Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কৃষি তথ্য বিস্তারে কৃষি তথ্য সার্ভিস

কৃষি তথ্য বিস্তারে কৃষি তথ্য সার্ভিস
কৃষিবিদ মোঃ শাহজাহান আলী বিশ্বাস
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক সম্মেলন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আঞ্চলিক সম্মেলন এমন একটি আনুষ্ঠানিক ফোরাম যেখানে সদস্য দেশসমূহের সম্মানিত কৃষিমন্ত্রী এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাগণ খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বছরে এই আয়োজন দেশের জন্য বিরাট গর্বের ও সম্মানের। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ৩৬তম অধিবেশনে ৪৬টি দেশের কোভিড-১৯ এর প্রভাব, কৃষির অবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে মতবিনিময় ও পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। উন্নয়নে নতুন সোপান রচিত হয়েছে এ দেশের কৃষি খাতেও। কৃষিতে সমৃদ্ধ আজকের এ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। হাজার বছরের অবহেলিত ও শোষিত এ বাংলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ও সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন কৃষির উন্নতিই হচ্ছে কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি। কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য হবে আরও প্রজ¦লিত। বর্তমান           কৃষিতে দেশের যে অনন্য সাফল্য তা বঙ্গবন্ধুরই চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযোগী নির্দেশনায় কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয় নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা মহামারি মোকাবিলা করে গত এক দশকে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছে। এ সাফল্যের অংশীজনের অংশীদার হিসেবে কৃষি তথ্য সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  

কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি বিস্তারে নিয়োজিত কৃষি তথ্য সার্ভিস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত আধুনিক লাগসই কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি সহজ, সরল ও সাবলীলভাবে অভীষ্ট দলের বোধগম্য আকারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে বিভিন্ন আঙ্গিক ও কৌশলে উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাই হচ্ছে কৃষি তথ্য সার্ভিসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১৯৬১ সালে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে এক-তৃতীয়াংশ জনবল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চলে যায়। ২০০৮ সালের পূর্বে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ ৬টি আঞ্চলিক অফিস এবং ঠাকুরগাঁও ও কক্সবাজার  লিয়াজোঁ অফিস ছিল। বর্তমানে বরিশাল, রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটিতে পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসসহ ১১টি আঞ্চলিক অফিস ও ২টি লিয়াজোঁ অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষি তথ্য সার্ভিসের মিডিয়াভিত্তিক কার্যক্রম সুচারুভাবে চলছে। 
কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিশেষত্ব 

প্রচারই প্রসার এ সত্যকে ধারণ করে কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রিন্ট, বেতার, টেলিভিশন, প্রোডাকশন ও প্রজেকশন, আইসিটি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি বিস্তারের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার কাজ করে যাচ্ছে। এসব কার্যক্রম কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে নানাভাবে পরিচালিত হচ্ছে। প্রচার মাধ্যমগুলোর কার্যক্রমের বিবরণ-

প্রিন্ট মাধ্যম : বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফার্ম ম্যাগাজিন মাসিক কৃষিকথা প্রকাশ এবং নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হয়। মাসিক কৃষিকথা ১৯৪১ সাল থেকে কৃষক ও কৃষি সমৃদ্ধিতে আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি, আগামীর কৃষি ভাবনা, উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদ, সফল কৃষকের গল্প, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় করণীয় প্রভৃতি তথ্যসমৃদ্ধ নিবন্ধ এবং নিয়মিত বিভাগ তথ্য ও প্রযুক্তি, প্রশ্নোত্তর এবং আগামী মাসের কৃষি দিয়ে সাজানো হয় কৃষিকথা।  বর্তমান কৃষিকথার গ্রাহক সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। আর এর পাঠকের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী মাসিক ‘কৃষিকথা’ পত্রিকার প্রায় ৬৬.২৭ লাখ কপি মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়েছে। মাসিক বিভাগীয় নিউজ বুলেটিন চার রঙে প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়। কৃষি উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, সফলতা, বিভিন্ন ইভেন্টসের হালনাগাদ খবর নিয়ে সম্প্রসারণ বার্তা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত মাসিক সম্প্রসারণ বার্তার ১.৫৯ লাখ কপি প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষক ও কৃষিকর্মী এবং আগ্রহীদের চলমান চাহিদামাফিক সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর বই, বুকলেট, পোস্টার, লিফলেট, ফোল্ডার, স্টিকার, ম্যাগাজিন, ব্যানার, ফেস্টুন মুদ্রণসহ বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আলোচ্য সময়ে কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার, বুকলেট ইত্যাদির প্রায় ৫৬.০৩ লাখ কপি মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক মাধ্যম : কৃষি তথ্য সার্ভিসের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং সহায়তায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান সপ্তাহে   ৫ দিন সম্প্রচারিত হচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে বিটিভিতে প্রতিদিনের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বাংলার কৃষি’ সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলার কৃষি প্রতিদিন সকাল ৮টার বাংলা সংবাদের পূর্বে ৭.৪০ মিনিটে এবং ‘মাটি ও মানুষ’ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলার কৃষি অনুষ্ঠানে প্রযুক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও সফলতা ফেসবুক এ লাইভ সম্প্রচারিত হচ্ছে।  বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের ৩৩৩৪টি পর্ব এবং ‘বাংলার কৃষি’ অনুষ্ঠানের প্রায় ২৭৮৫টি পর্ব সম্প্রচারের যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় ও আঞ্চলিক কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বেতার কেন্দ্র থেকে দৈনিক প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে। ‘আমার রেডিও আমার কথা বলে’ এ স্লোগানকে ধারণ করে বরগুনা জেলার আমতলীতে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে কৃষি রেডিও এফএম ৯৮.৮ নামে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ১২টি উপজেলায় গ্রামীণ কল্যাণ ও চাহিদাভিত্তিক কৃষিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান দৈনিক ৮ ঘণ্টা সম্প্রচার করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ফিল্ম, ফিলার, নাটক, টকশো নির্মাণ এবং গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হচ্ছে। এ ভিডিওগুলো গ্রামীণ পর্যায়ে মোবাইল সিনেমা ভ্যানের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। আলোচ্য সময়ে কৃষি প্রযুক্তিনির্ভর ভিডিও ফিল্ম ও ফিলার ২৩৫টি নির্মাণ ও সম্প্রচার করা হয়েছে। এ সময়ে ১০৭৭০টি ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে আধুনিক কৃষি তথ্য প্রযুক্তি সম্প্রচারের কাজ চলমান রয়েছে। 

আইসিটি ও ইনোভেশন মাধ্যম : কৃষি তথ্য সার্ভিসই প্রথম গ্রামপর্যায়ে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে আইসিটি ব্যবহার করে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি তথ্য বিস্তারের কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব কেন্দ্রে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট মডেম, মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী ইত্যাদি প্রদান করে ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ  দেয়া হয়েছে। এ মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫-২০ জন কৃষিবিষয়ক তথ্য সেবা পাচ্ছেন। সেসঙ্গে সরাসরি কৃষি বিশেষজ্ঞদের (কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো মোবাইল অপারেটর মাধ্যমে মাত্র ২৫ পয়সা/মিনিট হারে কল করতে পারেন ১৬১২৩ নম্বরে। প্রতিদিন প্রায় ২০০-২২০টি করে কলের সমাধান এখান থেকে প্রদান করা হচ্ছে । বিগত ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তিনির্ভর ১০৯টি মাল্টিমিডিয়া ই-বুক তৈরি করা হয়েছে। যা সিডি আকারে সব ক’টি এআইসিসিতে বিতরণ করা হয়েছে। এআইএসটিউব কৃষি তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য ভান্ডারের একটি ডিজিটাল ওয়েবপোর্টাল। এই আর্কাইভে কৃষি বিষয়ক আধুনিক তথ্য চিত্র আকারে উপস্থাপিত রয়েছে। এখান থেকে উপকারভোগীরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবে। কৃষির বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংবলিত একটি সুবিশাল ওয়েবপোর্টাল িি.িধরং.মড়া.নফ নির্মাণ ও নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও কৃষিকথা ও কৃষি তথ্য সার্ভিস নামে দুটি মোবাইল অ্যাপস নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দশটি কৃষি অঞ্চলে দশটি আধুনিক আইসিটি ল্যাব ও সহজেই তথ্য গ্রহণের জন্য ১১টি কিয়স্ক স্থাপিত হয়েছে। মুজিববর্ষে কৃষি তথ্য সার্ভিসের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক কৃষিভিত্তিক একটি নতুন অনুষ্ঠান ‘মাটির সাথে মানুষের সাথে’ উদ্বোধন করেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটিতে কৃষিভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তি, সফলতা, কৃষিতে সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপ ইত্যাদি সম্প্রচারিত হয়।  
তথ্য ও প্রযুক্তি বিস্তারে সম্ভাবনা ও করণীয়

বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি প্রযুক্তি। প্রয়োজনের তাগিদে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে দিয়ে বৃহৎ সংখ্যক কৃষককে আধুনিক কৃষিতে সম্পৃক্ত করে কৃষির উন্নয়নে কৃষি তথ্য সার্ভিস জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করে আসছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সঠিক দিকনির্দেশনা, সময়োপযোগী নীতিমালা গ্রহণ করার ফলে কৃষি তথ্য সার্ভিস স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে (সারণি দ্রষ্টব্য)। তথ্য প্রযুক্তির যুগে দেশের সব ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্তার ঘটেছে। কৃষির সমসাময়িক বিষয়ের উপর কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের কার্যক্রম সীমিত পর্যায়ে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অ্যাগ্র ডিরেক্টরি এন্ড ইনফরমেশন অ্যাপসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ সহজীকরণের উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের “Integrated Digital Service Delivery Platform for Ministry of Agriculture" বাস্তবায়নে দপ্তর/সংস্থাসমূহের সরকারি ই-সার্ভিস ডেভেলপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা কৃষি ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষির অগ্রযাত্রার গৌরবোজ্জ্বল অংশীদার। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে কৃষি তথ্য সার্ভিস অর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক (স্বর্ণপদক), ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০- এ আইসিটি ব্যবহারে সেরা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী পদকসহ নানা স্বীকৃতি। এ ছাড়াও ডিজিটাল কৃষি তথ্য বিস্তারে উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষি তথ্য সার্ভিস ভারতের ম্যান্থন পুরস্কারে ভূষিত হয়। বর্তমান সরকারের কৃষি উন্নয়নের অব্যাহত ধারায় এআইএস কৃষি তথ্য বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সেবার মান সময় উপযোগী, আধুনিক, সহজলভ্য ও গ্রহণ উপযোগী  করা হচ্ছে। বহুবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিস নিরলস কাজ করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বর্তমান সরকারের ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।

লেখক : পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা। ফোন : ৫৫০২৮২৬০, ই-মেইল : dirais@ais.gov.bd