Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

খুলনাতে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা ১৭ অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-12

তিন দিনব্যাপী খুলনা উন্নয়ন মেলা গত ১১ জানুয়ারী সন্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলার শেষ দিনেও মেলায় দশর্নাথীদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়। মেলায় আগতরা আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় প্রদর্শিত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের সেবা জাতীয় উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে খুলনার চলমান উন্নয়ন চিত্র ছিল বেশ আকর্ষনীয়। দশর্নাথীরা সেই সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জানতে পেরে হয়েছেন অভিভূত। শেষ দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দুপুরে উন্নয়ন মেলা ১৭ উপলক্ষে এসডিজি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে সেমিনার মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিভিল সার্জন ডা.এসএমএ আব্দুর রাজ্জাক এবং পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন।

এদিকে সন্ধায় মেলা প্রাঙ্গনে সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো:আব্দুস সামাদ। জেলা প্রশাসক মো: নাজমুল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, খুলনা সিভিল সার্জন ডা.এসএমএ আব্দুর রাজ্জাক এবং পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা। স্বাগত বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: জাহাঙ্গীর আলম। মেলায় ১১০টি স্টলের মধ্যে ৫টি বিভাগকে পুরষ্কৃত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে স্থাস্থ্য বিভাগ, দ্বিতীয় জাতীয় রাজস্ব র্বোড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন খুলনা, তৃতীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত দপ্তর সমূহের স্টল, চতুর্থ ওজাপাডিকো এবং পঞ্চম স্থান অধিকার করে বিআরটিএ, খুলনা।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা উন্নয়ন মেলা ১৭ উদ্ভোধন করেন। এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ প্রধানমন্ত্রীকে খুলনার উন্নয়নের বহুমূখী কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো জানান। বিশেষকরে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যেগ একটি মহতী উদ্যেগ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশা অর্জন করেন। এছাড়া কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষায় খুলনা অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে এগিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গাতে বিগত বছরে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানী করার কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় জাতীয় সব্জি মেলায় প্রথম পুরষ্কারপ্রাপ্ত ডুমুরিয়ার কৃষক মো. আবু হানিফ কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণে তার যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগে আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। প্রধানমন্ত্রী একজন ভিক্ষুকের সাথে কথা বলেন যিনি জেলা প্রশাসনের দেয়া সেলাই মেশিন পেয়ে সাবলম্বী হয়েছেন। খুলনা উন্নয়ন মেলা উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. অতিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনার রশীদ, জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লাসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্দ্বতন কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি এবং মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।