গত ২৭ হতে ২৯ মে ২০১৬ পর্যন্ত কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুর অঞ্চলের কম্পিউটার ল্যাবে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) এর কৃষকদের নিয়ে আইসিটি বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম এবং বাংলাদেশ বেতার রংপুরের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। প্রধান অতিথি কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক বলেন বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের দোড়গোড়ায় কৃষি তথ্য পৌঁছে দিতে কৃষি তথ্য সার্ভিস মাধ্যমে সারা দেশে এ পর্যন্ত ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তিনি উপস্থিত প্রত্যেক এআইসিসি প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি কৃষি বিষয়ক যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি কল সেন্টারের ১৬১২৩ নম্বরে কল করে স্বল্প মূল্যে তথ্য নেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভুরুঙ্গামারি বানরকুটি এআইসিসি সদস্য আবু ইব্রাহিম তার সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন যেকোন উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আগামীতে এআইসিসি অন্যান্য সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান অতিথির নিকট অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকারের কৃষিতে সাফল্য ও উন্নয়ন দেশে-বিদেশে সকলের নজর কেড়েছে। এছাড়া তিনি বর্তমান কৃষির সাফ্যলের দিক তুলে ধরে তিনি বলেন সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়, ফল উৎপাদনে সপ্তম আর ধান উৎপাদনে চতুর্থ। এ জন্য তিনি সরকারের সময়পোযোগি সিদ্ধান্ত, সহযোগিতা এবং উদ্যোমি কৃষকের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ বেতার রংপুরের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশ বেতার থেকে বর্তমানে সম-সাময়িক বিষয়ে দৈনিক সকাল-বিকাল কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। দিন দিন এসব অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং অনেক আগ্রহি চাষি কৃষি বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ বেতার রংপুরে চিঠি লিখছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম বলেন বর্তমানে রংপুর অঞ্চলের প্রতিটি উপজেলা একটি করে এআইসিসি স্থাপিত হয়েছে। এসব এআইসিসি হতে মাসে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলে উল্লেখ তিনি উল্লেখ করেন। তিন দিনের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন আইসিটি উপকরণের পরিচিতি, ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ, ই-কৃষি, দৈনন্দিন কৃষিতে সমস্যা ও সমাধানে উপায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান দপ্তর হতে আগত প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মো. মারুফ মাছুম ও কৃষিবিদ মো. জাকির হাসনাৎ প্রানবন্ত পরিবেশে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।