Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজশাহীর বাগমারায় ব্রিধান-৪৮ এর মাঠ দিবস


প্রকাশন তারিখ : 2017-09-26

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সার্বিক সহযোগিতায় রাজস্ব বাজেটের আওতায় রোপ আমন মৌসুমের ব্রিধান-৪৮ এর মাঠ দিবস কোন্দা ব্লকের মুগাইপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার বাগমারা কৃষিবিদ মো. রাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর উপপরিচালক কৃষিবিদ দেব দুলাল ঢালী মহোদয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক পিপি কৃষিবিদ মো. মোজদার হোসেন।

 

প্রধান অতিথি মহোদয় তার বক্ত্যবে বলেন, ব্রিধান-৪৮ জাতটি রোপা আউশ মৌসুমের জন্য সময় উপযোগী। কারন ব্রিধান-৪৮ জাতটির ফলন অন্যান্য রোপা আউশ ধানের চেয়ে বেশী। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমন তেমন হয় না। তিনি মাঠ দিবসে উপস্থিত সকল কৃষকদের বলেন ব্রিধান-৪৮ জাতটি আপনারা ১বিঘা করে আগামী বছর আবাদ করবেন আশা করি লাভবান হবেন। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমন হলে আইপিএম পদ্ধতি অনুসরন করে দমন করবেন। তিনি আরোও বলেন, আইপিএম অত্যন্ত সময় উপযোগী ও পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি। প্রতিনিয়ত যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশ এখন বিপর্যয়ের সন্মুখীন। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে তা বাজারজাত করে থাকে যা ভোক্তারা খায়। আর এগুলো খাওয়ার ফলে ছোট শিশু থেকে বয়স্ক মানুয় পর্যন্ত বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিশেষে তিনি যে কোন ফসল উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার না করে পরিবেশ বান্ধাব ভাবে পোকামাকড় দমন করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

 

অনুষ্টানে সভাপতি মহোদয় বলেন, কৃষি বান্ধাব সরকার রাজস্ব খাত থেকে ব্রিধান-৪৮ প্রদর্শনীটি শুধুমাত্র কৃষকদের উন্নয়নের জন্য মাঠ পর্যায়ে করেছে। আমরা মাঠে ব্রিধান-৪৮ ফলন ভাল পেয়েছি।তাই আগামীতে ব্রিধান-৪৮ জাতটি সবাই কম বেশী আবাদ করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

 

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল হাসান, ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিন কবিরাজ, কৃষি তথ্য সাভির্সের কর্মকর্তা মো. এরশাদ আলী, নরদাস ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার ইমাম হোসেন মুক্তা, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় ৫০০জন কৃষক-কিষান।