কৃষি মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য খরিফ ২০১৬-১৭ মৌসুমের প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার জেলার আট উপজেলার সর্বমোট ৫০০০ জন কৃষকের মাঝে আউশ প্রণোদনার উপকরন বিতরন করা হচ্ছে। এর মধ্যে চকোরিয়ায় ১১০০ জন, পেকুয়ায় ১১৫০ জন, রামুতে ১০০ জন, সদর উপজেলায় ৫০০ জন, উখিয়ায় ১০০ জন, টেকনাফে ৫০ জন, মহেশখালীতে ৫০০ জন এবং কুতুবদিয়ায় ১৫০০ জন কৃষক এ প্রনোদনার আওতায় এসেছেন। আউশ প্রণোদনা বাবদ কক্সবাজার জেলায় বিআর-২৬, ব্রিধান-৪২, ব্রিধান-৪৮, ব্রিধান-৫৫, কুদরত এই পাঁচটি জাতের সর্বমোট ২৫ মেঃটন আউশ ধানের বীজ; ১০০ টন ইউরিয়া, ৫০ টন ডিএপি, ৫০ টন এমওপি সার এবং সেচ সহায়তা বাবদ সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকা কৃষকের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। তাছাড়া নিরাপদ সবজী উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানের জন্য জৈবিক পদ্ধতিতে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের জন্য ৫০ টি সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ প্রদর্শনী ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ৪৫ টি ধৈঞ্চা প্রদর্শনীর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর উপপরিচালক জনাব আ ক ম শাহরীয়ার বলেন, ইতিমধ্যেই বীজ সার সহ সমস্ত উপকরণ চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সেচ সুবিধা বাবদ ৪০০/- টাকা কৃষকের মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এজন্য প্রতি উপজেলায় মোবাইল একাউন্ট খোলার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে সেক্স ফেরোমন ট্রাপ কুমড়াজাতীয় ফসলে স্থাপন করা হয়েছে এবং ধৈঞ্চা বীজ বপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিপূর্বে শুধু চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে আউশের চাষ করা হত। বাকী তিন উপজেলা- সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় কোন আউশের চাষ হত না। কিন্তু আউশ প্রণোদনা দেওয়ার ফলে কৃষক বেশ উৎসাহের সাথে আউশ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আশা করা যায় এ প্রণোদনা কক্সবাজার জেলার কৃষকদের আউশ ধান আবাদ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। উল্লেখ্য, জেলায় ২০১৫-১৬ ইং আউশ মৌসুমে ২৪৬৭ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ হয় যা থেকে মোট ৬৪০০ মেঃটন ধান উৎপাদিত হয়।