রাজশাহী জেলার পান বরজ খ্যাত দুর্গাপুর উপজেলার বহরমপুর আইপিএম ক্লাব প্রাঙ্গনে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগ ও রাজশাহী ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর ঋণ সহায়তা কর্মসুচির আওতায় গতকাল ১০/০৪/১৭ইং তাং সয়েল হেল্থ ভার্মি কম্পোষ্ট ফার্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ড, আকরাম হোসেন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সয়েল হেল্থ ভার্মি কম্পোষ্ট ফার্ম এর শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, ভার্মি বা কেঁচো কম্পোষ্ট সার হচ্ছে একটি উৎকৃষ্ট মানের একর ভিতরে তিন মাত্রার জৈব সার যা মাটির উর্বরা শক্তি, পানি ধারণ ক্ষমতা ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। তিনি পান বরজ ও পান উৎপাদন খ্যাত দুর্গাপুর উপজেলার প্রত্যেক চাষিদের ঘরে ঘরে ভার্মি কম্পোষ্ট কারখানা গড়ে এ সার পান বরজসহ অন্যান্য ফসলে ব্যবহারে উপস্থিত কৃষক ভাইদের উদাত্ব আহবান। সেইসাথে ৪% সুদে ঋণ সহায়তা দানে এগিয়ে আসার জন্য রাজশাহী ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।
বহরমপুর আইপিএম ক্লাবের সভাপতি মাইনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দেব দুলাল ঢালী, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সাদাত, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামানিক ও রাজশাহী রিজিওন্যাল ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর প্রেসিডেন্ট আলী হায়দার মর্তুজা।
কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এলাকার আদর্শ পান চাষি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, । কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগীতায় পচা গোবরের পরিবর্তে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করে এখন আমরা পানের ফলন ও পানের পচন রোধে বেশ উপকার পাচ্ছি। বিশেষ অতিথি ড, বিমল প্রামানিক বলেন, অত্র উপজেলায় প্রায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে পানের বরজ রয়েছে। প্রায় পান চাষি ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। স্বল্প সুদে সর্বচ্চ ১ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দিয়ে সহযোগীর জন্য ব্যাংক কতৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এলাকায় প্রায় ১০০ জন কৃষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এলাকায় আরো ১০টি ভার্মি কম্পোষ্ট গড়ে উঠেছে, যেখান থেকে প্রতি মাসে ১৫Ñ২০ মন ভার্মি কম্পোষ্ট বিক্রি ও ফসলের জমিতে ব্যবহার হচ্ছে।
সভাপতি বলেন, প্রায় ২ কাঠা ফর্মে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ২৫০ টি বড় আকারে চাড়ি বসানো হয়েছে যা থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজার কেজি ভার্মি কম্পোষ্ট পাওয়া যাবে। এটি একটি লাভজনক সার, যা গড়ে প্রতি কেজি ১৫/-টাকা দরে বিক্রি হলে ৭৫ হাজার টাকা উপার্জন হবে। তিনি আরো বলেন, এটি শুধু আর্থিক ভাবে লাভজনক নয় সার্বিক ভাবে ফলপ্রসু। তিনি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ক্লাবের সকল সদস্যসহ শতাধিক পানচাষি উপস্থিত ছিলেন।