মাল্টার বাগান পরিদর্শন করছেন কৃষিবিদ আমিনুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম
দেশের অন্যান্য স্থানের মত চট্টগ্রামেও সম্প্রসারিত হচ্ছে মাল্টার আবাদ। চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নিচিন্তা গ্রামের জনাব মোহাম্মদ ইউনুচ ২০১৩ সালে ৬ একর জায়গা নিয়ে শুরু করেন মাল্টার চাষ। তিন বছরের মধ্যেই তার বাগানের পাঁচশতটির অধিক মাল্টার গাছ থেকে বছরে ৫ টনের অধিক মিষ্টি মাল্টা উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে বাগান থেকে প্রতি কেজি মাল্টা ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয় । উৎপাদিত মাল্টা ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের অন্যান্য জায়গায়। ফলের পাশাপাশি বিক্রি করছেন মাল্টার চারা। গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ফলের মিশ্র বাগান। তার বাগানে মাল্টা ছাড়াও রয়েছে আম, আপেল কুল, পেয়ারা, লেবু, নাশপাতি, আঙ্গুর, মিষ্টি কামরাঙ্গা, কলা, কাঁঠাল, জলপাই প্রভৃতি ফলের গাছ। গাছ ভর্তি থোকা থোকা মাল্টা দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে এ বাগানে। দেশের মাল্টার আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মাল্টা চাষ সম্প্রসারণে সকলের সহযোগিতা আশা করেন জনাব মোহাম্মদ ইউনুচ। এ প্রসঙ্গে ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার লিটন দেবনাথ জানান, ইউনুচ সাহেব একজন আধুনিক কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কারিগরী পরামর্শে বাগানটিতে বারি মাল্টা-১, ২ এবং ইউনুচ সাহেবের নিজের সংগ্রহ করা মিশরীয় নামক একটি জাতের মাল্টার গাছ রোপন করা হয়েছে। ফলন কাঙ্খিত মাত্রার। খেতে সুস্বাদু এ মাল্টার চাহিদা রয়েছে। তার দেখাদেখি এলাকার চাষীরাও মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশা করা যায় ফটিকছড়িতে মাল্টার আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।