Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বঙ্গবন্ধুর সমন্বিত ভাবনায় অদ্যকার যৌথবাজার (নাটিকা)


মোঃ মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু)

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু বুঝতেন মেধাবী জাতি গঠনে দরকার সুষম খাদ্য ও পুষ্টি। তাই বঙ্গবন্ধু সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার উপর জোর দেন। বঙ্গবন্ধুর সমন্বিত ভাবনায় অদ্যকার যৌথ বাজার নিয়ে নাটিকা।
১ম দৃশ্য
(মাজেদ মোল্লার চা স্টলে সকাল বেলা কেটলী পরিস্কার করে পানি গরম করছে, কাপ- পিরিচ ধুয়ে সাজাচ্ছে)।
সোলেমান : (মাথা চুলকাতে চুলকাতে চা স্টলে প্রবেশ)             পেয়ারার বীজ গ্রামের হাট থেকে কিনে আনলাম, গাছের অবস্থা তো ভালো না। এবার মনে হয় ফলন ভালো পাবো না। সার, বিষ, পানি, পরিশ্রম সব-ই বৃথা যাবে।
(মোবাইলে গান বাজাতে বাজাতে ৩ জন কৃষক চা স্টলে প্রবেশ)
রফিক : মাজেদ ৩ টা লাল চা দে, এবার পেয়ারার ফলন ভালোই হবে, আল্লাই দিলে কিছু পয়সা পাবো। (মোবাইলে পেয়ারা গাছের ছবি দেখাবে)।
সোলেমান : রফিক ভাই, পেয়ারার বীজ কিনেছিলে কোন্থেকে?
রফিক : কেন! আমাদের বøকের এসএএও  সাহেব আছে না! তার কাছ থেকে ভালো  বীজের নাম লিখে নিয়ে পাবনা বীজ ভান্ডার থেকে ১ কৌটা বীজ এনেছিলাম।
সোলেমান : ও তাই নাকি! তাহলে আমার বীজের মধ্যেই সমস্যা। কিন্তু আমার তো এক কৌটা বীজ দরকার নাই।
মানিক : আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে!
সোহান : কি বুদ্ধি? বলো বলো শুনি।
মানিক : আমরা তো সবাই পেয়ারা চাষ করি, তাহলে ১টা বড় কৌটা বীজ কিনে সকলে ভাগ করে নিলে কারই ক্ষতি হবেনা। বীজ ভালো হবে, দাম ও কম পড়বে । তাহলে এ কথাই থাকলো কিন্তু! আগামী বছর একসাথে বীজ কিনবো (প্রস্থান)।
২য় দৃশ্য
(সোলেমান মন খারাপ করে চা স্টলে প্রবেশ)
সোলেমান : পেয়ারা বিক্রি করে লাভতো হলোই না, বরং আজকের দিনটাই মাটি। আবার হাটের খাজনা দেও, গাড়ী ভাড়া দেও, এভাবে কি সংসার চলে? দুত্তুরী মাজেদ, এককাপ চা দে (মাজেদ চা বানিয়ে দিবে)।
(রফিক হাসতে হাসতে গাইতে গ্ইাতে ফুরফুরে মনে প্র্রবেশ)
রফিক : পেয়ারা নিয়ে আজ পাবনা বড় বাজারে গেছিলাম, ভালোই দাম পায়ছি, ফলগুলো কি সুন্দর! ওজনও বেশি ভালোই লাভ হয়েছে, মাজেদ সবাইকে চা দে (মাজেদ  সবাইকে চা দিবে)।
সোলেমান : আমার এই অল্প পেয়ারা নিয়ে কি শহরে যাওয়া যায়? তাতে তো খরচ আরও বেড়ে যায়।
সোহান : আচ্ছা মানিক ভাই, ক্ষুদ্র কৃষকরা অল্প পেয়ারা নিয়ে তো বড় বাজারে যেতে পারেনা, তাহলে আমরা সবাই একদিনে পেয়ারা তুলে বড় বাজারে নিয়ে গেলে কেমন হয়?
মানিক : ঠিকই বলেছ ভাই, সবাই একসাথে পেয়ারা বড় বাজারে বিক্রি করলে লাভ বেশি হয়। আবার বেশি পেয়ারা উৎপাদন হলে পাইকারী ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে মাঠে চলে আসে।
সোলেমান : ঠিক আছে, আগামী দিনে আমরা একদিনে পেয়ারা তুলে বড় বাজারে বিক্রি করব। লাভ বেশি হবে, খরচ ও কম পড়বে (প্রস্থান)
৩য় দৃশ্য
মনিরা : বাড়িতে মোরগ-মুরগী বড় হয়েছে, হাটেও নিতে পারছে না,খালি কাজ আর কাজ, আমারও হাত খাটো, মুরগি বিক্রি করতে পারলে নতুন শাড়ী কিনতে পারতাম।
সাঈদ : (ফড়িয়া ঝুড়ি নিয়ে প্রবেশ) মুরগি বিক্রি করবে গো মু-র-গি (৩ বার)।
মনিরা : মুরগি আছে গো চাচা, তোমার এত দেরী হলো কেনো গো?
সাঈদ : কয়টা মুরগি আছে রে মা!
মনিরা : ৩টি মোরগ আর ৯ টি মুরগি, সেই সকাল থেকে ধরে রেখেছি গো চাচা।
সাঈদ : এখন বাজারে মুরগির দাম কম ১২ টা নেও ৬০০ টাকা, তোমাকে ঠকাবো না, বাজার মন্দা, তাছাড়া আমার পেট আছে না!
মনিরা : ৬০০ টাকা হাতে নিয়ে ভাবছে (শাড়ির দাম তো হলো না)।
হুমায়ন : (জমি চাষ করে এসে শুনতেই) তোকে মুরগি বেচতে কে বলেছে? ঐ বেটা ফড়ি ব্যাপারী কম দামে মুরগি কেনে, মহিলারে  ঠকায়। আমি বড় বাজারে নিতে চেয়েছিলাম বেশি দাম পেতাম,তুই এত কম দামে  মুুরগি বেচলি কেন? (ধস্তাধস্তি করবে, প্রতিবেশিরা ঠেকাবে)।
ফাতেমা : মুরগির ডিম গুলো গুছায়ে রাখছি বিক্রি করবো । ছেলের জন্য একটা ঘড়ি কিনবো।
সাঈদ : ডিম বিক্রি করবে গো ডি- ই- ম....(৩ বার)।
ফাতেমা : আছে গো আছে, ১০ হালি ডিম আছে। তো কত করে হালি দিবে?
সাঈদ : গরমের দিন তো লোকে ডিম খায় না, ১০ হালি ডিম ১৬০ টাকা হয়, খুচরা নাই তো ১৫০ টাকা নেও ।
ফাতেমা : ১৫০ টাকা নিয়ে ভাবছে (ঘড়ির দাম তো হলো না)।
রওশন : কেরে ডিম বিচলো কে? ডিম গুলো গুনে রেখেছি  সমিতির বাজারে নিয়ে যাবো, সেখানে সবার ডিম এক সাথে করে বড় বাজারে বিক্রি করবো তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যায়। আর তুই কম দামে বিক্রি করলি আজ তোর একদিন কি আমার একদিন (ধস্তাধস্তি,অন্যরা ঠেকাবে)।
(সকলে মঞ্চে উঠে) আমরা যৌথ বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তোমাদের ও বলি যৌথ বাজারে পণ্য বিক্রি করলে ঠকতে হবেনা। য়

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পাবনা সদর, পাবনা। মোবাইল : ০১৭১৭৪৬৬৯৯৮, ই-মেইল : mazegul321@gmail.com