Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পরিবেশ সুরক্ষায় প্রাণিসম্পদ খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

পরিবেশ সুরক্ষায় প্রাণিসম্পদ 
খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
ডা: মোঃ সুলাইমান হোসাইন১ ড. মোঃ আব্দুল মালেক২
খামার পরিচালনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবাদি প্রাণীর বাণিজ্যিক খামারের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় খামারের আয়ের উৎসের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারে। খামারের কঠিন বর্জ্যরে মধ্যে রয়েছে বিষ্ঠা, উচ্ছিষ্ট খাদ্য, শুকনো ঘাস/খড়, বেডিং ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহৃত খড় এছাড়া তরল বর্জ্য পদার্থের মধ্যে রয়েছে মূত্র ও খামারের কাজে ব্যবহৃত পানি। দেখা গেছে ত্রিশ কেজি ওজনের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ছাগল/ভেড়া দৈনিক প্রায় ৫০০-৮০০ গ্রাম তাজা বিষ্ঠা এবং প্রায় ৬০০ মিলি মূত্র ত্যাগ করে। ৩০০ কেজি ওজনের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গরু/মহিষ দৈনিক প্রায় ১০-১৫ কেজি তাজা বিষ্ঠা এবং প্রায় ১৫-২০ লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
প্রাণিসম্পদ খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপকারিতা
গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ইত্যাদির সরবরাহকৃত খাদ্যের ৫০-৬০% মল ও মূত্র হিসাবে বেরিয়ে  আসে, যা আংশিক বা পরিপূর্ণভাবে নষ্ট বা অপচয় হওয়ার কারণে পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটে। খামার ব্যবস্থাপনায় গবাদিপশুকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ করায় রুমেন থেকে মিথেন উৎপাদন প্রায় ৩০% হ্রাস পায় ও পরিবেশ সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রাণীর রোগ মুক্তি ও পরিবেশ সুরক্ষায় মৃত প্রাণীর চামড়া ছাড়ানো যাবে না। মৃত পশু-পাখি যত্রতত্র মাঠে ময়দানে বা ঝোপঝাড়ে না ফেলে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় গোবর/বিষ্ঠা, মূত্র, খাদ্যের উচ্ছিষ্ট ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ যথাযথভাবে ও সময়মতো অপসারণ করলে পরিবেশ সুরক্ষিত হবে। এ কাজে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করা যেতে পারে।  গোবর/বিষ্ঠা থেকে কম্পোস্ট সার প্রস্তুত করা হলে একদিকে পরিবেশে দুর্গন্ধ দূর হয় ও অন্যদিকে  উৎপাদিত কম্পোস্ট সার কৃষিতে ব্যবহার করায় কৃষির উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট থেকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদন হওয়ায় দূষণমক্ত বায়ু ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি ও উন্নত মানের জৈবসার উৎপাদন হয়। তাই বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছে। বর্জ্য সঠিকভাবে কম্পোস্ট করা হলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারা যায় ও প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রিত হয়। খড় এর সাথে মোলাসেস মিশিয়ে গরু/মহিষকে খাওয়ালে ৩০-৩৫% মিথেন গ্যাস উৎপাদন কমে আসবে এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রাণিসম্পদ খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি
পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত কিছু কার্যকর পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে :
প্রাণিসম্পদ খামার থেকে উৎপন্ন জৈব বর্জ্য কম্পোস্টে রূপান্তর করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
প্রাণিসম্পদ খামার থেকে বর্জ্য ব্যবহার করে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায়, যা রান্না ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়।
বর্জ্য জমা করার জন্য ল্যাগুন সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে বর্জ্য প্রাকৃতিকভাবে পচে যায়।
খামারের বর্জ্য থেকে পানি আলাদা করে তা ফিল্টার করা ও শোধন করা যেতে পারে, যা পুনরায় ব্যবহারের জন্য উপযোগী।
গবাদিপশুর মল ও অন্যান্য বর্জ্য মালচিং উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যা মাটির ক্ষয় রোধে সহায়ক।
খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত, যা বর্জ্য উৎপাদনের স্থান থেকে শুরু করে তার পুনর্ব্যবহার পর্যন্ত সকল ধাপকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
আমাদের দেশের প্রাণিসম্পদ খামারিরা খুব কম খরচে স্বল্প সময়ে নিচের যেকোন পদ্বতিতে অবলম্বন করে তাদের খামারের উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন।
কম্পোস্টিং এর মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : নিয়ন্ত্রিত জৈবিক প্রক্রিয়ায় খামারের কঠিন বর্জকে গাঁজানোর মাধ্যমে জৈবসারে পরিণত করা যায়। এক্ষেত্রে বর্জ্যে বিদ্যমান জীবাণু তাপ সৃষ্টির মাধ্যমে জৈব পদার্থের রূপান্তর ঘটায়। এর ফলে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় এবং বর্জ্যসমূহের জলীয় অংশ উদ্বায়ী হয়ে সহজে বহনযোগ্য হালকা বস্তুতে পরিণত হয়। আবার কেঁচো সার উৎপাদনের মাধ্যমেও বর্জ্য থেকে জৈবসার তৈরি করা যায়।
কম্পোস্ট ও কম্পোস্টিং প্রক্রিয়া : কম্পোস্ট হচ্ছে পচা জৈব উপকরণের এমন একটি মিশ্রণ যা উষ্ণ আর্দ্র পরিবেশে অণুজীব কর্তৃক প্রক্রিয়াজাত হয়ে উদ্ভিদের সরাসরি গ্রহণ উপযোগী পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করে। কম্পোস্টিং বা পচানো হচ্ছে  প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি জৈবপচন প্রক্রিয়া, যা জৈব পদার্থকে স্থিতিশীল দ্রব্যে রূপান্তর করে। যেসকল অণুজীব পচনশীল পদার্থকে তাদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার কবে, সেসব অণুজীবের উপর এ প্রক্রিয়া নির্ভরশীল। কম্পোস্টিং প্রক্রিয়ায় বর্জ্যরে গন্ধ ও অন্যান্য বিরক্তিকর সমস্যা সম্বলিত পদার্থকে স্থিতিশীল গন্ধ ও রোগ জীবাণু, মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গের প্রজননের অনুপযোগী পদার্থে রূপান্তরিত করে। এ প্রক্রিয়াটি চলার সময় নিয়ন্ত্রিত  পরিবেশে পরিত্যক্ত বর্জ্য প্রক্রিয়ার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় তাতে রোগ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।  মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনার প্রকারভেদে কম্পোস্ট সার প্রস্তুত হওয়ার সময় ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে কম্পোস্ট সার হিসাবে তখনই উপযুক্ত হবে যখন তার রং গাঢ় বাদামি হবে,  তাপ কমে আসবে এবং একটা পচা গন্ধ বের হবে। কম্পোস্ট তৈরির জন্য খামারের একপাশে একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে স্থানটি চারদিকে নির্দিষ্ট মাপের (দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, প্রস্থ ৫ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট) ইট দিয়ে ঘিরে একটি পিট তৈরি করতে হবে। জৈব বর্জ্যরে মিশ্রণ খড়, মুরগির দেহাবশেষ, বিষ্ঠা ও পানির অনুপাত হবে যথাক্রমে ১ ঃ ১ ঃ ১.৫ ঃ ০.৫ । প্রতি স্তরে তিন ভাগ পানি যোগ করতে হবে। উক্ত অনুপাত ঠিক রেখে মিশ্রণটি তৈরি হলে দ্রুত এবং গন্ধহীনভাবে বর্জ্য কম্পোস্টিং হবে। কম্পোস্টিং  প্রক্রিয়া ১৪ দিনের মধ্যে সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।
কুইক কম্পোস্ট এর মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : প্রথমে ১ ভাগ খৈল ভালভাবে গুঁড়া করে ২ ভাগ চালের কুঁড়া/কাঠের গুঁড়া এবং ৪ ভাগ গোবর/হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার সাথে ভাল করে মিশাতে হবে। প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি মিশিয়ে স্তূপ করে রেখে দিতে হবে, উপরে কোন কিছু দিয়ে ঢাকা যাবে না। তিন-চার দিন পর স্তূপ ভেঙ্গে ওলট-পালট করে পুনরায় স্তূপ করে রাখতে হবে। স্তূপ বেশি গরম অনুভূত হলে খৈলের সমপরিমাণ গোবর/হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা পুনরায় মিশিয়ে দিতে হবে। প্রতি দুইদিন পর পর স্তুূপ ভেঙ্গে ওলট-পালট করে পুণরায় স্তূপ করে রাখতে হবে। এভাবে দুইদিন পরপর ওলট-পালট করতে থাকলে ১৪-১৬ দিনের মধ্যে উক্ত সার জমিতে প্রয়োগ উপযোগী হয়ে যাবে।
ভার্মি-কম্পোস্টিং এর মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য প্রথমে কাঁচা গোবর সংগ্রহ করে স্তূপ করে রাখতে হবে। স্তূপকৃত গোবর পলিব্যাগ/চটের বস্তা বা চট দিয়ে ৬-৮ দিন ঢেকে রাখলে তা আধা গাঁজানো গোবরে পরিণত হবে। আধা গাঁজানো গোবর নেড়েচেড়ে আলাদা করে কাঁচা গোবরের গন্ধ বের করে দিতে হবে ও কেঁচো পালনের উপযোগী করতে হবে। এরপর ছায়াযুক্ত, বসতবাড়ি হতে কিছুটা দূরে নিরিবিলি পরিবেশে, পানি জমে না এরূপ স্থানে কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য চাড়ি বা রিং স্থাপন করে তাতে আধা গাঁজানো গোবর দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য উৎস্য হতে বিশেষ জাতের গোবরখাদক কেঁচো সংগ্রহ করে সাধারণত ১৫০ কেজি গোবরে ন্যূনতম ২০০০টি কেঁচো যোগ করতে হবে। রিং বা চাড়ির ভেতর পিঁপড়া, উইপোকা, ছুঁচো প্রভৃতির আক্রমণ হতে রক্ষার জন্য রিং বা চাড়ির চারপাশে ২ ইঞ্চি প্রশস্ত ও ২ ইঞ্চি গভীর গর্ত করে সর্বদা পানি ভরে রাখতে হবে এবং  রিং বা চাড়ির মুখ নেট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কেঁচোযুক্ত আধা গাঁজানো গোবর মিশ্রণে হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মিশ্রণের উপর আধা ভেজা চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কয়েকদিন পর চটের ব্যাগটি পরীক্ষা করতে হবে। মিশ্রণের উপরের চটটি শুকিয়ে গেলে আবার হালকা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কেঁচো ৮-১০ সপ্তাহে প্রজননক্ষম হবে। প্রজননক্ষম কেঁচো ডিম পাড়া শুরু করে এবং এক বছর পর্যন্ত অনবরত প্রতি সপ্তাহে ২-৩টি ডিম পাড়ে । কেঁচোর ডিম কোকনে পরিণত হবে। কোকন বা ডিম থেকে বাচ্চা হতে প্রায় ৩২-৭৩ দিন সময় লাগবে। সাধারণত ১৫০ কেজি আধা-গাঁজানো গোবরে ন্যূনতম ২০০০টি কেঁচো ছাড়লে ৪০-৪৫ দিনে প্রায় ৫০ কেজি কেঁচো সার পাওয়া যেতে পারে। কেঁচো সাধারণত উপর থেকে নিচের দিকে গোবর খেয়ে থাকে, এজন্য কেঁচো ছাড়ার ১৫-২০ দিন পর রিং বা চাড়ির উপরের স্তর থেকে চা পাতার মত ঝুরঝুরে কেঁচোর মল সংগ্রহ করে সার হিসেবে তা আলাদা করতে হবে। রিং বা চাড়ি থেকে কেঁচো ও কেঁচো সার মিশ্রণ চালুনিতে ছেঁকে আলাদা করতে হবে। কেঁচো সার থেকে সব কেঁচো আলাদা না হওয়া পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে। চালুনি দিয়ে সংগ্রহ করা কেঁচো সারে প্রায় ৩০-৪০% পানি থাকে। এরূপ ভেজা কেঁচো সার ৫-৬ ঘণ্টা উজ্জ্বল রোদে শুকাতে হবে। ভেজা কেঁচো সার ঝুরঝুরে না হওয়া পর্যন্ত রোদে শুকাতে হবে।
ট্রাইকো-কম্পোস্টিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা :               ট্রাইকো-কম্পোস্টিংয়ের প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো গোবর, পচা লতা পাতা, গৃহস্থালি আবর্জনা, ধানের তুষ, কাঠের গুঁড়া, কচুরীপানা, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ইত্যাদি। প্রথমে ১ মিটার দৈর্ঘ্য, ১ মিটার প্রস্থ ও অর্ধহাত গভীরতা বিশিষ্ট একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। সর্বপ্রথম সংগৃহীত আবর্জনা হতে অপচনশীল দ্রব্য সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর গর্তে ১ম স্তরে পচনশীল বর্জ্য ঢালতে হবে। এরপর ১ম স্তরে ট্রাইকোডার্মা সাসপেনশন স্প্রে করতে হবে। আবার গর্তে ২য় স্তরে পচনশীল বর্জ্য ঢালতে হবে। এরপর ২য় স্তরে আবার ট্রাইকোডার্মা সাসপেনশন স্প্রে করতে হবে। গর্তের ৩য় স্তরে আবার পচনশীল বর্জ্য ঢালতে হবে। এরপর ৩য় স্তরে আবার  ট্রাইকোডার্মা সাসপেনশন স্প্রে করতে হবে। বৃষ্টি/প্রচ- রোদ থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা ছাউনি দিতে হবে। সাত দিন পরপর গর্তের বর্জ্য ভালভাবে মেশাতে হবে। এভাবে মোটামুটি ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে সার তৈরি হয়ে যাবে।
পানি মিশ্রিত বিষ্ঠা ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : খামারের পানি মিশ্রিত বিষ্ঠা ও তরল বর্জ্যকে ড্রেনের মাধ্যমে সিমেন্টের তৈরি আধারে সংরক্ষণ করা যায়। আধার ছোট বা বড় হওয়া নির্ভর করে খামারের আকারের উপর। এ ছাড়াও পাম্প সুবিধা থাকলে তরল বর্জ্যকে সরাসরি জমিতে বা কম্পোস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে গবাদিপ্রাণির খামারে উৎপাদিত পানি মিশ্রিত বিষ্ঠা ও তরল বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।
পরিশেষে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় য়ে, উল্লিখিত উপায়ে সঠিকভাবে প্রাণিসম্পদ খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা গেলে পরিবেশ সুরক্ষা হবে এবং অর্থনৈতিক উপকার পাওয়া যাবে।

লেখক : ১উপব্যবস্থাপক, মোবাইল : ০১৭১৩৭৭৫০৩৬, সমন্বিত কৃষি ইউনিট, পিকেএসএফ, ইমেইল : ংঁষধরসধহাবঃ@মসধরষ.পড়স ২মহাব্যবস্থাপক, সমন্বিত কৃষি ইউনিট, পিকেএসএফ,