Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ মে ২০২২

ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে সহযোগিতা করবে ইরি// দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2022-05-10

ঢাকা, ১০ মে ২০২২
লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল (স্ট্রেস টলারেন্ট) ধানের জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায়  বাংলাদেশকে আরও বেশি করে সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। এছাড়া, ভারতের বারানসিতে অবস্থিত ইরি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসে স্থাপিত বিশ্বমানের গবেষণাগারে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। 

আজ মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে বৈঠকে ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া (Nafees Meah) এ কথা জানান। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভাণ্ডারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নতমানের অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে। তারপরও আরও জাত দরকার। এ বিষয়ে আমরা ইরির সহযোগিতা চাই। 
ইরির  প্রতিনিধিদল এসময় বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে জানতে চান ও রিলিজের অনুরোধ জানান। দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়টি বর্তমানে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে। 
 ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ধান সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া। 

পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশে খাদ্য সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে মাঠে ধানের অবস্থা ভাল। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ধান কাটার ফলে ইতোমধ্যে হাওরের ধান ঘরে তোলা গেছে। 

সরিষার আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ চলছে বলে জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে  ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।