Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ August ২০১৭

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পাঁচ দিনব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা/২০১৭ উদ্বোধন


প্রকাশন তারিখ : 2017-08-03

৩০ জুলাই থেকে গোদাগাড়ি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শুরু হয়েছে ০৫ দিনব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ মেলা চলবে ০৩ আগস্ট পর্যন্ত।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, মাননীয় সংসদ সদস্য, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) মহোদয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের সিইও ড. এফ এইচ আনসারী।  বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ-এর সম্মনিত চেয়ারম্যান মোঃ ইসাহাক, মেয়র এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। আর অনুষ্ঠানটির সভাপতির চেয়ার অলংকিত করেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. জাহিদ নেওয়াজ।

 

উদ্বোধনীর শুরুতে উপস্থিত কৃষক/কৃষাণী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং সুধীজনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফলদ বৃক্ষ মেলার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব তৌফিকুর রহমান।

 

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি সুস্থ্য-সবল জীবন-যাপনের জন্য বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুন ও ফলদ বৃক্ষের উপকারিতার উপর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তাই বৃক্ষ রোপণের উপর গুরুত্ব দিয়ে দারিদ্র বিমোচন ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে ফলদ বৃক্ষ মেলার সফলতা কামনা করেন। সেই সাথে তিনি মেলা পরিদর্শন, কৃষি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন অপ্রচলিত দেশী ফলের চারা রোপণে জন্য উপস্থিত সুধিজনদের উদাত্ত আহ্বান জানান।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি তাঁর সমাপনি বক্তব্যে মেরা হচ্ছে ঐতিহ্যের স্মারক যা আবহমান কাল থেকে চলে আসছে, তবে এ মেলার গুরুত্ব ভিন্ন প্রকৃতির। এ মেলা প্রকৃতির মেলা, এ মেলায় এক একটি বৃক্ষ এক একটি জীবন্ত বীমা, যা রোপণে নিজ তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে সাহায্য করে।।

 

৫ দিন ব্যাপী মেলায় কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, বিএমডিএ, ফল গবেষণা, এসিআই এগ্রিবিজনেস, বায়ার ক্রপ সায়েন্স, ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারীসহ ৬৫ টি স্টল অংশ গ্রহন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি ছাড়াও  ৭০০ জন কৃষক/ কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠান শেষে ফলদ বৃক্ষ রোপণের জন্য পেয়ারার চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।