বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত তিনদিনের বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা গত ১২ মার্চ শেষ হয়েছে। মেলার উদ্বোধনীদিনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আলহাজ মো. গাউস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আকরাম হোসেন এবং কর কমিশনার মো. জাহিদ হাসান। বিভাগীয় প্রশাসন আয়োজিত এ মেলায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মনির হোসেন হাওলাদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাডভোকেট এস. এম. ইকবাল প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ২০০৯ সালে বিশ্বনন্দিন আইটি বিশেষজ্ঞ সজিব ওয়াজেদ জয় যখন দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তখন কেউ কেউ ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিলেন। সেই নিন্দুকদের পরাজিত করে আজ বাংলাদেশ ডিজিটালাইস্ট। আগে ডাক বিভাগের মাধ্যমে টাকা পেতে অনেক সময় লাগতো, কিন্তু এখন মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই চলে আসে। আমাদের জরুরি সংবাদ পৌঁছানোর উপায় ছিলো টেলিগ্রাম। এখনতো হাতে হাতে মোবাইল আর ল্যাপটপ। এরকম উদাহরণ অনেক দেয়া যাবে। তিনি সেবার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল প্রক্রিয়ার জন্য সেবা পেতে এখন আর সময়ক্ষেপণ হয় না। খুব কম সময়ের মধ্যে যে কোনো কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ডিজিটালের কারণে কাজ কেবল দ্রুতই হয় না, আরো আছে নানান সুবিধা। এতে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি হ্রাস পায়। মেলায় ৬ জেলার ৫৪ টি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী ৭৬টি স্টল স্থান পায়। এর অন্যতম ছিলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়ন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের সমন্বিত স্টলে কৃষি বিষয়ক চলচ্চিত্র, কৃষি কল সেন্টার, এআইসিসি, ই-কৃষি, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, এসএমএস, ফেসবুক এসব সেবা পেয়ে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সৃষ্টি করে।