Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ August ২০২১

বরিশালে আউশ মৌসুমে বপন পদ্ধতিতে চাষকৃত ব্রি ধান৮২’র ফলনে কৃষি কর্মকর্তারা মুগ্ধ


প্রকাশন তারিখ : 2021-08-19


আউশ ধানের একটি বৃষ্টিনির্ভর মৌসুম। এসময়ে উৎপাদিত ধানসমূহের অপর নাম আষাঢ়ী  ধান। এ ধান চাষে খরচ কম হয়। আলাদা সেচেরও প্রয়োজন হয় না। তাইতো এটি পরিবেশবান্ধব,  কৃষকবান্ধবও বটে। সেচ নির্ভর বোরো ধান প্রবর্তনের আগে আমনের পরেই ছিল আউশের স্থান। বর্তমানে এর অবস্থান তৃতীয়। তবে ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার এ মৌসুমের উৎপাদন এরিয়া ও ফলন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কাজেই আউশ মৌসুমের কদর আবারও বেড়েছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়াতে কৃষকের নিকট এ মৌসুমের সমাদর সবসময়ই ছিল। যদিও এসময়ে উৎপাদিত ধানসমূহের ফলন বেশ কম। বেশিরভাগ ধানই স্থানীয় জাতের।  বিষষটি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এ মৌসুমে চাষ উপযোগী বেশ কয়েকটি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে ব্রি ধান৪৮ কৃষক পর্যায়ে বেশ সমাদৃত। তবে সম্প্রতি উদ্ভাবিত ব্রি ধান৮২ ও ব্রি ধান ৯৮ কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় হবে এমটিই আশা করছেন ধান বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদগণ। এ  লক্ষ্য নিয়েই এবারের আউশ মৌসুমে বরিশালস্থ ব্রির চরবদনা খামারে ব্রি ধান৪৮ এর পাশাপাশি ব্রি ধান৮২ ও ব্রি ধান৯৮ চাষাবাদ করা হয়। জমিগুলো নিচু থাকায় পার্শ্ববর্তী নদী থেকে পলি-বালি-মাটির মিশ্রণ দিয়ে তা ভরাট করে সরাসরি বীজ বপন করা হয়। ধান পরিপক্ক হওয়ায় ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয় গত ৯ আগস্ট চরবদনা খামারে ব্রি ধান৮২ এর কর্তন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরিশাল অঞ্চলের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম বলেন,  আউশ মৌসুমে ধান চাষযোগ্য সকল জমি আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর অন্যতম কারণ সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমনটি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, পানি বা বৃষ্টির স্বল্পতায় প্রচলিত জাতগুলোর ফলন কাঙ্খিত হয় না। কিন্তু এ খামারে বোনা পদ্ধতিতে চাষকৃত ব্রি ধান৮২’র ফলন আমাকে আশান্বিত করেছে। কৃষকের নিকট এ জাতটি সমাদৃত হবে। আগামী আউশ মৌসুমে এ জাতটি চাষিদের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি বরিশাল কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত এলাকায় বৃষ্টির অভাব বা ট্রান্সপ্লান্ট সম্ভব নয়, সেখানে বোনা পদ্ধতিতে এ ধান চাষ করা যাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ গোছা নিশ্চিত করতে পারলে কাঙ্খিত ফলন পাওয়া সম্ভব। আজকে চরবদনা খামারে কর্তন পরবর্তী ৫.৭২ মে.টন/হেক্টর (ধানে) ফলন সকলকে মুগ্ধ করেছে। কৃষক কৃষাণিদের একটু উঁচু জমি, যেখানে প্রথম ১৫/২০দিন জলাবদ্ধতা হবে না, তা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে। ব্রির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিএই বরিশালের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. ফজলুল হক, পটুয়াখালীর উপপরিচালক একেএম মহিউদ্দিন, বরগুনার উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ ও পিরোজপুরের উপপরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এতে ডিএই, ব্রি, এআইএস, এটিআই ও বিনার বিভিন্ন পর্যায়ের ৫০জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।