কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আয়োজনে এবং চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার সহযোগিতায় আজ ৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রকল্প কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক ‘আঞ্চলিক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. ছারওয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ প্রনব ভট্টাচার্য্য।
সভার শুরুতে কৃষিবিদ মো: ছারওয়ার জাহান প্রকল্পের কার্যক্রম অগ্রগতি ও পর্যালোচনা বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন প্রকল্পটি দীর্ঘদিন যাবৎ সারা দেশব্যাপী চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের লক্ষে বিভিন্ন সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম সফলতার সংঙে বাস্তবায়ন করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহার নিশ্চিত করা অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রদর্শণী বাস্তবায়নে কৃষক দল গঠনপূর্বক কৃষক দলের মাধ্যমে প্রদর্শণী বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর ফলে উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে দক্ষ কৃষক তৈরি হবে ও কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহে কার্যকর চ্যানেল তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রদর্শণী ক্ষেতে চারা লাগানো থেকে বীজ ধান কর্তণ, মাড়াই, ঝাড়াই, গ্রেডিং ও সংরক্ষণের প্রতিটি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারের সংশ্লিষ্টতা থাকলে উৎপাদিত বীজের সঠিক মান বজায় রাখা সম্ভব হবে। কর্মশালায় উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের প্রকল্প কার্যক্রমের অগ্রগতির উপর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে অংশগ্রহনকারীরা প্রদর্শনী স্থাপনে পার্বত্য এলাকার উপযোগী জাত নির্বাচনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়া প্রদর্শনীভূক্ত কৃষকদের পর্যাপ্ত উপকরণ সহায়তা এবং উৎপাদিত বীজ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা এবং বীজের সঠিক মূল্য পাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য বলেন ভালো ফলনের জন্য ভালো বীজের কোন বিকল্প নেই। এই প্রকল্পের কার্যক্রমের ফলে কৃষক পর্যায়ে ভালো বীজ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি তথা খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তিনি সঠিকভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদারকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কর্মশালায় রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস এর কর্মতর্কাবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।