্তমান পৃথিবীতে মানবজাতির মারাত্মক কয়েকটি সমস্যার মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস এবং পরিবেশের ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতাই প্রধান। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাহীন আহরণ যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে তা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অথবা আবহাওয়ার স্বাভাবিকতাই নষ্ট করছে না বরং বহু অঞ্চলের ফসল উৎপাদন প্রচ-ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে খাদ্য সমস্যাকেও প্রকট করে তুলেছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে যে প্রাকৃতিক সম্পদটি সবচেয়ে বলিষ্ঠ প্রভাব রাখছে তা হচ্ছে বনজ সম্পদ। বনই মানুষের আদি বসতি এবং মানবসভ্যতার পথ প্রদর্শক ও প্রধান বাহন। বৃক্ষ আজও মানুষকে সভ্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ সভ্যতার জয়রথ চেপে এমন অবস্থার সৃষ্টি করছে যে, তার বসতির জন্য এবং তথাকথিত উন্নয়ন ঘটাতে গিয়ে নির্বিচারে বন ধ্বংস করে সৃষ্টি করছে বনহীন প্রান্তর।
বর্তমান শতাব্দীর শুরুতে গ্রীষ্মম-লীয় বনাঞ্চলের পরিমাণ যেখানে ছিল প্রায় ১৫০ কোটি হেক্টর, ক্রমাগত আহরণ ও ধ্বংসের কারণে বর্তমানে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেকের নিচে। প্রতি বছর গ্রীষ্মম-লীয় এলাকায় ১১০ লাখ হেক্টর করে বনভূমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শতাব্দীর শেষে তাই আশংকা করা হচ্ছে মূলীয় বনের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি বিলীন হয়ে যাবে, যদি না এখনি কোন জরুরি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। গত ২০ বছরে আফ্রিকা ও নিকট প্রাচ্যে মাথাপিছু ৫০ ভাগ এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও দূরপ্রাচ্যে মাথাপিছু ৪০ ভাগ বন কমে গেছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের ভূমিকা অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও স্পষ্ট। তাই পরিবেশকে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করতে হলে বনভূমিকে রক্ষা করা দরকার। কারণ বাতাসের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস গাছপালা গ্রহণ করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন বাতাসে ত্যাগ করে দেয়। মানুষসহ অন্যান্য জীব জগতে জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। শিল্প কারখানা এবং যান্ত্রিক যানবাহনে ব্যবহৃত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হচ্ছে, কিন্তু বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যে পরিমাণ বনজ সমাহার থাকা আবশ্যক না থাকায় বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। ১৯৫০ সনে বায়ুম-লে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি মেট্রিক টনের কম বর্তমানে তা বেড়েই দাড়িয়েছে ৬০০ কোটি মেট্রিক টনেরও বেশি। বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে। বিগত ১০০ বছরে বায়ুম-লের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৩ থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বর্তমানে আশংকাজনক হারে বাড়তে থাকলে আগামী ৫০-৬০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে ৪.০ থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সে. বেড়ে যেতে পারে। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যর বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মেরু অঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের উচ্চতা ১.০ থেকে ১.৫ মি. পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থার সৃষ্টি হলে সমুদ্র উপকূলীয় বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
সোভিয়েত রাশিয়ার এক সমীক্ষায় জানা গেছে যে, গড়ে এক হেক্টর বন প্রায় ৪ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস টেনে নেয় ও ২ টনের মত অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয় প্রতি বছরে। একইভাবে ভারতীয় পরিবেশবাদীরা সমীক্ষা করে দেখেছে, একটি ১ টন ওজনের আম গাছ ৫০ বছরে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন উৎপাদন করে, যান্ত্রিক উপায়ে তা করতে গেলে বাংলাদেশি টাকায় এর প্রয়োজন হবে ২০ লাখ টাকা। একইভাবে যেকোন প্রকারের শব্দ বা যানবাহনের হর্ণ বাজার সাথে সাথে ৮৫% গাছপালা শোষণ করে নিয়ে শব্দ দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে। এর মধ্যে নিম গাছের শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
ভূমি ক্ষয়রোধে বৃক্ষ বিশেষ অবদান রাখে। ভূমি ক্ষয়ের প্রধান কারণ বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন বা বৃক্ষ এ দুটির গতিকে কমিয়ে দিয়ে ভূমিক্ষয় রোধ করে। মুশলধারে বৃষ্টি হলে বড় গাছের ডালপালা, অন্য ছোট গাছ, এমনকি আগাছা পানির সেই তীব্র বেগকে কমিয়ে দেয়। গাছপালা নিজের বৃদ্ধির জন্য পানির কিছু অংশ ধরে রাখে এবং বাতাসে বাষ্পের আকারে কিছু অংশ আকাশে ফিরিয়ে দেয়। একটি পূর্ণবয়স্ক আম বা কাঁঠাল গাছ গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে ১০০ গ্যালনের মতো পানি বাষ্পীভূত করে বাতাসে ছেঁড়ে দেয় এর ফলে চারপাশের তাপমাত্রা কমে আসে যা এয়ার কুলারের সাহায্যে ৪-৫টি ঘরের শীতল করণের সমান। এমনিভাবে অতি বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। বাতাসের বেগ কমিয়ে একটি গাছ তার বিপরীতে যেকোন সম্পদ বা আবাসস্থল রক্ষা করতে এক বিশেষ অবদান রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পূর্ণবয়স্ক আম, জাম অথবা কাঁঠাল গাছ তার চারপাশের ৭৫% বাতাসের বেগ কমাতে সাহায্য করে, আর গাছের উচ্চতার ২০ গুণ দূরত্বে ২০ ভাগ গতি কমাতে সাহায্য করে। এমনি করেই ঝড়ের গতি কমিয়ে গাছ রক্ষা করে শহর জনপদ এবং সভ্যতা।
আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা যায়, ১ হেক্টর পাইন বন, বাতাস থেকে প্রতি বছর ৩৬ টন ধূলা/ময়লা এবং ১ হেক্টর বীচ গাছের বন প্রায় ৬৮ টন ধুলা/ময়লা নির্গমনে সাহায্য করে। ভারতীয় পরিবেশ বিজ্ঞানীদের বর্ণনায় প্রকৃতপক্ষে একটি বয়ষ্ক বৃক্ষ তার জীবদ্দশায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জীবজগতে যেসব উপকারী অবদান রাখছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
ক)  মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে    : প্রায় ৫ লাখ টাকার।
খ)  বাতাসের আর্দ্রতা বাড়িয়ে বৃষ্টিপাতের পরিবেশ সৃষ্টি করে    : প্রায় ৫ লাখ টাকার।
গ)  বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা করে : প্রায় ১০ লাখ টাকার।
(ঘ) জীবজন্তুর খাদ্যের জোগান দেয়: প্রায় ৪০ হাজার টাকার।
ঙ)  পাখি/কাঠবিড়ালী ও বৃক্ষনির্ভর প্রাণীর আবাসন সংস্থা : প্রায় ৫ লাখ টাকার।
(চ) জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ  :  প্রায় ৫ লাখ টাকার।
সুতরাং একটি বয়স্ক বৃক্ষ তার জীবদ্দশায় প্রায় ৩১ লাখ টাকার সম্পদ/উপকরণ আমাদেরকে দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।
বর্ণিত তথ্যে জানা গেল গাছের উপকারী ভূমিকার মধ্যে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক জীবের যথেষ্ট পরিমাণ পানি, বায়ুু, ও খাদ্যের প্রয়োজন। মানুষ কিছু সময় খাদ্য ছাড়া অথবা পানি ছাড়া বাঁচতে পারে কিন্তু বায়ু ছাড়া কয়েক মিনিট বাঁচা সম্ভব নয়। দূষিত বায়ু সাধারণত কলকারখানা, গৃহস্থালীর কয়েক মিনিট কাজকর্ম ও যানবাহন থেকে বেরিয়ে আসে। যারমধ্যে রয়েছে সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, নাইট্রোজেন পারঅক্সাইড, হাইড্রো কার্বন, ক্লোরাইড ইত্যাদি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, আন্তদেশীয় মাত্রার একটি এরোপ্লেন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন অক্সিজেন পোড়ায়। অনুরূপভাবে একটি মোটরগাড়ি প্রতি হাজার কিলোমিটারে একজন মানুষের ১ বছরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পোড়ায় এবং সমপরিমাণ অক্সিজেন প্রতিটন কয়লা পোড়াতে নষ্ট হয়। এ অবস্থায় অনুমান করা যাচ্ছে যে, ২৪০০ সাল নাগাদ কল-কারখানার প্রয়োজনে গাছপালা কর্তৃক সৃষ্ট অক্সিজেনের শতকরা ৯০ ভাগই শেষ করে ফেলবে, তখন মানুষের ভাগে থাকবে মাত্র ১০ শতাংশ।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
বাংলাদেশে কাঠ ও জ্বালানি কাঠের বাৎসরিক মাথাপিছু ব্যবহারের হার যথাক্রমে ০.৩৮ ও ৩২.৩ ঘনফুট। কাঠের বর্তমান চাহিদা ৫ কোটি ঘনফুটের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ঘনফুট এবং জ্বালানি কাঠের চাহিদা প্রায় ২০ কোটি ঘনফুটের মধ্যে ৪ কোটি ঘনফুট বনাঞ্চল থেকে মিটানো সম্ভব হচ্ছে। দেশের বনাঞ্চল থেকে দেশের কাঠ ও জ্বালানির চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। এ জন্যই আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ কাঠ ও জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। বর্ধিত জনসংখ্যার সাথে তাল রেখে বনাঞ্চলের পরিধি বাড়াতে না পারলে ঘাটতির পরিমাণ কি বিশাল আকার ধারণ করবে তা অনুমান করে বিশেষজ্ঞরা শংকিত হচ্ছেন। বনাঞ্চলের স্বল্পতার কারণে আমাদের কেবল জ্বালানির অভাবই অনুভূত হবে না, সে সাথে অনুভূত হবে নিত্যব্যবহার্য বহুবিধ সামগ্রীর। কাঠ থেকে বর্তমান বিশ্বে প্রায় দশ হাজার ধরনের দ্রব্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে তারমধ্যে এমন অনেক আছে যা ছাড়া আধুনিক বিশ্বে চলার কথাও চিন্তা করা যায় না। এমনিভাবে ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
বনাঞ্চল ছাড়াও গ্রামীণ বৃক্ষরাজি দেশের সার্বিক উন্নয়নে যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাঠ, জ্বালানি, ঔষুধি ও ফল ফলাদির বৃহত্তম সরবরাহ আসে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি থেকে। শুধুমাত্র খেজুর গাছকে উদাহরণ হিসেবে ধরে দেখা যায়, একটি গাছ থেকে বছরে প্রায় ২০ কেজি গুড়ের মাধ্যমে অন্ততপক্ষে ৫০০০/- টাকা আয় হয়। এমনিভাবে একটি পরিবারে ১০টি খেজুর গাছ সংরক্ষণ করতে পারলে বছরে অন্তত ৫০০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বাড়তি আয় ঐ পরিবারে সংযোজন হয়। একইভাবে নারিকেল, তাল, কাঁঠাল, জাম প্রভৃতি বৃক্ষরাজি গ্রামীণ দেশের অর্থনীতির সাথে আঙ্গীকভাবে জড়িত রয়েছে।
অপরদিকে আমাদের দেশের আয়তনের শতকরা ১০ ভাগের কম বনভূমি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান কিন্তু কম নয়। সীমিত পরিমাণ বনভূমি থেকে বছরে প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট কাঠ, পৌনে তিন কোটি মণ জ্বালানি, সাড়ে দশ কোটি বাঁশ, একুশ লাখ টন গোলপাতা, ছয় হাজার মণ মধু ও দুই হাজার মণ মোম ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও এ বনভূমি থেকে প্রচুর পরিমাণে ছন, বেত, ঘাস, পাথর, ঔষধি গাছ-গাছড়া, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি পাওয়া যায়। বনজাত দ্রব্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশে বৃহৎ ও মাঝারি আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কর্ণফুলী কাগজ কল, খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিল, খুলনা হার্ডবোর্ড মিল, খুলনা টেনিন কারখানা, কর্ণফুলী রেয়ন কারখানা ইত্যাদি।
এসব বিষয় ছাড়াও বনজদ্রব্য সংগ্রহ, বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কুটির শিল্পে অগণিত লোকের কর্মসংস্থান ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়।
দেশের অর্থনীতিতে বনজ সম্পদের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রয়েছে তা আমরা সবাই হয়তো উপলব্ধি করতে পারি না। তবে আর মনে হয় কালক্ষেপণ করার সময় নেই। সম্ভবত প্রচলিত প্রবাদ “জংগলই মংগল” কথাটি সর্বকালেই প্রযোজ্য। তাই-
“বেশি করে গাছ লাগান
ফল ও কাঠের দেবে যোগান,
পরিবেশ দূষণ দূর হবে
জীব জগৎ সুস্থ রবে”।

লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোবা : ০১৯১১৬৯২৩৭৩, ই- মেইল : hassantaeiq047@gmail.com