গত ৩ আগস্ট, ২০১৫ খৃস্টাব্দ শেরপুরের শের দারোগালী পার্ক চত্বরে বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা এবং কৃষি প্রযুক্তি মেলা- ২০১৫ এর উদ্বোধন করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপ-পরিচালক ড. এম এ ছালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. এম এ পারভেজ রহিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মো. আব্দুল ওয়ারিশ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব গোবিন্দ রায় এবং শেরপুর সদর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব ড. এম এ পারভেজ রহিম বলেন, আমাদের পুুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল থাকা আবশ্যক। তিনি বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বনায়নের মাধ্যমে তাকমানো যেতে পারে। অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরএর উপ-পরিচালক ড. এম এ ছালাম তার বক্তব্যে বলেন, দেশের জনসংখ্যা যখন সাড়ে ৭ লক্ষ ছিল, তখন আ্বাদী জমি ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর। বর্তমানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে আবাদী জমি মাত্র ৮৫ লক্ষ হেক্ট্রর। এ জমিতে ফসল ফলিয়ে তা আমরা বিদেশে রপ্তানিও করছি। এ ব্যপারে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রয়াসের ফল বলে মনে করেন। তিনি কৃষি তথ্য প্রচারে কৃষি তথ্য সার্ভিসের অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, টোলফ্রি কৃষি কল সেন্টার, বিটিভির মাধ্যমে বাংলার কৃষি এবং মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান দু’টি কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখছে। তিনি কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্যবহুল নিজস্ব ওয়েবসাইটের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাভাষায় এ ওয়েবসাইটটি থেকে যে কেউ কৃষিবিষয়ক যে কোন তথ্য পেতে পারে বা সমস্যার সমাধান পেতে পারে। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা এবং কৃষি প্রযুক্তি মেলা- ২০১৫ এর উপর এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহর প্রদক্ষিণ করে।
মেলায় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬০টি স্টল স্থাপন করে।
কাজী গোলামমাহবুব
সহকারী তথ্য অফিসার (অ.দা)
কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিকঅফিস
ময়মনসিংহ।