কৃষি সচিব ওয়হিদা আক্তার বলেছেন, লবণাক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ব্যপক সম্ভবনা রয়েছে। মিষ্টি পানি সংরক্ষেণের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে উপকুলীয় এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার সারে ভূর্তুকীর পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে সারের ব্যবহার পরিমিত করতে পারলে আলুসহ অন্যান্য ফসল সংরক্ষণ করা সহজ হবে। দেশে কৃষি উৎপাদন অব্যহত রাখতে অনাবাদি পতিত জমিকে চাষের আওতায় এনে প্রতি ইঞ্চি জমি সদ্ব্যব্যবহারে মাঠ পর্যায়ে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন। কৃষি সচিব ২২ মার্চ দপুরে খুলনার আভা সেন্টারে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কৃষি সচিব এ সময়ে বলেন, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি সমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হবেন ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পের কার্যক্রম ও স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি। এসময়ে বিএডিসি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, ডিএই সরেজমিন উইং পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায়, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ এবং সাবেক মহাপরিচালক ও এসএসিপি কনসালটেন্ট কৃষিবিদ মোঃ হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কৃষি সচিব স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রোজেক্টের বার্ষিক তদারক ও পর্যালোচনা বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সকালে কৃষি সচিব গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট,সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। কর্মশালায় খুলনা কৃষি অঞ্চলের চার জেলার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি উদ্যক্তা ও প্রগতিশীল কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।