নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ২০১৬-১৭ মৌসুমে রবি প্রনোদনা সহায়তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রনোদনা সহায়তার উদ্বোধন করেন ৪৬ নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: এনামুল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আমির আব্দুল্লাহ মো: ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ধান চাষের পাশাপাশি ফল বাগান স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক ফল চাষ শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে ভুট্টা ও তেল ফসল চাষ শুরু হয়েছে। তাই প্রনোদনা সহায়তা পেলে রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষি পূর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় চলতি বছরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ১ বিঘায় ভুট্টা চাষের জন্য ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং সরিষা আবাদের জন্য ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজেলায় ৭৫ জনকে ভুট্টা আবাদের জন্য ৭৫ বিঘা এবং ৬০০ জনকে সরিষা আবাদের জন্য ৬০০ বিঘায় প্রনোদনা সহায়তার আওতায় মোট ৫,৫০,৯৫০/= টাকা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মহোদয় বলেন, ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি। তাই মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে সরকার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। তিনি আরোও বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি পূর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় চলতি বছরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে প্রনোদনা সহায়তা করা হচ্ছে। উপজেলায় ধান উৎপাদনের পাশাপাশি ভুট্টা ও তেল ফসলে আবাদ বাড়াতে হবে। তাই বর্তমান সরকারের এই প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে ভুট্টা ও তেল ফসলের চাষ বৃদ্ধির আহবান জানান। পরিশেষে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার করার আহবান জানান এবং প্রনোদনা সহায়তাগ্রহণকারী কৃষকদের প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, প্রনোদনা সহায়তাগ্রহনকারী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকসহ প্রায় ৬০০ জন উপস্থিত ছিলেন।