মাননীয় শিল্পমন্ত্রী আলহাজ আমির হোসেন আমু আজ (২৬ মে) ঝালকাঠির শিশুপার্কে দু’দিনের কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ করেছেন। অথচ বিভিন্ন সরকারের আমলে সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার না হওয়ার কারণে তখন দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। আগে উত্তরাঞ্চলে বছরে দু’বার মঙ্গা হতো। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ কৃষিতে আধুনিক রূপান্তরে পরিণত হয়। এখন কোনো মঙ্গা নেই। ‘ছিয়ানব্বই সালে ৪০ লাখ মে. টন খাদ্যশস্য ঘাটতি নিয়ে আমরা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে সময় অতি খরা, ’আটানব্বই’র ভয়াবহ বন্যা সত্বেও দু’হাজার সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং দু’হাজার একে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্তদেশ হিসেবে উপহার দেই। কিন্তু এরপর আগের মতো খাদ্যে ঘাটতি শুরু হয়। দু’হাজার নয় সালে আবারো দেশ পরিচালনার সুযোগ এলে আমরা পুনরায় খাদ্যে উদ্বৃত্ত লাভ করি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ দেশ দু’হাজার একচল্লিশের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি কৃষি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে বলেন, ইতোমধ্যে দেশে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশেই এসব যন্ত্রপাতির শিল্প গড়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে তিনি ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত খাটো জাতের নারিকেলের চারা কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার মো. শাহ আলম, পুলিশ সুপার মো. জুবায়েদুর রহমান, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, ডিএই উপপরিচালক শেখ আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প’র অর্থায়নে ডিএই এ মেলার আয়োজন করে। এতে ১৪টি স্টল স্থান পায়। মেলায় আগত দর্শকের মাঝে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।