তেলজাতীয় ফসল সরিষার
গুরুত্ব এবং চাষাবাদ পদ্ধতি
ড. মোছাঃ খাদিজা খাতুন
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষার আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ৬.১০৬ লক্ষ হে. জমিতে ৮.২৪৩ লক্ষ টন সরিষা উৎপাদিত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর হিসাবানুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২১ লাখ ৩৬ হাজার টন ভোজ্যতেল (পাম ওয়েল ও সয়াবিন) আমদানি করা হয়। যার ফলে ব্যয় হয় ১৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার বা প্রায় ১৬ হাজার কোটি বাংলাদেশী মুদ্রা (টাকা)।
দেশের বেশির ভাগ জমিতে কৃষকরা দুটি ফসল চাষ করে থাকে। আমন ধান কাটার পর দুই-তিন মাস পর্যন্ত জমি পতিত থাকে। এই সময়ে সরিষা চাষ করলে ওই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। এতে একদিকে কৃষক যেমন-লাভবান হবেন, অন্যদিকে পুষ্টিকর ভোজ্যতেলের চাহিদাও মিটবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে তেলজাতীয় ফসলের আওতায় আবাদকৃত জমির পরিমাণ ১০.০৩৪ লক্ষ হে.। সরিষাই যেহেতু এদেশের প্রধান তেলজাতীয় ফসল, তাই দেশের ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের আওতায় জমির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ উচ্চফলনশীল জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ ও উৎপাদন কলাকৌশলে আধুনিক পদ্ধতির অনুসরণই একমাত্র উপায়।
আমাদের দেশে একমাত্র রবি মৌসুমেই (অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহ হতে মধ্য নভেম্বর) সরিষার চাষ করা হয় এবং দেশের প্রায় সব জেলাতেই সরিষা আবাদ হলেও মাগুরা, যশোর, শেরপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, রংপুর, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ইত্যাদি জেলায় বেশি পরিমাণে সরিষা আবাদ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সরিষার স্বল্প জীবনকালের, উচ্চফলনশীল ও সর্বাধিক প্রচলিত জনপ্রিয় জাতসমূহ হচ্ছে- বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৫, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-১৮, বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯, বিনাসরিষা-১০, বিনাসরিষা-১১, বিনাসরিষা-১২ ইত্যাদি, যেগুলোর জীবনকাল ৮০-৮৮ দিন এবং গড় ফলন ১.৭-২.০ মে. টন/হে.। নি¤েœ সরিষার জনপ্রিয় জাতসমূহের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
বারি সরিষা ১৪ : বর্তমানে সরিষার উচ্চফলনশীল জাত হিসেবে বারি সরিষা ১৪ খুবই জনপ্রিয় এবং এই জাত চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হচ্ছেন। এর বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩ থেকে ৪৪ শতাংশ, এই জাতটি টরি-৭ এর বিকল্প জাত হিসেবে চাষ করা যায় এবং এই জাতের শুঁটি ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট হয়।
বারি সরিষা -১৫ : এক হাজার (১০০০) বীজের ওজন ৩.২৫-৩.৫০ গ্রাম। ফসল ৮০-৮৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৫৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদি জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।
বারি সরিষা-১৭ : এক হাজার (১০০০) বীজের ওজন ৩.০-৩.৪ গ্রাম। ফসল ৮২-৮৬ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৭-১.৮ টন ফলন পাওয়া যায়। জাতটি স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় রোপা আমন-সরিষা-বোরো ধান শস্যবিন্যাসের জন্য উপযুক্ত।
বারি সরিষা -১৮ : এটি ক্রসিফেরি পরিবারের ব্রাসিকা ন্যাপাস প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম ‘ক্যানোলা’ বৈশিষ্টে জাত। জাতটির জীবনকাল ৯৫-১০০ দিন। এ জাতের তেলে ইরোসিক এসিডের পরিমাণ ১.০৬% যেখানে বর্তমানে বাংলাদেশে চাষকৃত অন্যান্য উন্নত সরিষার জাতে ইরোসিক এসিডের পরিমাণ ৩৫-৪০% এবং গ্লুকোসিনোলেটের পরিমাণ ১৪ মাইক্রোমোল (প্রচলিত জাতে ২৫-৩০ মাইক্রোমোল)। এ জাতের গড় ফলন ২.০০-২.৫০ টন/হেক্টর। এ জাতে তেলের পরিমাণ ৪০-৪২%।
বিনা সরিষা-৪ : এক হাজার (১০০০) বীজের ওজন ৩.৫০-৩.৮০ গ্রাম। বীজের রঙ লালচে কালো এবং বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪% । জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। সর্বোচ্চ ২.৪০ টন/হেক্টর ফলন পাওয়া যায়। তবে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১.৭০ টন।
বিনা সরিষা-৯ : জাতটি অল্টারনারিয়াজনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ এবং বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা সহনশীল। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩%। জীবনকাল ৮০-৮৪ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ১.৭০-২.০ টন। জাতটি লবণাক্ততা সহনশীল হওয়ায় দেশের সমুদ্র উপকূল এলাকায় চাষের জন্য উপযোগী। জাতটি শূন্য চাষে আবাদ করা যায়, যেসব জমিতে জো অবস্থা আসতে বিলম্ব হয় সেসব জমিতে কাদা অবস্থায় সরিষার বীজ বপন করলে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যায়।
বিনা সরিষা-১০ : বীজে তেলের পরিমাণ ৪২%। জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ১.৫ টন। জাতটি স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় রোপা আমন-সরিষা-বোরো ধান শস্যবিন্যাসের জন্য উপযুক্ত।
বিনা সরিষা-১১ : ফল চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট এবং বীজ হলুদ বর্ণের। ১০০০ বীজের ওজন ৩.৫-৪.৫ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪%। জীবনকাল: ৭৮-৮২দিন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৬ টন। জাতটি স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় রোপা আমন-সরিষা-বোরো ধান শস্যবিন্যাসের জন্য উপযুক্ত।
বিনা সরিষা-১২: পুষ্পমঞ্জরির মাথায় সুস্পষ্ট ঝুঁটি আছে, সব ফল মোটামুটি একই সাথে পাকে। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৮%, তেলে ইরুসিক এসিডের পরিমাণ >২৬%। জীবনকাল ৮২-৮৬ দিন। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ২.০ টন। নি¤েœ সরিষার চাষাবাদ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
জমি নির্বাচন : সব ধরনের জমিতে চাষ করা যায় তবে বেলে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরি : সরিষার বীজ ছোট বিধায় ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
বীজ বপনকাল : সাধারণত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে মধ্য নভেম্বর (কার্তিকের দ্বিতীয় হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত এ জাতের সরিষা বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ (পৌষের প্রথম সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন করলেও সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
বীজ হার ও বপন পদ্ধতি : সরিষার বীজ সাধারণত ছিটিয়ে এবং সারিতে উভয় পদ্ধতিতেই বপন করা যেতে পারে। তবে সারিতে বুনলে সার ও সেচ প্রয়োগ এবং নিড়ানি দিতে সুবিধা হয়। বীজ ছিটিয়ে বপনের ক্ষেত্রে হেক্টরপ্রতি বীজ হার ৭.৫ কেজি (একর প্রতি ২.৮-৩.০ কেজি)। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে হেক্টরপ্রতি বীজ হার অপেক্ষাকৃত কম লাগে, হেক্টরপ্রতি বীজ হার ৬.০ কেজি (একরপ্রতি ২.২-২.৫ কেজি)। তবে বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা কম হলে বা জমিতে রসের ঘাটতি হলে, বীজের হার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে অধিক হারে বীজ বপনের ফলে জমিতে অধিক সংখ্যক গাছ জন্মালে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফল কম ধরে ও ফলন কমে যায়।
বপন দূরত্ব : সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৫-৩০ সেমি. এবং সারিতে চারার দূরত্ব অর্থাৎ গাছ থেকে গাছের দূরত ¡৩-৫ সেমি.।
বীজ শোধন : অল্টারনারিয়া ব্লাইট সরিষার প্রধান রোগ যা বীজবাহিত। প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স-২০০ ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করে লাগালে এই রোগটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
সারের পরিমাণ : কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। সরিষার জাতসমূহ চাষের জন্য একর (১০০ শতাংশ) প্রতি অনুমোদিত সারের মাত্রা সারণি দ্রষ্টব্য।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি : অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের সময় মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পর অর্থাৎ ফুল আসার আগেই উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যা : চারা গজানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই। চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
বালাই ব্যবস্থাপনা : পাতা ও ফলের ঝলসানো বা অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ এবং জাবপোকা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ২-৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি ৮-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।
জাবপোকার আক্রমণে গাছ দুর্বল হয়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এ পোকা দমনে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২.০ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। আগাম চাষ করে জাবপোকার আক্রমণ কমানো যায়।
ফসল কর্তন, মাড়াই এবং সংরক্ষণ : উপযুক্ত সময়ে ফসল কর্তনের ব্যাপারে অধিক যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। যখন গাছের পাতার রং হলুদ, ফল নাড়াচাড়া করলে শব্দ হয়, তখন ফসল কর্তনের উপযুক্ত সময়। নেপাস প্রজাতির বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯, বিনাসরিষা-১৮ এর অধিকাংশ গাছ খড়ের রং ধারণ করলে এবং ৭০-৮০% ফল পেকে গেলে সকাল বেলা আর্দ্র আবহাওয়ায় ফসল কর্তন করতে হবে। কারণ এ জাতের সরিষা বেশি পেকে গেলে নিচের দিকের ফল ফেটে বীজ ঝরে যেতে পারে। তবে অন্যান্য জাতের ক্ষেত্রে ৮০-৯০% ফল পেকে খড়ের রং ধারণ করলেকর্তন করতে হবে। কর্তিত ফসল ২-৩ দিন স্তূপ করে রেখে পরবর্তিতে রৌদ্রে শুকিয়ে মাড়াই করতে হবে। উল্লেখ্য যে, গাদা অবস্থায় ৩ দিনের বেশি থাকলে অংকুরোদগম ক্ষমতা কমে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। মাড়াই করা বীজ ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:
মাড়াই করার পর বীজ বিশেষ যত্ন সহকারে শুকাতে হবে। মনে রাখতে হবে কড়া রোদে একটানা অনেকক্ষণ ধরে শুকালে বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা করে একটানা কয়েক দিন শুকাতে হবে। শীতকালে যখন রোদের তাপ কম থাকে তখন একটানা ৪-৫ ঘণ্টা ধরে শুকালেও কোন ক্ষতি হয় না। বীজ সরাসরি সিমেন্টের তৈরি খোলায় না শুকিয়ে ত্রিপল বা চাটাইয়ের উপর শুকাতে হবে। বীজ এমনভাবে শুকাতে হবে যাতে বীজের আর্দ্রতা ৮% এর বেশি না থাকে। শুকনো বীজ দাঁত দিয়ে কামড় দিলে যদি ‘কট’ শবাদ করে বীজ ভেঙে যায় তবে বুঝতে হবে যে বীজ ভালোভাবে শুকিয়েছে।
শুকানোর পর বীজ ভালোভাবে ঝেড়ে পরিষ্কার করতে হবে।
বীজ রাখার জন্য পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক/ টিনের ড্রাম, আলকাতরা মাখা মাটির মটকা/কলসী, বিস্কুটের টিন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মোটা পলিথিন ব্যাগে বীজ রেখে মুখ খুব শক্ত করে বেঁধে নিয়ে তা একটি চটের বস্তায় ভরে রাখলেও বীজ ভালো থাকে। পলিথিনের ব্যাগ বা ধাতব পাত্রের মুখ খুব ভালোভাবে আটকিয়ে রাখতে হবে যেন ভেতরে বাতাস ঢুকতে না পারে। মনে রাখতে হবে বীজ শুকানোর পর গরম অবস্থায় সংরক্ষণ না করে ঠা-া হলে সংরক্ষণ করতে হবে।
বীজের পাত্র অবশ্যই ঠা-া ও শুষ্ক জায়গায় রাখতে হবে এবং সরাসরি মেঝেতে না রেখে মাচা বা কাঠের উপর রাখতে হবে।
সংরক্ষিত বীজের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনমতো রোদে শুকিয়ে পূর্বের নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে।
লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২, বাংলাদেশ। মোবাইল : ০১৭১৭৯৭৫৯২৬, ই-মেইল : khadija_bina@gmail.com