Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

দাবায়া রাখতে পারবা না

দাবায়া রাখতে পারবা না

 মেঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল


এক শিশুর জন্ম হয়েছিল, একজন মানুষের জন্ম হয়েছিল, এক অতিমানবের জন্ম হয়েছিল,
এক মহাকবির জন্ম হয়েছিল যিনি নির্মাণ করলেন দীর্ঘ রক্তস্নাত কবিতা : বাংলাদেশ।

 

সেই মহামতি বাঙালির তর্জনীতে ছিল
বঙ্গোপসাগরের দোলায়িত ঝড়,
যা জাগায় সুন্দরবনের মত অরণ্যের স্বাধীনতা।।
তাঁর চোখে নতুন দেশের জলফড়িং নেচেছিল পাটের পাতায়, বোনের লালপেড়ে শাড়ির সবুজ মায়া ছিল প্রিয় ব্যালকনি জুড়ে আর
সাফল্যের গন্ধ ভাসতো তাঁর প্রিয়
কালো পাইপের ঘ্রাণে।


তিনি যখন নিরন্ন বাঙালির কাঁধে হাত রাখতেন
তখন গোলাভরা স্বপ্ন নেমে এসে নির্মাণ করতো
নদীর দেহে ঋজু মেরুদÐ...
জল তার ছলছল গেয়ে যেতো ভরা জোয়ারের নৌকায় দেশ স্বাধীনের গান।।

 

দেবদূতের মত সেই শিশু ক্রমশ:
বিকশিত হয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়ায়!
টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় সারা বাংলায়!
আলোকিত মানবের জেলখানার
গরাদের অন্ধকার চিরে
আলোর ঝর্ণামালা ছড়িয়ে যেতো শুরু করলো নীরব গ্রামের কুপির শিখায় আর ঐ মৃত
শহরের ম্রিয়মাণ রাতের জানালায়!

 

এই অমিত তেজী শ্রেষ্ঠ বাঙালি মানব-
মার্চে যার আবির্ভাব, তিনিই মার্চে জন্ম দিলেন
তাঁর স্বপনের সমান বড় একটি দেশ।
মার্চে জন্ম দিলেন অশ্রতপূর্ব বিশ্বকাঁপানো ঘোষণা- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!
আর বললেন : রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব...
এবং সব বিচলিত, রিক্ত বক্ষে প্রথিত করলেন অসম্ভব তেজ জাগানিয়া আকাশ ভাঙা সাহসী
উচ্চারণ:
দাবায়া রাখতে পারবা না।।

 

আজ শতবর্ষী সেই শিশুর টুঙ্গিপাড়ায়
ঘুমিয়ে থাকা অমর কণ্ঠের অনুরণন শোনে
তাঁর জীবনের বিনিময়ে রেখে যাওয়া
নতুন প্রজন্মের শিশু!
মহান পিতার নিজের সুকন্যার হাতেই গড়ে ওঠা বিপুল পদ্মাসেতু পার হতে গিয়ে একে একে
সব তরুণ কণ্ঠ আজ বিজয়ী চিহ্ন দেখায় এবং ফোর-জি মোবাইলে সুর তুলে কণ্ঠ ছেড়ে গায়:
শুনছো তোমরা-একাত্তরের কীট!
আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না নিশ্চিত!!


 
অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ), কৃষি মন্ত্রণালয়, www.moa.gov.bd