Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কবিতা (চৈত্র ১৪২৬)

বিস্মৃতির আঁধার চিরে মানুষের মণিকোঠায়
(কৃষি ও কৃষকের বঙ্গবন্ধু)

 মোছলেহ উদ্দিন সিদ্দিকী

এখনো কান পেতে শুনি
বাংলার পথে প্রান্তরে, দিগন্ত থেকে দিগন্তের ওপারে
নিষ্পেষিত নিগৃহীত নিপীড়িত মানুষের তরে
তাঁর বর্জ্রকণ্ঠে উচ্চারিত সেই পঙতিমালা
 (বঙ্গবন্ধু : “আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকের উপর হত্যা করা হয়
তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইলো... প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল,
তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।
মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা ”)
জয় বাংলা....
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা,
সদ্য স্বাধীন আমাদের এই বাংলা;
তখনো চারিদিকে বারুদের গন্ধ, খাদ্য ঘাটতি প্রায় ৩০ লক্ষ টন।
বুভুক্ষু সন্তানের মুখ তারে কাঁদায়, কষ্টের বিষণœতায়।
ছুটে যান ভিনদেশে, দুয়ারে দুয়ারে
কেউবা দেয় কিছু, কেউবা মুখ ফিরায়
জনকের যাতনা কেবলি বুঝেন জনক
শাবকেরে করে হুঁশিয়ার
কষ্ট লুকিয়ে বুকে আদেশের সুর মেখে সন্তানেরে বুঝায়
“ভাত খেতে হলে পয়দা করতে হবেরে তোর
 যেতে হবে আরো দূর, কৃষি বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।   

মুক্তি নাই মুক্তি নাই
কৃষি ও কৃষকের উন্নতি ছাড়া মানুষের মুক্তি নাই।
মওকুফ হয় ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা,
তুড়িতে উড়িয়ে দেন তিনি বাংলার কৃষকের বিরুদ্ধে করা
কৃষি ঋণের সার্টিফিকেট মামলার হুলিয়া।
খাসজমি বিতরণ হয় ভূমিহীন কৃষকের মাঝে
ভুমি ব্যবস্থাপনার সুষমবিন্যাসে ভেঙে যায়
পাকিস্তানী শাসক-শোষকের সেই জমিদারি- জায়গিরদারী- সরদারি প্রথার শৃঙ্খল।
কী মায়ার বাঁধনে বাঁধলেন তিনি বাংলার জনতারে...
আশার আলো ছড়ালেন ঘোর অমানিশার অন্ধকারে।
বঙ্গবন্ধু...
এতো শুধু সামান্য শব্দ চয়নের অভিঘাতে নয় !
৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দে ১০১ কোটি টাকা কৃষির জন্য হয়
বঙ্গবন্ধু! সামান্য তো নয়!
যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষি অবকাঠামো বিনির্মাণ তাঁর হাত দিয়েই হয়।
বঙ্গবন্ধু! সামান্যতো নয়!

সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তিনি
বীজ, সার, সেচ, কৃষি উপকরণ উন্নত চাষ ব্যবস্থাপনা
যুদ্ধের পর-পর কৃষক সবি পায়, তার ইশারায়।
কহিলেন তিনি, সভাসদ যতো আছো গুণধর
বাংলার মাটি উর্বর থেকে উর্বরতর
বীজ গুঁজে দিলে ফসল ফলে যায়- নির্দ্বিধায়
এখন থেকে বিলাও নিজেকে উন্নয়ন চিন্তায়।
তাঁরই আহŸানে আধুনিক কৃষি বিজ্ঞান আজো প্রাণপায়।
যার ভাবনায় কল্পনায় তারুণ্যের উদ্দিপনা
তারি তর্জনির নির্দেশে গবেষণায় মেতে উঠে মেধাবী চোখ
প্রতিষ্ঠা হয় এদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।
যুদ্ধের পর আরো একটি যুদ্ধে নিজেকে বিলিয়ে দেয় গবেষক, কৃষি কর্মী আর সম্প্রসারণবিদ।  
জনক শিখালেন যবে, সবকিছু ঠিক রবে
কৃষক বাঁচাতে হবে এই বাংলায়।
আমার কৃষক যে বড় আসহায়, বড় অসহায়।
(বঙ্গবন্ধু : “আমাদের চাষিরা হলো সবচেয়ে দুঃখি মানুষ ও নির্যাতিত শ্রেণী, তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে নিয়োজিত করতে হবে।”)

যেদিকে চোখ যায়, ফসলের মাঠে কিংবা আঙিনায়, ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠায়
বিন্দুর মাঝে সিন্ধুর গর্জন যেনো আজো শোনা যায়,
তারই তর্জনির ইশারায়।

একদিন যার নির্দেশ শুনে বিমুগ্ধ কৃষক
 লাঙ্গলের হাল ছেড়ে বারুদের গন্ধ মেখেছিল গায়।
 সম্মুখ সমরে জীবনের মায়া ছেড়ে পেশী টানটান হয়েছিল তার
এখনো সে স্বপ্ন দেখে, কল্পনায় ছবি আঁকে
জাতির পিতা ঐ দেখা যায়, যুগ যুগান্তরে কৃষকের আঙিনায়।
আজো তাঁর বজ্রকণ্ঠ ধ্বনি প্রতিধ্বনির আঘাতে বিচুর্ণ করে ঘুমন্ত মানবেরে।
তাঁরই গ্রথিত মহাকাব্যের মহা উল্লাস
বাংলার আকাশে বাতাসে আজো ছেয়ে যায়
আমাদের মহানায়ক, জাতির জনক বাংলায় ফিরে আসে বারবার
বিস্মৃতির আধাঁর চিরে মানুষের মনিকোঠায়।  

১৪৪ সবুজ বাগ লেন, মিস্ত্ররী পাড়া, খুলনা, মোবাইল : ০১৭৩১৩৬৬২৫;  ২গ্রাম : বিদ্যাবাগীশ, ডাকঘর ও উপজেলা : ফুলবাড়ী, জেলা : কুড়িগ্রাম; মোবাইল : ০১৭৩৫২০২৭৯৮