Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পরিবর্তিত-জলবায়ুতে-টেকসই-মৃত্তিকা-ব্যবস্থাপনা

পরিবর্তিত জলবায়ুতে টেকসই 
মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা
হাছিনা আকতার
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কৃষি জমির উপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অব্যাহত চাপ, প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে নানা প্রকারের দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে যেমন- অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, উজানের ঢল, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের কৃষিকে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের এ পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। ক্রমবর্ধমান এ জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের মাধ্যমে অধিক ফসল ফলনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন উপযোগী কৃষির জন্য সঠিক ও টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা হল মাটিকে রক্ষা করার জন্য এবং এর কার্যকারিতা (যেমন: মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনক্ষমতা) উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অনুশীলন এবং চিকিৎসার প্রয়োগ। অঞ্চল বিশেষে ব্যবহার উপযোগী বিজ্ঞানসম্মত অভিযোজন কৌশলই হবে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষাকবজ। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে নানা রকম বৈচিত্র্য রয়েছে। এই  বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি ও পরিবর্তিত জলবায়ুতে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে টেকসই মাটি ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব ব্যবস্থাপনা  গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক সেগুলো নিম্নরূপ-
ভূমি ক্ষয়রোধ : ভূমি ক্ষয়রোধ করার জন্য কনজার্ভেশন পদ্ধতিতে চাষাবাদ অর্থাৎ শূন্য কর্ষণ পদ্ধতি অনুশীলন করতে হবে। মাটিকে যথাসম্ভব কম আলোড়িত করতে হবে। মাটির উপরিভাগে সাধারণত ৭-৮ ইঞ্চি গভীরতা পর্যন্ত ফসলের পুষ্টি উপাদান থাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, পানি প্রবাহ, বাতাসের গতি ইত্যাদির কারণে উপরিভাগের মাটি স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে সঞ্চিত পুষ্টি উপাদান বিনষ্ট হয়ে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। তাই বৃষ্টি ও বন্যার পানি গড়ানোর সময় যাতে জমির উপরিভাগের মাটি অপসারিত না হয় এবং নালা ও খাদের সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
 সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ : উদ্ভিদ পুষ্টির জন্য মাটি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদান গ্রহণ করে বিধায় বিভিন্ন ফসল আবাদের ফলে মাটির উর্বরতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। বিভিন্ন ফসল মাটি থেকে বিভিন্ন পরিমাণে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে থাকে। তাই মাটির পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণের জন্য জমিতে জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে।
জৈব পদার্থ ব্যবহার : মাটির ভৌতিক ও রাসায়নিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য জৈব পদার্থের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জৈব পদার্থ মাটির দৃঢ়তা কমিয়ে, মাটিকে ঝুরঝুর করে। ফলে গাছের শিকড় সহজে প্রবেশ করতে পারে, মাটিতে বায়ুচলাচল বৃদ্ধি করে, পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক হেক্টর জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১% বৃদ্ধি করলে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বীজের অংকুরোদগম বৃদ্ধি পায়, অনুজৈবিক কার্যকলাপকে বৃদ্ধি করে। এনজাইম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান সহজলভ্য করে, সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি  করে। ইউরেজ এনজাইম ইউরিয়া সারকে নাইট্রেট ও এমোনিয়াম আয়নে পরিণত করে গাছের জন্য গ্রহণ উপযোগী করে। একইভাবে ফসফাটেজ এনজাইম টিএসপি ও ডিএপি সারকে গাছের জন্য গ্রহণ উপযোগী করে। ফলে সারের অপচয় কমায় এবং বায়ুম-লে নাইট্রাস অক্সাইড ও অ্যামোনিয়া গ্যাসের নির্গমন কমায়। নাইট্রাস অক্সাইড একটি অত্যন্ত  শক্তিশালী গ্রিনহাউজ গ্যাস যার স্থায়িত্ব ১১৪ বছর এবং যা গত ১০০ বছর ধরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি তাপ ধরে রাখছে যা জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 
জৈব পদার্থ উদ্ভিদের গৌণ খাদ্যোপাদান সরবরাহ, মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারকত্বের তারতম্য অর্থাৎ বাফারিং ক্ষমতা রক্ষা এবং মাটির রাসায়নিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। বেশি পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারজনিত বিষাক্ততা হ্রাস করে। ক্ষতিকারক রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কমায়, মাটির দলা গঠনের মাধ্যমে মাটির ক্ষয় রোধ করে। আদর্শ মাটিতে কমপক্ষে ৫% জৈব পদার্থ থাকা উচিত। ন্যূনতম ২ শতাংশ থাকলে সেটিকে ধরা হয় মোটামুটি মানের। কিন্তু দেশের মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ এখন গড়ে ২ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে এমনকি কোথাও কোথাও ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। জৈব উপাদানকে মাটির প্রাণ বলে। পুষ্টি উপাদানের আধার/গুদাম ঘর বলা হয়। সুতরাং জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈবসার নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে। জৈবসার হিসেবে গোবর সার, কম্পোস্ট, খামারজাত সার, খৈল, ট্রাইকো কম্পোস্ট, বোনমিল, ফিসমিল, ভার্মি কম্পোস্ট, হাঁস-মুরগির বিষ্টা, বায়োস্লারী, বায়োচার ইত্যাদি প্রয়োগ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করতে হবে। 
উপযুক্ত শস্য বিন্যাস অনুসরণ : জমিতে প্রতি বছর একই ফসল বা একই ধরনের ফসলের চাষ করলে একটি নির্দিষ্ট স্তরের নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান ক্ষয় হয়ে উর্বরতা বিনষ্ট হয়। তাই পর্যায়ক্রমে গুচ্ছমূল জাতীয় ফসলের পর প্রধান মূলজাতীয় ফসল, একবীজপত্রীর পর দ্বিবীজপত্রীর ফসল এবং অধিক খাদ্য গ্রহণকারীর পর স্বল্পখাদ্য গ্রহণকারী ফসল আবাদ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মাটির প্রকৃতি এবং ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে উপযুক্ত শস্যবিন্যাস অনুসরণ করতে হবে।
ডাল জাতীয় ও সবুজসার ফসলের চাষ : বিভিন্ন ধরনের ফসল মাটি থেকে অধিক পরিমাণ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে। ফলে মাটিতে দ্রুত এর অভাব দেখা দেয়। জমিতে মাঝে মধ্যে ডালজাতীয় ফসল চাষ করে এ ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা যায়। কারণ এগুলোর শিকড়ের গুঁটিতে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে এবং বায়ু থেকে নাইট্রোজেন আহরণ পূর্বক গুটিতে সঞ্চয় করে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ধৈঞ্চা ও শিমজাতীয় শস্য চাষ করে সবুজ অবস্থায় মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। বছরে অন্তত একবার সবুজ সার তৈরি করা উচিত। 
আচ্ছাদন শস্যের চাষ : কিছু কিছু পুষ্টি উপাদান রোদের তাপে নষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে জমি লতাপাতায় ঢেকে থাকে এমন শস্য (যেমন-শসা, বাংগি, তরমুজ, আলু, মিষ্টিকুমড়া, ক্ষিরা ইত্যাদি) চাষ করলে ঐসব পুষ্টি উপাদন মাটিতে সংরক্ষিত থাকে।
মালচ বা জাবরা প্রয়োগ : কিছু কিছু ফসলে (আলু) জাবরা প্রয়োগ করতে হয়। এতে জাবরা দ্বারা মাটি ঢাকা থাকে ফলে পুষ্টির অপচয় হয় না, আর্দ্রতা সংরক্ষণ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আগাছা দমন করে।
দেশী জাতের শস্যের চাষ : হাইব্রিড বা উচ্চফলনশীল জাতের শস্য মাটি থেকে প্রচুর পুষ্টি উপাদান শোষণ করে মাটিকে অনুর্বর করে। অপর দিকে দেশী জাতের শস্য কম পুষ্টি শোষণ করে।
শস্যের অবশিষ্টাংশ জমিতে রাখা : জমি থেকে শুধু ফসল সংগ্রহ করার পর খড় বা শাখা-প্রশাখা-লতাপাতা জমিতে রাখলে পরবর্তীতে শস্যচাষ করার সময় মাটিতে মিশালে মাটি উর্বর হয়।
শস্য বহুমুখীকরণ : শস্যাবর্তন, আন্তঃফসল চাষ, রিলে ক্রপিং ইত্যাদি অনুসরণ করতে হবে যা মাটির ক্ষয় রোধ করে, বিভিন্ন পুষ্টি যোগায় এবং রোগজীবাণু ও কীটপতঙ্গের চক্র ভাঙতে সাহায্য করে।
জমিকে বিশ্রাম দেয়া : দীর্ঘদিন ধরে একই জমিতে কোনোরূপ বিশ্রাম ছাড়া নিবিড় চাষাবাদ করা হলে মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলির অবনতি ঘটে। তাই কয়েক বছর পর অন্তত এক মৌসুমের জন্য জমি পতিত রেখে বিশ্রাম দেয়া প্রয়োজন। অবশ্য এ সময়ে জমিতে সবুজ সারের চাষ বা নিয়মিত পশুচারণের ব্যবস্থা করলে ভূমির উর্বরতা আরো বৃদ্ধি পায়।  
জীবাণু সারের ব্যবহার : ইউরিয়া সারের পরিবর্তে জীবাণু সার ব্যবহার করলে রাইজোবিয়াম ব্যাক্টেরিয়া বাতাস থেকে নাইট্রোজেন শোষণ করে মাটিকে উর্বর করে এবং ট্রাইকোডার্মা সার নাইট্রোজেন যোগ করার পাশাপাশি জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে। 
মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারকত্ব নিয়ন্ত্রণ : মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারকত্ব অতিরিক্ত বেড়ে গেলে উর্বরতা হ্রাস পায় এবং ঐ অবস্থায় অনেক খাদ্যোপাদান ফসলের গ্রহণ উপযোগী হয় না। তাই অম্লীয় মাটিতে চুন এবং ক্ষারীয় বা লবণাক্ত মাটিতে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। 
চাষাবাদ পদ্ধতির উন্নয়ন : ত্রুটিপূর্ণ চাষাবাদ পদ্ধতি মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করে। কিন্তু উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভূমির উর্বরতা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা সম্ভব। জমি সবসময় একই গভীরতায় কর্ষণ করলে ঐ গভীরতার নিচে একটা শক্ত স্তরের সৃষ্টি হয় এবং ওই স্তরের নিচ থেকে খাদ্যোপাদান আহরণ করা সম্ভব হয় না। তাই ভূমি কর্ষণের গভীরতা ও অন্যান্য আবাদ প্রক্রিয়া মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা উর্বরতা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। 
সুষ্ঠু পানি সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা : সুষ্ঠু সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে জমির উর্বরতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই জমিতে পরিমিত সেচ দেয়া ও অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। পানির অপচয় কমাতে এবং মাটির ক্ষয় কমাতে দক্ষ সেচ পদ্ধতি যেমন: ড্রিপ সেচ বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে।
ক্ষতিকারক রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন : মাটিতে অনেক সময় ক্ষতিকর রোগ ও কীটের জীবাণু বা ডিম থাকে এবং ফসল উৎপাদনকালে সেগুলো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পর্যায়ক্রমে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে জমি চাষ করলে এবং মাটি রোদে শুকিয়ে নিলে সেগুলো বিনষ্ট হয়ে যায় এবং মাটির উন্নয়ন সাধিত হয়। প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সঠিক কৌশলে উপযুক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। 
আগাছা দমন : আগাছা মাটি থেকে খাবার গ্রহণপূর্বক ভূমির উর্বরতা খর্ব করে ও শস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই জমিতে কখনও আগাছা জন্মাতে না দেয়া ও সর্বদা পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। 
মৃত্তিকা জীবাণু সংরক্ষণ : মাটিতে অসংখ্য উপকারী জীবাণু থাকে এবং এরা ফসফরাস, লৌহ প্রভৃতি অদ্রবণীয় পদার্থসমূহকে পানিতে দ্রবণীয় অবস্থায় রূপান্তর ও বায়ু থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংযুক্ত করে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। তাই মাটিকে এমনভাবে পরিচর্যা করা দরকার যেন মৃত্তিকা জীবাণুসমূহের বসবাসের পরিবেশ সমুন্নত থাকে। 
পক মাটি ব্যবহার : সাধারণত বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির সাথে মাটির উপরিভাগের পুষ্টি উপাদান ও জৈব পদার্থ অপসারিত হয়ে পথিমধ্যে পুকুর, ডোবা, নালা প্রভৃতির তলদেশে জমা হয়। এ ভাবে জমাকৃত মাটিকে পক মাটি বলে এবং এটা খুবই উর্বর হয়। শুষ্ক মৌসুমে ঐ মাটি কেটে আবাদি জমিতে মিশিয়ে দিলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। 
মাটি পরীক্ষা এবং পুষ্টি ব্যবস্থাপনা : অতিরিক্ত সার প্রয়োগ এড়াতে এবং পুষ্টির সুষম মাত্রা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মাটি পরীক্ষা করে পুষ্টির মাত্রা, পিএইচ এবং জৈব পদার্থের পরিমাণ জেনে নিতে হবে এবং সুপারিশকৃত মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
জীববৈচিত্র্য : উপকারী জীবকে সমর্থন এবং বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবাগুলো উন্নত করে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল বজায় রাখতে হবে বা তৈরি করতে হবে।

লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, গোপালগঞ্জ। মোবাইল : ০১৯১১৬২১৪১৫, ই-মেইল :hasinasrdi@gmail.com