Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

টেকসই কৃষি উৎপাদনে মাটির দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষা

টেকসই কৃষি উৎপাদনে মাটির দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষা
মো: মোহসীন ফরাজী
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল চালিকাশক্তি হলো কৃষি। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের ৮৭,২২৩টি গ্রামে বাস করে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ  এবং প্রায় ১১ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষি উৎপাদন বেড়েই চলছে। দেশে আবাদি জমি, বনভূমি, নদী, লেক, বনাঞ্চল মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ এক কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর। যার ৫৬ শতাংশ জমিতে ফসলের জন্য আবাদ করা হয়। দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে শস্যের নিবিড়তা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু দিনদিন  মাটির উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনের জন্য ভালো বীজ ও উত্তম ব্যবস্থাপনা যেমন প্রয়োজন তেমনি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষারও বিকল্প নেই। উপযুক্ত মাটি না হলে অর্থাৎ ফসলের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ মাটি না হলে দীর্ঘমেয়াদে কাক্সিক্ষত উৎপাদন টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।
মটির স্বাস্থ্যহীনতার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ : মাটির সঠিক যতেœর অভাবে সুফলা মাটি তার ভারসাম্যতা হারাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। নানা কারণে মাটির স্বাস্থ্যহীন হয়ে থাকে:
অম্লধর্মী ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া সালফেট প্রভৃতি নাইট্রোজেন সার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটির অম্লত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন হেক্টর আবাদি জমি বিভিন্ন মাত্রায় অম্লত্বের শিকার।
লবণের কারণে ফসলের উৎপাদন ৭০ শতাংশ কমে যায়। রোপা আমনে তেমন ক্ষতি না হলেও রবিশস্য লবণ সহ্য করতে পারে না। লবণ বিস্তারের কারণে তিন ফসলি জমি এক ফসলি হয়ে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে শস্যবিন্যাস। লবণাক্ত মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং জিঙ্কের পরিমাণ কমে যায়। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি জেলার ৯৬টি উপজেলা বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত। বিগত চার দশকে লবণাক্ত আক্রান্ত জমির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। লবণাক্ততার কারণে বর্তমানে উপকূলবর্তী এলাকায় শস্য নিবিড়তা মাত্র ১৩৩ শতাংশ।
দেশের মোট আবাদি জমির সাড়ে ৮০ শতাংশে জৈব ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। জৈব পদার্থের ঘাটতিজনিত কারণে মাটিতে উপকারী অনুজীবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে অর্থাৎ মাটির প্রকৃতি বা পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
গাছের/ফসলের প্রয়োজনীয় ১৬টি উপাদানের যে কোনো একটি যদি মাটিতে সঠিক মাত্রায় ও সহজলভ্য আকারে না থাকে; তবে মাটির স্বাস্থ্যের ব্যত্যয় ঘটে। দেশের ৫৪ লাখ হেক্টর জমিতে ফসফরাস, ২৬ দশমিক ৩০ লাখ হেক্টর জমিতে পটাশিয়াম, ৩৩ দশমিক ৩০ লাখ ৮ হাজার হেক্টর জমিতে গন্ধক, ২৭ দশমিক ৭ লাখ হেক্টর জমিতে দস্তা সার, ২৩ দশমিক ৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরন সার ও ৪৬ লাখ হেক্টর জমিতে সালফারের অভাব রয়েছে ।
অপরিকল্পিত ও যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহারে মৃত্তিকা স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। মাটিতে পুষ্টি উপাদানের বিষাক্ততা দেখা দিচ্ছে। অনেক কৃষক সুষমমাত্রায় সার ব্যবহার না করে অধিকহারে অনুমানভিত্তিক সার ব্যবহার করেন ফলে মাটির ইকোসিস্টেম ধ্বংস হচ্ছে। এক দশক আগেও জমিতে দুই থেকে তিন ধরনের সার ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে সব মিলিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্তত ১৭ ধরনের সার। একেকটি ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে ৮ থেকে ৯ ধরনের সার ও কীটনাশক। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ সেচের পানি ব্যবহার, রাসায়নিক সার, কীটনাশকে মাত্রাতিরিক্ত দূষক পদার্থের উপস্থিতি (লেড, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক, মার্কারি, ক্রোমিয়াম নিকেল) মাটির দূষণ ঘটাচ্ছে।
অপ্রয়োজনে বেশি সংখ্যক চাষের মাধ্যমে ও বেশি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির সংযুক্তি নষ্ট হচ্ছে।
পাহাড়ি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে জুম চাষের কারণে ভূমিক্ষয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ভূমি অবক্ষয় পরিবীক্ষণ টাস্কফোর্সের পরিচালিত ১৯৮৮ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, পাহাড়ি জমির প্রায় ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ভূমি ক্ষয়ের ঝুঁকির আশঙ্কায় রয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতি বছর মৃত্তিকা ক্ষয়, নগরায়ণ, আবাদি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ, রাস্তাঘাট, খনিজ কর্মকা-, জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষত দীর্ঘমেয়াদি খরা প্রভৃতির কারণে মাটির স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে।
মাটির দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করনীয়
ভূমি ক্ষয় রোধ : মাটির উপরিভাগ সাধারণত ৭-৮ ইঞ্চি গভীরতা পর্যন্ত ফসলের পুষ্টি উপাদান থাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, পানি প্রবাহ, বাতাসের গতিরোধ ইত্যাদি কারণে উপরিভাগের মাটি স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে সঞ্চিত পুষ্টি উপাদান বিনষ্ট হয়ে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। তাই বৃষ্টি ও বন্যার পানি গড়ানের সময় যাতে জমির উপরিভাগের মাটি অপসারিত না হয় এবং নালা ও খাদের সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকার মৃত্তিকায় ফসল উৎপাদনের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে।
সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ : বিভিন্ন ফসল মাটি থেকে বিভিন্ন পরিমাণে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে থাকে। তাই ঘাটতি পূরণের জন্য জমিতে জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা উচিত।
বাংলাদেশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) মাটির গুণাগুণ রক্ষার্থে কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সুষম মাত্রার সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের জন্য সেবা প্রদান করে আসছে। ভালো হয় কৃষক পর্যায়ে স্বল্প মূল্যে মাটি পরীক্ষার কিটের বিস্তার ঘটানো, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষকরা তাদের মাটি পরীক্ষা এবং সেই অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে পারেন।
জৈব পদার্থ ব্যবহার : জৈব উপাদানের ওপর মাটির জৈব ও রাসায়নিক গঠন নির্ভর করে এবং এটি মাটির পরিবর্তনের সঙ্গেও জড়িত। জৈব পদার্থ বেড়ে গেলে মাটির টেক্সচার, স্ট্রাকচার ভালো হয়। মাইক্রো অর্গানিজম অ্যাক্টিভ হয় যেটা গাছের জন্য জরুরি। ফলে জৈবসার রাসায়নিক সারের তুলনায় মাটির জীববৈচিত্র্য ৩০ শতাংশ বাড়ায়। আদর্শ উর্বর জমিতে মাটির শতকরা ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা দরকার অথচ আমাদের দেশের মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমতে কমতে ২ শতাংশ এমনকি কোথাও কোথাও তা ১ শতাংশের নিচে চলে এসেছে। জমিতে রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য মাটিতে কমপক্ষে ৩ শতাংশ হারে জৈব পদার্থ থাকা দরকার।
উপযুক্ত শস্যবিন্যাস অনুসরণ : জমিতে প্রতি বছর একই ফসল বা একই ধরনের ফসলের চাষ করলে একটি নির্দিষ্ট স্তরের নির্দিষ্ট পুষ্টি, উপাদান নিঃশোষিত হয়ে উর্বরতা বিনষ্ট হয়। তাই পর্যায়ক্রমে গুচ্ছমূল জাতীয় ফসলের পর প্রধান মূলজাতীয় ফসল, একবীজপত্রীর পর দ্বিবীজপত্রীর ফসল এবং অধিক খাদ্য গ্রহণকারীর পর অল্প খাদ্য গ্রহণকারী ফসল আবাদ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মাটি, প্রভৃতি এবং ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে উপযুক্ত শস্যবিন্যাস অনুসরণ করতে হবে। ক্রপিং প্যাটার্নে সবুজসার তৈরির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
ডালজাতীয় ফসলের চাষ : জমিতে মাঝে মধ্যে ডালজাতীয় ফসলের চাষ করে এ ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা যায়। কারণ এগুলো শিকড়ে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটোরিয়া বসবাস করে এবং বায়ু থেকে নাইট্রোজেন আহরণপূর্বক গুটিতে সঞ্চয় করে ও পরিণামে মাটির উর্বরতা বাড়ায় ।
জমিকে বিশ্রাম দেয়া : দীর্ঘদিন ধরে কোনোরূপ বিশ্রাম ছাড়া নিবিড় চাষাবাদ করা হলে মাটির ভৌত রাসায়নিক ও জৈব গুণাবলির অবনতি ঘটে। তাই কয়েক বছর পর অন্তত এক মৌসুমের জন্য জমি পতিত রেখে বিশ্রাম দেয়া প্রয়োজন। অবশ্য এ সময়ে জমিতে সবুজ সারের চাষ বা নিয়মিত পশু চারণের ব্যবস্থা করলে ভূমির উর্বরতা আরও বৃদ্ধি পায়।
চাষাবাদ পদ্ধতির উন্নয়ন : জমি সব সময় একই গভীরতায় কর্ষণ করলে ওই গভীরতার নিচে একটা শক্ত স্তরের সৃষ্টি হয় এবং ওই স্তরের নিচ থেকে খাদ্যোপাদান আহরণ করতে পারে না। তাই ভূমি কর্ষণের গভীরতা ও অন্যান্য আবাদ প্রক্রিয়া মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা উর্বরতা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। বিনা কর্ষণে চাষের যন্ত্র দিয়ে কোনরকম কর্ষণ ছাড়াই একসঙ্গে সার ও বীজ সারিতে প্রয়োগ করলে ফসলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনই মাটির গঠন উন্নত হয়, মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ভূমিক্ষয়ও কম হয়।
কনজারভেশন পদ্ধতিতে (ফসলের অবশিষ্টাংশ জমিতে রেখে সর্বনিম্ন চাষের মাধ্যমে জমি ব্যবহার) জমি চাষ, ফষল এবং মাটি উভয়ের জন্যই সহায়ক।
ক্ষতিকর রোগ ও পোকামাকড় এবং আগাছা দমন : মাটিতে অনেক সময় ক্ষতিকর রোগ ও কীটের জীবাণু বা ডিম থাকে এবং ফসল উৎপাদনকালে সেগুলো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পর্যায়ক্রমে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে জমি চাষ করলে এবং মাটি রোদে শুকিয়ে নিলে সেগুলো বিনষ্ট হয়ে যায় এবং মাটির উন্নয়ন সাধিত হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফসলের ধরন পরিবর্তন জমির আগাছা দমনে সহায়ক, পোকামাকড়ের আক্রমণ কমায়, ফসলের রোগবালাই কম হয়, সর্বোপরি ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সঠিক কৌশলে উপযুক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে।
মৃত্তিকা জীবাণু সংরক্ষণ : মাটিতে অসংখ্য হিতকর জীবাণু থাকে এবং এরা ফসফরাস, লৌহ প্রভৃতি অদ্রবণীয় পদার্থসমূহকে পানিতে দ্রবণীয় পদার্থে রূপান্তর ও বায়ু থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংযুক্ত করে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। তাই মাটিকে এমনভাবে পরিচর্যা করা দরকার যেন মৃত্তিকা জীবাণুসমূহের বসবাসের পরিবেশ সমুন্নত থাকে।
পাক মাটি ও বোঁদ মাটি ব্যবহার : সাধারণত বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির সাথে মাটির উপরিভাগের পুষ্টি উপাদান ও জৈব পদার্থ অপসারিত হয়ে পথিমধ্যে পুকুর, ডোবা, নালা প্রভৃতির তলদেশে জমা হয়। এভাবে জমাকৃত মাটিকে পাক মাটি বা বোঁদ মাটি বলে এবং এটা খুবই উর্বর হয়। শুষ্ক মৌসুমে ওই মাটি কেটে আবাদি জমিতে মিশিয়ে দিলে মাটির উৎকর্ষ সাধিত হয়। তাই ফসল আবাদের লক্ষ্যে উপরিউক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত ভীতিকর। গবেষকরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রক্রিয়ায় ২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান ফসলগুলোর ফলন ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় খাদ্যনিরাপত্তার জন্য টেকসই মাটির উর্বরতা ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নীতিমালা সুপারিশ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এ নীতিমালা অনুসারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পণা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি। তা না হলে বৈশ্বিক পরিবর্তিত জলবায়ুর বিরূপ প্রক্রিয়া মোকাবেলা করে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এছাড়াও এসডিজির ১, ২, ৩, ৬, ১২, ১৪ ও ১৫ নং লক্ষ্য অর্জন লাগসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। কাজেই জাতিসংঘের ‘এসডিজি’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উত্তম মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ক্রপ জোনিং, ক্রপ প্ল্যানিং, সয়েল প্ল্যানিং করতে হবে। মৃত্তিকা স্বাস্থ্য রক্ষায় আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইসস্টিটিউট, বিভাগীয় গবেষণাগার, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১১১৫৪৫৬৮। ই-মেইল : farazi@srdi.gov.bd