পুষ্টি নিরাপত্তার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ
কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
ড. নাজমুন নাহার করিম
পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন একে অন্যের পরিপূরক। স্বাস্থ্যের সাথে পুষ্টি আর পুষ্টির সাথে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নও অবিচ্ছেদ্য। সুস্থ, সবল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নাই। দেহের গঠন, বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনসহ দেহকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে খাদ্য। সুস্থ সবল দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করা খাদ্য গ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ অত্যাবশ্যক। মানবজাতির অস্তিত্বেও প্রশ্নে খাদ্যের অপরিহার্যতা, ব্যাপ্তি, সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতি বছর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশও প্রতি বছর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করে থাকে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘জরমযঃ ঃRight to foods for a better life and a better future অর্থাৎ ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ।
স্বাধীনতার সময় ১৯৭০ সালে এ দেশে দানাজাতীয় খাদ্যশস্যের (ধান ও গম) মোট উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১৯ লক্ষ টন। তখন প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য জোগানে ঘাটতি ছিল। বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিতে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ টন। দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের মানুষ বেড়েছে প্রায় ২.২৫ গুণ, সেইসাথে খাদ্যশস্য উৎপাদনও বেড়েছে প্রায় ৩.২৫ গুণ। অর্থাৎ জনপ্রতি খাদ্যশস্যের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। ফলে মাথাপিছু ক্যালরি প্রাপ্তির নিরিখে বাংলাদেশ আজ দানাজাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এভাবেই দানাজাতীয় খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ (বিবিএস, ২০২১)।
তবে শুধু ক্যালরি প্রাপ্তি নিশ্চিতই যথেষ্ট নয়, একজন মানুষের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম খাওয়া প্রয়োজন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সত্তরের দশকের তুলনায় পুষ্টি সমৃদ্ধ এসব কৃষিপণ্যের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭০ সালে ফলের উৎপাদন ছিল ১৭ লক্ষ টন, যা বর্তমানে (৩ গুণ) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লক্ষ টনে। সেইসময় উৎপাদিত ৯ লক্ষ টনের সবজি বর্তমানে (৫.১ গুণ) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লক্ষ টনে। একইভাবে ডাল ও তেলজাতীয় শস্যের উৎপাদন যথাক্রমে ১.৫ ও ৩.৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ৪.৩ ও ৯.৯ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে। মাছ, গোশত ও দুধ উৎপাদন যথাক্রমে ৩০, ৩৩.৬ ও ১০.৮ গুণ বেড়ে বর্তমানে ৪৫, ৮৪ এবং ১১৯ লক্ষ টনে উন্নীত হয়েছে (বিবিএস, ২০২১)। বর্তমানে আমরা জনপ্রতি দৈনিক প্রয়োজনীয়তার হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত, মাছ, গোশত ও ডিম পাই যদিও দুধ ও ফল-সবজিতে পিছিয়ে আছি। বর্তমানে জনপ্রতি দৈনিক ৪৯৬, ৬৩ ও ১২০ গ্রাম চাল, মাছ ও গোশতের প্রয়োজনের বিপরীতে আমরা পাচ্ছি যথাক্রমে ৬২০, ৭৪ ও ১৩৮ গ্রাম। ডিমও জনপ্রতি বার্ষিক ১০৪টির বিপরীতে ১২৩টি করে পাচ্ছি। তবে জনপ্রতি দৈনিক দুধ ও ফল-সবজি এর প্রয়োজনীয়তার (যথাক্রমে ২৫০ মিলি ও ৪০০ গ্রাম) বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ২৩৪.৪৫ মিলি ও ২৯২ গ্রাম (এফএও ও ডব্লিউএইচও, ২০১৪ এবং বিবিএস ২০২১, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২০২৪)।
একদিকে কৃষিজমি কমে যাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব অন্যদিকে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরও দানাজাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। নিত্যনতুন গবেষণা, উচ্চফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নত মানের বীজ, ভর্তুকি মূল্যে সার-সেচের প্রাপ্যতা, কৃষি যন্ত্রের আধুনিকায়ন এবং কৃষি খাতে বর্তমান সরকারের নানামুখী সুবিধাদি প্রদানের কারণেই ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমিতে ধারাবাহিকভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে উৎপাদিত শস্যের একটা বড় অংশ কর্তন থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হচ্ছে, যা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা এবং আর্থিক বিবেচনায় ব্যাপক। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেশে ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে আম, কলা, পেঁপে, পেয়ারা ও লিচুতে ২৫-৩৫%, চালে ৬-৭%, ডালে ৬-৭%, আদায় ৫-৭% এবং আলুতে ১০% হারে সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতি হয়। উৎপাদিত এই ১০টি ফসলের ৫২.৫৭ মিলিয়ন টনের মধ্যে সম্মিলিত অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ৫.১৩ মিলিয়ন টন (ভূঁইয়া, ২০২৩)। তবে ফসল সংগ্রহোত্তর প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এই অপচয় ও ক্ষতি কাক্সিক্ষত মাত্রায় কমিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব।
কৃষিতে সমন্বিতভাবে টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেকাংশে সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদাপূরণ, সুস্বাস্থ্য, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, দরিদ্রতা বিমোচন ও বেঁচে থাকার জন্য অনুকূল পরিবেশ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বয়সহ নিজস্ব কার্যক্রমের মাধ্যমে অবদান রাখছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় বিএআরসি শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা জোরদারকরণে গবেষণা অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছে। তদানুযায়ী নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং মাঠে তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ দেশ গঠনে সহায়তা করছে।
বিএআরসি বাংলাদেশে ব্রয়লার মুরগির মাংসে ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক ও হেভি মেটালের উপস্থিতি সর্বনিম্ন সহনীয় মাত্রার নিচে থাকায় ব্রয়লার মাংস খাদ্য হিসেবে সবার জন্য নিরাপদ ঘোষণা করেছে। এতে সাধারণ মানুষের ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার আগ্রহ বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষেরও প্রাণিজ পুষ্টির নিশ্চয়তা অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে। একই ধরনের গবেষণা দুধেও করা হয়েছে। আমসহ অন্যান্য শাকসবজিতে ফরমালিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে। জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রোগ্রামের (এনএটিপি) আওতায় শস্য, প্রাণিসম্পদ এবং মৎস্য চাষের জন্য ১৬৬টি হস্তান্তরযোগ্য প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএআরসি পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বিশেষ করে নিয়মিতভাবে স্কুলের কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টিবিষয়ক প্রচারাভিযান করে থাকে।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদাপূরণ, সুস্বাস্থ্য, কৃষকের আয়বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমেও বিএআরসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিএআরসি প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের মাধ্যমে স্কিমওনার হিসেবে ফল ও সবজি উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা (এঅচ) মানদ- ও প্রটোকল প্রণয়ন করছে। এই উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বিএআরসি ক্রপ জোনিং প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ও মাটির গুণাগুণ এর সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ফসলের অধিকতর ফলন উপযোগী এলাকা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি তথা টেকসই কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বিএআরসি টেকসই কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি উন্নয়ন ও মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এযাবৎ দেশের ৪২০টি উপজেলায় ৭৬টি ফসলের ক্রপ জোনিং সম্পন্ন করেছে।
বিএআরসি স্বনামধন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা CGIAR, ACIAR, AFACI, USAID, GIFS BIMSTEC, etc.) এবং বিশ্ববিদ্যালয় (University of Saskatchewan, Wageningen University and Research, Cornell University, Michigan State University, etc.) এর সাথে সহযোগিতামূলক প্রকল্প এবং কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে চলেছে।
সর্বোপরি, বর্তমানে দেশের দানাজাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও ফল, সবজি, ডাল, তেলসহ অন্যান্য শস্য উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে আছি, যা আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রতিবন্ধক। পাশাপাশি ভবিষ্যতে জলবায়ুর প্রভাব, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কৃষিজমি কমে যাওয়ার চাপ টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যা মোকাবিলা করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কাজেই টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্য এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উচ্চফলনশীল ও পুষ্টিসমৃদ্ধ জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষকের মাঠে যথাযথভাবে তা সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ক্রপ জোনিং এবং ফসলের উপযোগিতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক (বরেন্দ্র, হাওর, চর, পার্বত্য, উপকূল ইত্যাদি) সমন্বিত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এমন একটি যুগোপযোগী উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যার যথাযথ বাস্তবায়ন টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসলের উৎপাদন বাড়ানোসহ দানাজাতীয় শস্যে পুষ্টিমান বাড়ানোর গবেষণা জোরদার করতে হবে। পতিত জমিকে আবাদের আওতায় আনা এবং এক ও দুই ফসলি জমিগুলোকে তিন বা চার ফসলি জমিতে পরিণত করে শস্যের নিবিড়তা উন্নীত করতে হবে। বিশেষ করে ভোক্তাপর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে শস্য উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণসহ খাদ্য শৃঙ্খলের প্রতিটি স্তরে নিরাপদ খাদ্য ও এর পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং একইসাথে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিশেষে, আসুন আমরা সবাই মিলে সমন্বিতভাবে টেকসই নিরাপদ ও পুষ্টি গুণসম্পন্ন খাদ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
লেখক : নির্বাহী চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব), বিএআরসি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। মোবাইল : ০১৭১৫০১৩০৩৩, ই-মেইল : ec.barc@gov.bd