মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণসহ প্রতিটি সেক্টরকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। বন ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের নানামূখী কর্মসূচী প্রণয়নের ফলে দেশে গাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই। বৃক্ষের মাধ্যমে জীবনের অস্তিত্ব আমরা খুঁজে পাই। জনগনের ব্যাপক অংশগ্রহনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীকে আরো বেগবান করতে হবে। মন্ত্রী গত ২২ জুলাই সকাল ১০টায় খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৭ এর উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বৃক্ষরোপণের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘বৃক্ষ রোপণ করে যে, সম্পদশালী হয় সে’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ বৈচিত্রময় ফলের দেশ। অধিকহারে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা, সম্পদ সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হবে। বৃক্ষ র্কাবন ডাই অক্সাইড শোষন করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন যা আমরা গাছ থেকে পাই, এজন্য বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি পরিত্যক্ত ও খালি জায়গায় গাছ লাগাতে হবে। গাছ লাগাতে সকল মানুষকে আরো বেশী করে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। তিনি বৃক্ষ নিধন থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং ১টি গাছ কাটলে ৩টি করে গাছ লাগাতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। পরে প্রতিমন্ত্রী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চারা বিতরণের কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপ পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোঃ আবু হেনা ওয়াহিদুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ ও খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হুসাইন চৌধুরী। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশির উল আল মামুন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা নার্সারী মালিক সমিতির সহ সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ। পরে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্ভোধন করেন।
এর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ এবং জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানের নেতৃত্বে শহীদ হাদিস র্পাক হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ মাঠে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগসহ বিভিন্ন নার্সারীর মোট ৫২টি স্টল রয়েছে।পরে প্রতিমন্ত্রী খুলনার দিঘলীয়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ৩দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্ভোধন করেন।