জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) রংপুর উপকেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর সদরের আয়োজনে নজিরহাট পক্ষীফান্দা গ্রামে জলমগ্ন সহিষ্ণু বিনা ধান-১১ এর ওপর এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় আদর্শ কৃষক প্রফুল্ল নাথ বর্মণের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ স.ম. আশরাফ আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মো. আফতাব হোসেন, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. সাইখুল আরেফিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম, বিনা’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ কৃষিবিদ কৃষিবিদ মো. তানজিলুর মন্ডল প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্রে নিত্য নতুন সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এজন্য তিনি জলবায়ুর প্রতিঘাট সহনশীল জাতগুলো চাষের প্রতি বেশি জোর দেয়ার আহবান জানান। জলমগ্ন সহিষ্ণু বিনা ধান-১১ স্বল্প জীবন মেয়াদী হওয়ার এ ধান কেটে এ অঞ্চলের কৃষক ভাইয়েরা সহজেই গম-সরিষা বা আলু আবাদে যেতে পারবেন তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কৃষক-কিষাণীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. মকবুল হোসেন, শেফালী রানী প্রমুখ। কৃষক মো. মকবুল হোসেন বলেন, বিনা ধান-১১ স্বল্প মেয়াদী জীবনকালের হওয়ার ধান-খড় উভয়েরই দাম বেশি পাওয়া যায়। এক আটি খড় বলেন ১০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাঠ দিবসে প্রায় শতাধিক কৃষক-কিষাণী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে অতিথিবর্গ প্রদর্শনী প্লটের ধান কর্তন করেন। এতে ১২০ দিনে হেক্টর প্রতি ফলন ধানে ৫.৮ মেট্রিক টন বা চালে ৩.৮ মেট্রিক টন পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মমতা সাহা।