Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের উদ্যোগ


প্রকাশন তারিখ : 2015-12-27

বছরব্যাপী ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে হবে। ফলের চাষ বৃদ্ধি করে বিদেশি ফলের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশি ও রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ফার্মগেটস্থ  আ.কা.মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা-২০১৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ দেশের ঐতিহ্যবাহী বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলোকে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সেজন্য দেশীয় ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও উদ্যান ফসল উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে। এ কারণে পাহাড়ি ও উপকূলীয় জমিতে ফলের গাছ রোপণ ও বসতভিটাকে উদ্যান ফসলের আওতায় আনতে হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারা বছর ফল চাষ হলে রাসায়নিক মুক্ত নিরাপদ ফলের আড়ৎসহ স্থানীয় বাজার গড়ে উঠবে এবং দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

 

দেশের ৭টি বিভাগের ৪৫টা জেলার ৩৬২টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৬০টি হর্টিকালচার সেন্টারের আওতাধীন উদ্যান ফসল উৎপাদনের জন্য অধিক উপযোগি এলাকা প্রকল্প হিসেবে নির্বাচন করা হয়। পার্বত্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যান্য জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। জুলাই ২০১৫ হতে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ বছর প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময়সীমায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৫ লক্ষ পরিবার সুবিধা ভোগ করবে। সারা বছর ধরে ফলন পাওয়া যায় এমন ফলের জাত সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, হর্টিকালচার সেন্টার সমূহের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের ফল চাষ ও আহারের গুরুত্ব ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হবে। প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার বাণিজ্যিক বাগান প্রদর্শনী, ৩ হাজার মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনী, ১ হাজার ড্রাগন ফল বাগান প্রদর্শনী, ১৫ হাজার বসতবাড়ি প্রদর্শনী, ৫০ হাজার খাটো জাতের নারকেলের বসতবাড়ী প্রদর্শনী, ২৫০টি অপ্রচলিত ফলবাগান/নতুন প্রদর্শনী, ৩০০টি বিদ্যমান প্রদর্শনী পরিচর্যা কেন্দ্র, ৫০টি আধুনিক সেচ প্রদর্শনী, ৫০টি সোলার, ৫০টি ড্যাম প্রদর্শনী ও ১টি ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাও ১টি আরবান সেলস সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়া ২ লাখ ১০ হাজার কৃষক, ১২ হাজার নার্সারি মালিক ও বিক্রেতা, ৯০০ জন মালি, ১৫০০ জন এসএএওকে পুষ্টি সচেতনতা ও আধুনিক উদ্যান ফসলবিষয়ক প্রযুক্তি, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সবধরনের ফলের পাশাপাশি দেশীয় আবহাওয়ার উপযোগী উৎপাদনযোগ্য বিদেশি ফলের উৎপাদনও বাড়ানো হবে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ। অভিজ্ঞতার আলোকে বছরব্যাপী ফল উৎপাদন কৌশলের উপর আলোকপাত করেন ডিএই’র সাবেক মহাপরিচালক এম. এনামুল হক। এছাড়াও হর্টিকালচার সেন্টারের প্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধির বক্তব্য তুলে ধরা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব জনাব শ্যামল কান্তি ঘোষ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) জনাব মো. মোশারফ হোসেন। দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানে সরকাররের নীতিনির্ধারনী উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষক, স্থানীয় উদ্যোক্তা, কৃষক এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।