Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd অক্টোবর ২০১৭

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে ১৩৭ কোটি টাকার সহায়তা দিবে সরকার: সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2017-10-03

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ জেলার ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২০২ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে কৃষি পুনর্বাসন হিসেবে ১৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সার ও বীজ সহায়তা দেবে সরকার। হাওরাঞ্চলের ৬টি এবং উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১৮টি জেলার কৃষকরা এই সহায়তা পাবেন। আগামী সাত/আট দিনের মধ্যে এগুলো কৃষকদের হাতে পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে এ টাকা অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করা হয়েছে। ০৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, সরকারের এ সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে, আগামী বোরো উৎপাদন বাড়াতে, বোরো আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে, ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে কৃষকদের দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে এবং সমসাময়িক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে সাহায্য করবে।

 

তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুর্নবাসনে বরাদ্দ থাকছে ১১৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ বোরো মৌসুমে এসব জেলার ৬ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বোরো ধানের বীজ, ডিএপি, এমওপি সার দেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে নগদ দেওয়া হবে ১ হাজার টাকা। আর নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, শেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক লাখ ৭৬ হাজার ২০২ জন কৃষক পাবে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, খেসারী ও বোরো ধান চাষের জন্য বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার এবং শাক-সবজির বীজ। এই সহায়তা নিয়ে হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় ছয় লাখ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হবে এবং প্রতি হেক্টর জমিতে ৪.০৪৮ মেট্রিক টন হিসেবে তিন লাখ ২৪ হাজার ৪৯৫ টন চাল উৎপাদিত হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের বিক্রয় মূল্য ৪০ হাজার টাকা ধরে এক হাজার ২৯৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার চাল উৎপাদন সম্ভব হবে, এতে ব্যয়ের অনুপাতে আয় হবে ১১ গুণ। সেজন্য সরকারের প্রতি ১ টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ১১ দশমিক ৯ টাকা আয় করা যাবে বলে মাননীয় মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


মাননীয় কৃষিমন্ত্রী জানান,  সরকারি সহায়তা নিয়ে দুই হাজার ৫৩৮ হেক্টর জমিতে আট হাজার ৪২৭ টন গম উৎপাদন করে ২৫ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আয় হবে। দুই হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে ২০ হাজার ৯৭০ টন ভুট্টা উৎপাদন করে ৪১ কোটি ৯৪ লাখ সাত হাজার ৩০০ টাকা আয় হবে। ছয় হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে আট হাজার ৬৮৮ টন সরিষা উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে আয় হবে ৫২ কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। আর ২৬৭ হেক্টর জমিতে ৪২২ টন চিনাবাদাম উৎপাদন করে চার কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা আয় হবে। ৫৮৭ হেক্টর জমিতে ৬৬৬ টন খেসারী উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে আয় হবে চার কোটি ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। ১০ হাজার ৯৫৬ হেক্টর জমিতে ৪৪ হাজার ৩৫৮ টন বোরো ধান উৎপাদন করে ১৭৭ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা আয় হবে। আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।