খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কর্মকর্তাদের ২ দিনের এক প্রশিক্ষণ আজ ২৪ জুন ২০১৬ খ্রি; তারিখে শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের রাঙ্গামাটি জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট গাজীপুরের ফার্ম মেশিনারি ডিভিশনের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ডঃ আব্দুর রহমান, খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উপ- প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম শেখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ বলেন, কৃষি উৎপাদনে আগের পদ্ধতির চেয়ে বর্তমানে অনেক আধুনিক কলাকৌশল, প্রযুক্তি, উৎপাদন উপকরণ ব্যবহত হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে কৃষি শ্রমিকের প্রাপ্যতা কমে যাওয়া ও মজুরী বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। যেজন্য কৃষকদের আর্থিকভাবে ক্ষতির ঝুকি সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সরকার প্রদত্ত ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি যাতে অত্র অঞ্চলের কৃষকরা পেতে পারে সে বিষয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা রাঙ্গামাটি অঞ্চল যেহেতু অনগ্রসর তাই এখানে ভর্তুকির পরিমাণ অন্য অঞ্চল অপেক্ষা বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান। তাছাড়া যে সমস্ত কৃষক এ সমস্ত কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করবেন তাদের যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানেরও অনুরোধ করেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর কারিগরি পর্বে বিভিন্ন খামার যন্ত্রপাতির পরিচিতি, ব্যবহার কৌশল, রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী ও কৃষি প্রকৌশলী সহ অঞ্চল ও জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। প্রশিক্ষণে রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ৩ টি জেলার ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।