Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মানসম্পন্ন আদা উৎপাদন ও সংরক্ষণে লাগসই কৌশল

মানসম্পন্ন আদা উৎপাদন ও সংরক্ষণে
লাগসই কৌশল
ড. মো. আলাউদ্দিন খান১ ড. মো. আশিকুল ইসলাম২ মো. মুশফিকুর রহমান৩
আদা (তরহমরনবৎ ড়ভভরপরহধষব জড়ংপ.) বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় অন্যতম প্রধান মসলা ফসল। ইহা প্রধানত ভারত, চীন, জাপানসহ এশিয়া মহাদেশে ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে। বাংলাদেশের লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জেলার উঁচু জমি এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ের ঢালে আদা চাষ হয়ে থাকে। খাদ্য সংরক্ষণ শিল্পে আদার ব্যবহার অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আদার সৌরভ ও সুগন্ধযুক্ত (টারপিনয়েড) যৌগগুলো হলো জিঞ্জিবেরেন, সিনিওল, টারপিনিওল, বোরনিওল, ফিলানড্রেন, লিনালোল ইত্যাদি। ঝাঁঝালো (ওলিওরেজিন) পদার্থগুলো হলো জিঞ্জেরল এবং শোগাওল। প্রতি ১০০ গ্রাম টাটকা আদায় আমিষ ২.৩ গ্রাম, শে^তসার ১২.০ গ্রাম, আঁশ ২.৫ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১.২ গ্রাম, লিপিড ১.০ গ্রাম এবং পানি ৮১.০ গ্রাম বিদ্যমান। আদা বিভিন্ন ঔষধিগুণ সম্পন্ন যেমন, সর্দি-কাশি, পেটফাঁপা, হজমে সমস্যা, কোলেস্টরল, এজমা ইত্যাদি নিরাময়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় ৪.৮১ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে মাত্র ০.৮২ লাখ মেট্রিক টন আদা উৎপাদন হয়ে থাকে। অবশিষ্ট বিপুল পরিমাণ ঘাটতি আদা বৈদেশিক মূদ্রা ব্যয় করে থাইল্যান্ড, চায়না ইত্যাদি দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। ভালোভাবে আদা চাষ করতে পারলে এ অর্থকরী ফসল দেশের অনেক আদা উৎপাদনকারীকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২টি পদ্ধতিতে যেমন, (ক) জমিতে ও (খ) বস্তায় বা পাত্রে আদা চাষ করা হয়ে থাকে। বর্ণিত ২টি পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যে আদার বীজ-রাইজোম নির্বাচন ও সংরক্ষণের লাগসই কৌশল প্রয়োগ খুবই জরুরি। নিম্নে বীজ-রাইজোম নির্বাচন ও সংরক্ষণের লাগসই কৌশল বর্ণনা করা হলো।
উন্নত জাত নির্বাচন
মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, বগুড়া কর্তৃক এ পর্যন্ত ৩টি জাত যথা বারি আদা-১ (ফলন ৩০-৩২ টন/হেক্টর), বারি আদা-২ (ফলন ৩৬-৩৮ টন/হেক্টর) ও বারি আদা-৩ (ফলন ২৮-২৯ টন/হেক্টর) উদ্ভাবন করা হয়েছে। আদার জাতের ভিন্নতার কারনে এর উৎপাদিত রাইজোমের গুণগতমানেরও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। মসলা ও সবজি হিসেবে চাষকৃত আদার জাতের রাইজোমের গুণগতমান একেবারেই ভিন্নরূপ। জাত অবশ্যই উচ্চ শুষ্ক পদার্থ, অত্যাবশ্যকীয় তেল ও ঝাঁঝালো সমৃদ্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আদার রাইজোমে শুষ্কপদার্থের পরিমাণ              ৯.০-২৩.৫% এবং ঝাঁঝালো পরিমাণ ৪.৩-১০.৫% পর্যন্ত হতে পারে। চায়না ও বাংলাদেশী জাতের আদায় সতেজ ওজন ভিত্তিতে যথাক্রমে ০.২১% ও ০.২৩% অত্যাবশ্যকীয় তেল থাকে। তাছাড়া চায়না ও দেশী আদার জাতের এ অত্যাবশ্যকীয় তেলে প্রধান উপাদান যথাক্রমে জিঞ্জিবেরেন (৩৮.১০%, ৪১.৪৯%), ফিলানড্রেন (১২.০%, ৯.৯২%), কারকিউমিন (৯.২২%, ১১.৫৮%) থাকে। বাংলাদেশী জাত ও চায়না জাতে যথাক্রমে ৪.৬১% ও ৪.৩২% আঁশ থাকে। চাষাবাদের জন্য রোগবালাই ও পোকামাকড় সহিষ্ণু/প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করা উত্তম।
সঠিকভাবে পরিপক্ব বীজ-রাইজোম নির্বাচন
বীজ অবশ্যই ভালভাবে পরিপক্ব হওয়া আবশ্যক। উপযুক্তভাবে পরিপ্ক্বতা হওয়ার পূর্বেই বীজ সংগ্রহ করলে, তা অঙ্কুরোদগম হলেও তা থেকে সুস্থ ও সবল গাছ উৎপন্ন হবে না। রাইজোমের পরিপক্বতা বীজ/ক্লোন এর গুণগত মাননির্ণয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সঠিক সময়ে বীজ সংগ্রহ করলে উপযুক্ত পরিপক্বতা নিশ্চিত করা যায়। বৃষ্টি হওয়ার আগে শুষ্ক আবহাওয়ায় বীজ উত্তোলন করা উত্তম। মসলা হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে রোপণের ৮-৯ মাস পরে রাইজোম সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু মানসম্পন্ন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যে রোপণের ১০-১১ মাস পরে ফেব্রুয়ারি মাসে গাছ যখন সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে যায় তখন বীজ-রাইজোম সংগ্রহ করা উত্তম। এ সময় সংগ্রহকৃত বীজের অংকুরোদগম খুবই ভালো হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মাঠ থেকে তুলনামূলকভাবে অধিকতর রোগমুক্ত বীজ-রাইজোম সংগ্রহের লক্ষ্যে, ক্লোন রোপণের ৬-৮ মাস পরে সবুজ অবস্থায় সুস্থ-সবল গাছের ঝাড় (ঈষঁসঢ়) কে চিহ্নিত করে রেখে দেয়া যেতে পারে।  
উপযুক্ত আকারের বীজ-রাইজোম নির্বাচন
দেশীয় আদার জাতের ২-৩টি সুস্পষ্ট চোখ বিশিষ্ট এবং গড়ে ৪৫-৫০ গ্রাম ওজনের সমাকৃতির ক্লোন মানসম্পন্ন আদা উৎপাদনের জন্য উত্তম। রোপণকৃত ক্লোনের আকারের উপর শুষ্ক পদার্থের পরিমান নির্ভর করে। বড় আকারের ক্লোন রোপণ করলে এর ভেতরে সংরক্ষিত খাবার বেশি থাকার কারণে অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে সুস্থ্য ও সবল গাছ উৎপাদন হয়। ছোট আকারের বীজ থেকে মানসম্পন্ন ক্লোন পাওয়া যায় না। এখানে উল্লেখ্য যে, বড় আকারের বীজ রোপণ করলে বীজের পরিমাণ বেশি লাগে।
আদার ক্ষতিকর রোগবালাই
রাইজোম পঁচা রোগের কারণে আদার ৫০-৮০% এর বেশি ক্ষতি হতে পারে। ছত্রাক আদার মূল ও রাইজোমে আক্রমণ করে। প্রথমে সাধারণত গাছের নিচের পাতার অগ্রভাগ হলুদ হয়। পরবর্তীতে গাছের সমস্ত পাতা হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায়। গাছের মূল, রাইজোম এবং সিউডোস্টেম (চংবঁফড়ংঃবস) ও মাটির সংযোগস্থল (ঈড়ষষধৎ ৎবমরড়হ) পচে যায়। গাছ ভেঙে পরে এবং হালকা টান দিলে গাছ উঠে আসে। উচ্চতাপমাত্রায় মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে সাধারণত রাইজোম পচা রোগের আক্রমণ দেখা যায়। ছত্রাকজনিত নরম পচা রোগও খুব ক্ষতিকর। এ রোগটিও রাইজোম পচার মতো। তবে ছত্রাক প্রথমে মাটি ও সিউডোস্টেমের সংযোগস্থলে আক্রমণ করে, যা পানিভেজা দাগের (ডধঃবৎ ংড়ধশবফ ষবংরড়হং) মাধ্যমে প্রকাশ পায়। পরে রোগটি রাইজোমে বিস্তার লাভের মাধ্যমে নরম পচা রোগের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রোগ মূল ও গাছে ছড়িয়ে পরে। পরিশেষে গাছ হলুদ হয়ে শুকিয়ে নেতিয়ে পড়ে। উচ্চতাপমাত্রা এবং ব্যাপক বৃষ্টি হলে সাধারণত ছত্রাকজনিত নরম পচা রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। আদার জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যকটেরিয়ার মাধ্যমেও নরম পচা রোগ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট রোগের কারণেও সিউডোস্টেম ও মাটির সংযোগস্থলে পানিভেজা দাগের মাধ্যমে লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরে রোগ সিউডোস্টেম, পাতা এবং রাইজোমে ছড়িয়ে পরে। রাইজোমকে হালকা চাপ দিলে  এর থেকে আঠালো উজ (ঙড়ুব) নির্গত হয়। পরিশেষে রাইজোম পচে যায়। পাতার দাগ রোগে পাতার উপর ডিম্বাকার দাগ পরে, যার কেন্দ্রে সাদা দাগ এবং চারিপার্শ্বে গাঢ় বাদামি রেখা পরিলক্ষিত হয়।
আদার ক্ষতিকর পোকাগুলো হলো রাইজোম ফ্লাই (মাছি), কা- ছিদ্রকারী পোকা, রাইজোম স্কেল, পাতার রোলার পোকা এবং নেমাটোড (গবষড়রফড়মুহব ংঢ়ঢ়.)। রাইজোম ফ্লাইর ম্যাগোট রাইজোমে ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে খেতে থাকে এবং ব্যাপকভাবে রাইজোমের ক্ষতি করে। পরবর্তীতে এখানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জীবাণু যেমন- নেমাটোড, ছত্রাক ও ব্যাকটোরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। সাধারণত মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবরের মধ্যেই এ পোকা দ্বারা বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। কা- ছিদ্রকারী পোকার লার্ভা আদার সিউডোস্টেম ছিদ্র করে গর্ত তৈরি করে। ফলে পাতা ও গাছ হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এ পোকার বেশি আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রাইজোম স্কেল রাইজোম সংগ্রহের আগে এবং রাইজোম সংগ্রহকালীন সময় আক্রমণ করে। পূর্ণাঙ্গ পোকা রাইজোম থেকে রস চুষে খায়। আক্রমণের কারণে রাইজোম কুঁচকে যায় এবং শুকিয়ে যায়। ফলে রাইজোম অংকুরোগদমের হার কমে যায়। পাতার রোলার পোকার লার্ভা (ঈধঃবৎঢ়রষষবৎ) পাতা কাটে। লম্বালম্বিভাবে পাতা গুটিয়ে দেয় এবং পাতার ভেতর থেকে খায়। পরে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। আদায় মূল নেমাটোড দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। ইহা মূলে গল (এধষষ) সৃষ্টি করে, ফলে রাইজোম পচা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং গাছের কুশির সংখ্যা কমে যায় ও পাতায় দাগের (ঘবপৎড়ংরং) সৃষ্টি হয়।
সমন্বিত বালাইদমন ব্যবস্থাপনা
সুস্থ ও মানসম্পন্ন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যে সমন্বিত বালাই দমনব্যবস্থা আবশ্যক। সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনাগুলো হলো : রোপণের পূর্বে আদার জমি চাষ দিয়ে রোদে উন্মুক্ত করে জমিকে প্রাকৃতিকভাবে শোধন করা; বালাইসহিষ্ণু জাতের আদা চাষ করা; এপ্রিল-মে মাসে আগাম ক্লোন রোপণ করা; জমিকে আগাছা মুক্ত রাখা; নেমাটোড নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শেষ চাষের সময়ে জমিতে ৩০-৪০ কেজি কার্বফুরান ব্যবহার করা; বীজ-রাইজোম সংরক্ষণ এবং রোপণের পূর্বে প্রতি কেজি আদা বীজ প্রোভেক্স/অটোস্টিন (২ গ্রাম/লিটার পানি) দ্রবণে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে ও ছায়ায় শুকিয়ে শোধন করা; নেমাটোডের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ক্লোনকে ৫০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার গরম পানিতে ১০-১২ মিনিট ডুবিয়ে শোধন করা; রোপন দূরত্ব (৪০ সেমিদ্ধ৩০ সেমি. অথবা ৫০ সেমি.দ্ধ২৫ সেমি.) সঠিক রাখা; রোগবালাই-পোকামাকড় মুক্ত সুস্থ রাইজোম সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও রোপণ করা; সুনিষ্কাশনের ব্যবস্থার মাধ্যমে জমি জলাবদ্ধতা/স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে মুক্ত রাখা; আদার রোগাক্রান্তÍ অংশ পুড়ে ধ্বংস করা; রাইজোম মাছি দমনে ডার্সবান (৩ মিলি/১ লিটার পানি) প্রয়োগ করা; জুলাই-অক্টোবর মাসে কা- ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণে ম্যালাথিয়ন (১-২ মিলি/১ লিটার পানি) ৩০ দিন পর পর  স্প্রে করা; রাইজোম স্কেল ইনসেক্ট থেকে রক্ষার জন্য আদার গোড়ায় মাটি তুলে দেয়া; প্রতি বছর একই জমিতে আদা উৎপাদন না করে উপযুক্ত ফসল (মরিচ, শাকসবজি, সবুজ সার, ধান) দ্বারা শস্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা ।
বীজ-রাইজোম সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনা
ভালোভাবে অংকুরোদগমের জন্য বীজ রাইজোমকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা জরুরি। ফেব্রুয়ারি মাসে সংগ্রহের পরে রোগবালাই, পোকামাকড় ও যান্ত্রিক ক্ষতবিহীন বীজ-রাইজোম সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করতে হবে। বীজ-রাইজোম সংগ্রহের পর পাতা, মূল এবং গায়ে লেগে থাকা মাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রথমে প্রতি কেজি আদা বীজ প্রোভেক্স/অটোস্টিন (২ গ্রাম/লিটার পানি) দ্রবণে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে ও ছায়ায় শুকিয়ে শোধন করতে হবে। পরে বীজকে ঘরের মধ্যে সুবিধাজনক আকারের গর্তে সংরক্ষণ করতে হয়। গর্তের নিচে ৪-৫ সেমি. পুরুত্বের শুকনো বালুর স্তর দেয়া যেতে পারে। এর পরে গর্তের ভেতরে বীজ-রাইজোমকে স্তরে স্তরে রাখা হয়।  প্রতি স্তরের মাঝে শুকনা পাতা ব্যবহার করা হয়। বীজ-রাইজোম  সংরক্ষণ ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বর্ণিত উন্নত কলাকৌশলগুলো অনুসরণ করলে সহজেই মানসম্পন্ন আদা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

লেখক : ১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, বিএআরআই, ফরিদপুর; ২প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, বিএআরআই, লালমনিরহাট এবং ৩বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, বিএআরআই, ফরিদপুর। মোবাইল : ০১৭১১৫৭৩৩৬১, ই-মেইল :khanalauddinsrsc@gmail.com