বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ চত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর ২০১৪- ২০১৫ সালের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন গত ৭ নভেম্বর, ২০১৫ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত হয়। বিনা’র মহাপরিচালক জনাব শমশের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। কৃষি সচিব বলেন, দেশের মঙ্গা দূরীকরণে বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ফসলের উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। বিনাকে আরো নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে কৃষিক্ষেত্রে আরো ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশে জলবায়ু ঘটিত নানান সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য স্বল্পকালীন ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকের মাঝে পৌঁছে দিতে পারলে একই জমিতে একাধিক ফসল ফলিয়ে দুর্যোগ এড়িয়ে যেতে পারবে। পাশাপাশি ফসলের নিবিড়তাও বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিনা’র মহাপরিচালক বলেন, বিনা একটি অন্য রকম গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আমরা ডাল, তেল, ধান, পাট, সবজি, বিভিন্ন সবজি জাতীয় ফসল ছাড়াও জৈবসার উদ্ভাবন করে থাকি। তিনি বলেন, কালের বিবর্তনে আমরা অনেক জাত হারিয়ে ফেলেছি। আমরা হারিয়ে যাওয়া জাতের জিন সংরক্ষণ করে রাখতে পেরেছি যা থেকে নতুন নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বছরে একই জমিতে ৪টি ফসল ফলিয়ে দেশের খাদ্য ও পুষ্টির অভাব দূর করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত দেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখতে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড. হোমনাথ ভান্ডারী, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, পরিচালক, বাউরেস, ময়মনসিংহ; ড. আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি; প্রফেসর ড. সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া, বাকৃবি, ময়মনসিংহ; ড. এম এ বারী, ইউ এস সিং, ইরি বাংলাদেশ প্রতিনিধি; সমীর কুমার সরকার, আঞ্চলিক পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল; কৃষক প্রতিনিধি মো. আ. করিম, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. হোসনে আরা বেগম, পরিচালক (গবেষণা), বিনা এবং ড. আজগর আলী, পরিচালক (প্রশাসন)।কর্মশালার উদ্বোধন শেষে কৃষি সচিব বিনা’র বিভিন্ন গবেষণাগার এবং মাঠ পরিদর্শন করেন। ৫ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় প্রায় তিন শতাধিক বিনা’র বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।