খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের সহযোগীতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উান্নয়ন বোর্ডের সম্মেলক কক্ষে এক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলার তরুন ভট্টাচার্য্য, বান্দরবান জেলার উপপরিচালক আলতাফ হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলার ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুধেন্দু শেখর মালাকার এবং প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ।
অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক, কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সঞ্চালনায় কর্মশালার শুরুতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যাবলী ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ। তিনি বলেন ২০১৩ সাল থেকে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রকল্পের আওতায় কৃষক পর্যায়ের বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। শুরুতে এই ভর্তুকির হার ৩০% থাকলেও বর্তমানে অঞ্চল ভেদে এই হার ৫০% থেকে ৭০% এ উন্নীত করা হয়েছে। যার ফলে ফসল চাষে বিভিন্ন পর্যায়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তারা পার্বত্য এলাকায় কৃষি যন্ত্র ক্রয়ের ভর্তুকির হার ৭০% উন্নীত করার আহ্বান জানান। ধান ফসলের পাশাপাশি উদ্যান ফসল চাষে এবং ভূট্টা মাড়াইয়ের মেশিন যাতে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যে ক্রয় করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথি তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, দেশে দিন দিন কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করছে। তাই কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি করা না গেলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে কৃষকরা ফসল চাষে ক্ষতিকগ্রস্থ হবে ও আগ্রহ হারাবে। তিনি ধান ফসলের পাশাপাশি পার্বত্য এলাকার সম্ভাবনাময় ফসল যেমন, কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ, কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্র প্রবর্তনের উপর জোর দেন। তাছাড়া ভর্তুকি মূল্যে যন্ত্র ক্রয়ের জন্য উপযুক্ত কৃষক যাতে নির্বাচিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান।
কর্মশালায় পার্বত্য তিন জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, ব্রি, বারি, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সমবায় অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিআরডিবি, এটিআই, বিএসআরআই, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র, এসআরডিআই, বিনা, এআইএস, কৃষি বিপণন, বাংলাদেশ বেতার, সাংবাদিক, কৃষক, কৃষি যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের খুচরা ও পাইকারী ডিলারগণ অংশগ্রহণ করেন।