Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কবিতা (শ্রাবণ ১৪২৭)

জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিতে করণীয়
ড. মোঃ আলতাফ হোসেন১

পরিবর্তিত এই পৃথিবীতে পরিবর্তনের অন্ত নাই
‘জলবায়ু পরিবর্তন’ তাদের মধ্যে অন্যতম ভাই।
দীর্ঘমেয়াদি (৩০-৭০ বৎসর) আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলা হয়
যার মধ্যে তাপমাত্রা, বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত প্রধানত অন্তর্ভুক্ত রয়।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক ঘটনা
মানবসৃষ্ট কর্মকাÐে ত্বরান্বিত হচ্ছে এর পরিবর্তনের রচনা।
আধুনিকতায় বাড়ছে নগরায়ন, যান্ত্রিক সভ্যতা ও শিল্প-কারখানার চাপ
সেই চাপ সামলাতে পুড়ছে- অধিক জ্বালানি, হচ্ছে বৃক্ষ নিধন- বাপরে বাপ!
বায়ু মন্ডলে ঈঙ২সহ গ্রীন হাউজ গ্যাসের ঘনত্ব বাড়ছে আধুনিক সভ্যতার কর্মকাÐে
এসব গ্যাসের ঘনত্বের প্রভাবে পৃথিবী হচ্ছে উত্তপ্ত ক্রমবর্ধমান তাপে।
গ্রীন হাউজ গ্যাস পৃথিবীর তাপকে উপরে যেতে দেয় না
আর সেই তাপ উপরে যেতে না পেরে ধরে অনেক বায়না।
সেই বায়নায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে জলবায়ু হচ্ছে পরিবর্তিত
আর সেজন্য  বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা হচ্ছি সর্বদাই আবর্তিত।
অসময়ে বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, জলাবদ্ধতা ও খরা-জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠাÐা-গরম, সাইক্লোন এবং ঝড় ও জলোচ্ছাসের প্রাদুর্ভাব।
মোকাবেলা করে এসব দুর্যোগ ফলাতে হবে প্রয়োজনীয় সব ফসল
উদ্ভাবন করতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনেও ফসল উৎপাদনের নতুন কৌশল।
আগাম বন্যাপ্রবণ এলাকায় চাষ করুন স্বল্পমেয়াদি বোরো ধান
বন্যাপ্রবণ নিচু এলাকায় জলমগ্নতা সহনশীল ধান চাষ করে যান।
অতি নিচু ও নিচু জলাবদ্ধ জমিতে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলার চাষ করা যায়
বন্যা কবলিত এলাকায় ধানের চারাও করতে পারবেন ভাসমান বীজ তলায়।
হাওর এলাকায় চাষ করুন স্বল্পমেয়াদির বিফসলসহ ভুট্টা ও গম
বন্যাপ্রবণ চর  এলাকায় ডালফসল, মিষ্টিকুমড়া ও বাদাম- অভিযোজন সক্ষম।
খরাপ্রবণ এলাকায় করতে হবে স্বল্পমেয়াদী আমন ও আউশ ধানের চাষ
বসত ভিটায় করুন সবজি আর জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলার ব্যবহার বার মাস।
সাশ্রয় করে জ্বালানী- কৃষি উচ্ছিষ্ট দিয়ে করতে হবে কম্পোস্ট ও মাল্চিং
মিতব্যয়ী পানি সেচ আর উৎপাদন করতে হবে ফসল- কম চাষ বা চাষ বিহীন।
মিনিপুকুর খনন করে আমন ধানের কাক্ষি ফলন পেতে দিতে হবে সেচ
সেই সাথে পুকুর পাড়ে সবজি আর পুকুরে মাছ চাষ করা যাবে বেশ!
আমন ধান কাটার পর জমিতে রস থাকতেই করতে হবে ডাল বা তেল ফসলের চাষ
এসব এলাকায় করা যাবে মসলা ও সবজির চাষ, ছাঁটায় করে-খরাসহিষ্ণু কুল গাছ।
উপক‚লীয় লবণাক্ততাপ্রবণ এলাকায় করতে হবে লবণাক্ততা সহনশীল ধানের চাষ
সর্জান পদ্ধতিতে উঁচু বেডে চাষ করে পাওয়া যাবে সবজি ও ফল- বারমাস।
মাল্চিং পদ্ধতি ব্যবহার ও জমিতে গভীরভাবে চাষ করে উপরে লবণ আসা করা যাবে নিয়ন্ত্রণ
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে জমিতে মিনিপুকুর খনন করে শুষ্ক মৌসুমেও ফসলে দেয়া যাবে সেচন।
অবলম্বন করে বর্ণিত কলাকৌশল মোকাবেলা করা যাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
আশা করি কৃষির অগ্রগতি অদম্যই থাকবে, হবেনা কখনো কৃষিপণ্যসহ খাদ্যের অভাব। য়

১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত¡ বিভাগ, ডালগবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা। মোবাইলনং- ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫, ই- মেইল :  hossain.draltaf@gmail.com.

ফল
ড. খান মো. মনিরুজ্জামান২

ফল খেলে বল বাড়ে,
জ্ঞান বুদ্ধির জট ছাড়ে।
চেহারা যে দৃষ্টি কাড়ে,
গুরুত্ব বুঝি হাড়ে হাড়ে।
ফল খেয়ে পাব ফল,
ফল খেয়ে খাবনা জল।
খাবারে নীতি কৌশল,
ফলাহারেই বুদ্ধি বল।
ফল খেয়ে পোয়াবারো,
সন্দেহ নেই তাতে কারো।
পরিমিত খেতে পারো,
ফল কিনে ধারে ধারো।
তাল, বেল, আতা, আম,
কলা, চেরি, লিচু, জাম।
এসব ফল নয়নাভিরাম।
উপাদেয় খেয়ে কি আরাম!
সফেদা, কাঁঠাল, ড্রাগন,
পেয়ারা, পেঁপে, পার্সিমন।
খেলে সতেজ হয় জীবন।
স্বাদে, গুণে মানিক রতন।
আমলকী, আমড়া, ডেফল,
আনারস, আতা, আঁশফল।
কামরাঙা, কুল, পানিফল।
ম্যাঙ্গোস্টিন গাব অবিকল।
ডুংকর, বিলিম্বি, চালতা,
শরিফা, ডেউয়া, আতা।
স্ট্রবেরি, লটকনের কথা,
ফল টক, মিষ্টি, তিতা।
ফলে বৃক্ষের পরিচয়,
জয় পরাজয় নির্ণয়।
প্রচেষ্টায় ফল সমন্বয়।
ফল খেয়ে ভালো ফল হয়। য়

২জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, ডিএই, ঝিনাইদহ। মোবাইলনং- ০১৭১২-৮২২৭৪৯, ই- মেইল : dr.md.monir7@gmail.com