আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আসফ’-এর চেয়ারম্যান ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এনামুল হক আইয়ুব ধামরাইয়ে তার গ্রামে এক একর জমিতে গড়ে তুলেছেন শখের মিশ্র ফলবাগান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উত্পাদন প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠা ফলবাগানটিতে রয়েছে প্রায় ১০০ বারি-১ জাতের মাল্টা গাছ, ভিয়েতনামি নারকেল, বীজহীন লেবু, পেয়ারা ও সাত জাতের আমগাছ। সারা বছর ফলের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যেই বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে। জাত নির্বাচন, চাষাবাদ ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে পরামর্শ সহায়তা দিয়ে চলেছেন ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল হাসান। বাগানে মাল্টার ফলন দ্বিতীয় মৌসুমে পা রেখেছে। প্রতিটি গাছের শাখায় শাখায় মাল্টার ফলন বাগানটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। এমন ফলন মাল্টা চাষে সাফল্যের হাতছানি হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তা।
উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্যা গ্রামে সেই বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে কেবল মাল্টা আর মাল্টা। বাগান মালিক এনামুল হক আইয়ুব বলেন, বারি-১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল এবং লাভজনক। আশা করি যুবসমাজ ও চাষি ভাইয়েরা বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করে লাভবান হবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল হাসান বলেন, দেশে চাষোপযোগী বারি-১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল, সুস্বাদু ও লাভজনক। এ জাতের মাল্টা চেনার উপায় এর রং সবুজ, প্রতিটি মাল্টার পেছনে অবশ্যই পয়সার মতো গোলাকার চিহ্ন থাকবে। প্রতিটি গাছের মাল্টা বিক্রি করে পাওয়া যাবে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। চাষি ও যুবসমাজ এ জাতের মাল্টা চাষে ঝুঁকলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে।
সংবাদ সংগ্রহ:
কামরুন্নাহার কাঁকন, টিপি
কৃষি তথ্য সার্ভিস, ঢাকা অঞ্চল।