কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ গত ১৮ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জ জেলার টুংগিপাড়া উপজেলার কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শনের উদ্যেশ্যে উপজেলা কৃষি অফিসে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন । টুংগিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. এইচ এম মনিরুজ্জামান মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। সচিব উপজেলা সংলগ্ন বছরে চার ফসলের সরিষা প্রদর্শনী ক্ষেত পরিদর্শন করেন । এর পর গোপালগঞ্জ সদরের ধাপে সবজি চাষ প্রত্যক্ষ করেন এবং বিনা উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কাশিয়ানীতে স্থাপিত নতুন হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সেন্টারের উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন । এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালাক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান, ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ মো.খসরু মিয়া ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ, কৃষিবিদ সমীর কুমার গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন ।
কৃষি সচিব মহোদয় ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বিল গোবিন্দপুর গ্রামে কৃষক পর্যায়ে কলমের বেল কৎবেল বাগান, ড্রাগন ফলের বাগান এবং মশাউজান গ্রামের বারি৪ আম বাগান পরিদর্শন করেন । সচিব বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ফলসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিকেলে কৃষি সচিব মহোদয় ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার পদ্মাঘর গ্রামে স্থানীয় কলেজ প্রাঙ্গণে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ফল ব্যবস্থাপনার উপর কৃষক, কৃষানি, ছাত্র, শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন । মাননীয় সচিব বলেন মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে ফল চাষের বিকল্প নেই । তিনি দেশি সবরি কলার জাত চিহ্নিত করন, সংরক্ষন ও উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন । চাষি সমাবেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান, বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড.আবুল কালাম আজাদ, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ফরিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চল, যশোর কৃষিবিদ খায়রুল আবরার, উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ কৃষিবিদ শাহ মো. আকরামুল হক সহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধতন কৃষি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন ।