কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা দুটোই বেড়েছে। এতসব সাফল্যের পরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে আবাদের জমি কমছে। এ অবস্থায়, উৎপাদনের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ান যায় তা দেখতে হবে। ধানের নতুন উদ্ভাবিত জাত-যেগুলোর উৎপাদনশীলতা বেশি তা দ্রুত কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন বেশি-এটিকেও আরও সম্প্রসারিত করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভাল হয়েছে। দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছর উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। একইসাথে, কৃষক যাতে পেঁয়াজের ভাল দাম পায়- সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখা হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৫.৫০%। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩.৮২%।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সাথে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কি প্রভাব পড়েছে ও কি ফলাফল এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভাল না আসলে প্রজেক্ট করে লাভ হবে না।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি