পাবনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যেগে আয়োজিত“ সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন” প্রকল্পের আওতায় আই.পি.এম. কৃষক মাঠ স্কুলের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষনোত্তর মূল্যায়ন ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনের ওপর এক মাঠ দিবস গত ৩১ জুলাই উপজেলার জহিরপুর পূর্ব পাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।
আই.পি.এম কৃষক মাঠ স্কুলের সাহায্যে কীটনাশক ব্যতিরেকে নিরাপদ উপায়ে সকল প্রকার ফসল উৎপাদন করা এবং অনুষ্ঠান স্থলে সাজানো ৬টি বুথের মাধ্যমে বালাই ব্যপস্থাপনা বিষয়ক ব্যবহারিক কলাকৌশল হাতে কলমে জনসমক্ষে উপস্থাপন করাই ছিল মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
পাবনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আর্থিক সহায়তায় ২৫ জন কৃষক এবং কিষানীকে ১৪ সপ্তাহ সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে এই মাঠ দিবসে তাদের নিরাপদ শস্য উৎপাদনের কলাকৌশল উপস্থিত সকলের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
মাঠ দিবসে পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন ও ভাইচ চেয়ারম্যান শাওয়ান বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, কীটনাশকের ভয়াবহতা ও নিরাপদ শস্য উৎপাদন কলা কৌশল বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, সরকারের সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এবং কৃষি বিভাগের বহুমূখী কর্মপদ্ধতি গ্রহন ও মাঠ তদারকি এবং কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। তিনি কৃষি বিভাগের নিরাপদ খাদ্য শস্য উৎপাদনের কৌশলাদি এবং প্রক্রিয়া দেখে অতিশয় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সাথে নিরাপদ শস্য উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় সকলকে এগিয়ে এসে মাঠে নিজেদের মধ্যে এর প্রয়োগ করে উপকার পেতে উপস্থিত সকল কৃষক কিষানীদেরকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ শিখন ও আই.পি.এম. কৃষক মাঠ স্কুলের কৃষক নেতা তোরাব আলী প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি জহিরপুর পূর্ব পাড়া আই.পি.এম.কৃষক মাঠ স্কুলের নব নির্মিত ক্লাব ঘর উদ্বোধন করেন এবং এ সময় প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কৃষক-কিষানীদের বিষমুক্ত সবজী উৎপাদনের নাটিকা দেখে প্রধান অতিথি সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে পাচঁ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সহ ক্লাবের উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত গরুর খামার, ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী, আউশ প্রনোদনা প্রাপ্ত কৃষকের ক্ষেত, রোপা আমনের লাইভ পারচিং কর্মকান্ডসহ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি- ধান ৭২’র ক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি চাষী পর্যায়ে ধান, গম, পাট বীজ প্রকল্পের আওতায় আবাদকৃত ব্রি-ধান ৫৬’র প্রদর্শনী ক্ষেত পরিদর্শনসহ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভাবিত বারি-৪ জাতের আম প্রদর্শনী বাগানও পরিদর্শন করেন।