Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর ( ১৪২৭)

প্রশ্নোত্তর

কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন

কৃষি বিষয়ক
নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আপনার ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমনে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করুন।
মোঃ নেছার উদ্দীন, গ্রাম: লক্ষীরপাড়, উপজেলা: বিশ্বম্বপুর, জেলা : সুনামগঞ্জ
প্রশ্ন: আমের পাতা কালো রঙ হয় এবং ফুল শুকিয়ে যায়। কেন এমনটি হয়। এ বিষয়ে পরামর্শ দিবেন।
উত্তর :  আম গাছে হপার পোকার আক্রমণ হলে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে। হপার পোকা আমের কচি অংশ, মুকুল থেকে রস চুষে খায়। মুকুলের রস চুষে খাওয়ার ফলে এ পোকা প্রচুর পরিমাণে মধুরস ছাড়ে ফলে শুঁটি মোল্ড ছত্রাক আক্রমণ করে আম পাতা কালো বর্ণ করে থাকে। এজন্য বাগান পরিষ্কার রাখা। আম বাগানে ছায়া বেশি হলে ঘন গাছসমূহ ছাটাই করে রোদ ঢুকানোর ব্যবস্থা করা দরকার। আমের মুকুল এসেছে কিন্তু ফোটার আগেই এবং আম মটর দানা হলে সে সময়ে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের রিপকর্ড বা সিমবুশ বা ফেনম ১ মিলি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করা। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।   
মোঃ রহমত আলী, গ্রাম : নারায়ণপুর, উপজেলা :  কেশবপুর, জেলা : যশোর
প্রশ্ন : ধান গাছের বাকানী রোগ দমন সর্ম্পকে জানাবেন।  
উত্তর :  ধান গাছের এ রোগটি ছত্রাকজনিত। এ রোগ হলে ধান গাছ আশেপাশের ধানগাছের তুলনায় প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি লম্বা, দুর্বল ও চিকন হয়।  অনেক সময় কাণ্ডের গিঁট থেকে অস্থানিক শিকড় বের হয়। আক্রান্ত গাছে কোন ফলন হয় না। আউশ মৌসুমে এ রোগটি বেশি হয়। এ সমস্যা সমাধানে ব্রি ধান৪৩,  ব্রি ধান৪৪,  ব্রি ধান৪৫ চাষ করা দরকার। এছাড়া বীজ শোধন আরেকটি উপায়। এ জন্য ছত্রাকনাশক ব্যাভিস্টিন বা নেটিভো ৩ গ্রাম হারে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে একরাত ভিজিয়ে বীজ শোধন করে ব্যবহার করা। তাছাড়া আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। বারবার একই জাতের ধানের চাষ না করা অথবা অন্য ফসলের চাষ করা। সুষম মাত্রার সার ব্যবহার করাও প্রয়োজন। এসব ব্যবস্থা নিলে আশা করি উপকার পাবেন।
মোঃ আক্কাছ আলী, গ্রাম:  কেরাদারি, উপজেলা : রাজারহাট, জেলা : কুড়িগ্রাম
প্রশ্ন : সুপারির পাতায় বাদামি দাগ পড়ে। পরবর্তীতে পাতা বাদামি রঙ ধারণ করে মারা যায়। এ রোগের প্রতিকার কী ?
উত্তর : এ রোগটি ছত্রাকের আক্রমণে হয়ে থাকে এবং  রোগের নাম সুপারি পাতার ব্লাইট। রোগ প্রতিরোধে গাছ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি সুষম সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া রোগ যাতে না হয় সেজন্য কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের যেমন বিøটক্স ৪ গ্রাম বা কার্বেনডাজিম গ্রুপের এমকোজিম ১ গ্রাম বা প্রপিকোনাজল গ্রুপের টিল্ট ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করা। আর যদি কোনো কারণে সুপারি পাতা রোগাক্রান্ত হয়ে যায় তবে উল্লেখিত ছত্রাকনাশক ১২ থেকে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। আশা করি উপকার পাবেন।   
মোঃ ইছাহাক আলী, গ্রাম : সাকোয়া  উপজেলা : বোদা, জেলা: পঞ্চগড়
প্রশ্ন :  আখের বীজ পচে যায়। কী করব ?  
উত্তর :  আখের বীজ পচা একটি মারাত্মক রোগ। বীজ পচা রোগটি ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এ রোগের কারণে আখের বীজ পচে যায় এতে করে বীজ গজানোর হার কমে যায়। এ কারণে গাছের সংখ্যা ও আখের সংখ্যা কম হয়। ফলনও মারাত্মকভাবে কমে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোগমুক্ত আখ ক্ষেতের বীজ ব্যবহার করা দরকার।  রোগ প্রতিরোধী জাতের আখ চাষ করা। আখ রোপণের আগে বীজ খন্ড কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশকের দ্রবণে (১ঃ১০০০) ৩০ মিনিট ডুবিয়ে শোধন করে নেয়া। অধিক ভিজা ও অধিক শুকনা মাটিতে ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আখ রোপণ করা যাবে না। যে সকল এলাকায় এ  রোগ খুব বেশি দেখা যায় সেখানে বীজতলায় চারা তৈরি করে রোপা পদ্ধতিতে চাষ করা প্রয়োজন। আশা করি এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনি  উপকৃত হবেন।
মৎস্য বিষয়ক
মোঃ আব্দুল্লাহেল কাফি, গ্রাম : বন্দুলিতলা, উপজেলা :  চেীগাছা, জেলা : যশোর
প্রশ্ন : চিংড়ির গায়ে শেওলা সমস্যা কী করবো ?
উত্তর : পানি পরিবর্তন ও পানির গভীরতা বাড়াতে হবে। চিংড়ির মজুদ হার কমাতে হবে। সার ও খাদ্য প্রয়োগের মাত্রা সীমিত রাখতে হবে। প্রতি শতাংশে ১ থেকে ১.৫ কেজি হারে ডলোমাইট চুন প্রয়োগ করতে হবে এবং ০.৫ থেকে ১০    পিপিএম হারে ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগ করতে হবে।   
মোঃ সোহাগ আহমেদ, গ্রাম : রঙসিন্দপুর, উপজেলা : কমলাকান্দা, জেলা :  নেত্রকোনা
প্রশ্ন : পুকুরের পানি ঘোলা এ অবস্থায় কি ব্যবহার করবো ?
উত্তর : শতাংশে ৫০০ গ্রাম পোড়াচুন ব্যবহার করতে হবে অথবা শতাংশে ১ থেকে ১.৫ কেজি জিপসাম সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। ধানের শুকনো খড় ছোট ছোট আঁটি বেঁধে শতাংশে ১ থেকে ১.৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে এবং ২ থেকে ৩ দিন পর তুলে ফেলতে হবে অথবা শতাংশে ২৫০ গ্রাম ফিটকিরি ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।  
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক
মোঃ রাজু আহমেদ, গ্রাম : ফটুপুর, উপজেলা : আতওয়ারী, জেলা : পঞ্চগড়
প্রশ্ন : আমার গরুর পেট ফুলে গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। জাবরকাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কী করবো ?
উত্তর :  এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে  নো ব্লেট বা বেøাট স্টপ বা এন্টি ব্লোট এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি উপকার পাবেন।  
মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, গ্রাম : পূর্বভীষণদই, উপজেলা :  হাতিবান্ধা, জেলা : লালমনিরহাট
প্রশ্ন : আমার মুরগির বয়স ৮ মাস। ডিম পাড়ছে না। কী করবো ?  
উত্তর :  মুরগিকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ হিসাবে ক্যাল পি বা ইক্যাল পি বা ক্যালফস প্লাস এ জাতীয় ওষুধ প্রতি লিটারে ১ গ্রাম করে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি ই সেল বা ওবেই ভেট এ ওষুধগুলো প্রতি লিটারে ১ মিলি করে মিশিয়ে খাওয়াবেন ৩ থেকে ৫ দিন।  
(মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশ্ন কৃষি কল সেন্টার হতে প্রাপ্ত) 

উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫,  ফোন নং: ০২-৫৫০২৮৪০০, ই মেইল : taufiquedae25@gmail.com