গত ২৫ জুলাই গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৩ দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোদাগাড়ী মোহাঃ খালিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় সংসদ সদস্য রাজশাহী-১ ও সভাপতি শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থাযী কমিটি জনাব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইছাহাক আলী।
উদ্বোধনীর শুরুতে সূধীবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে ফলদ বৃক্ষ মেলার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার গোদাগাড়ী কৃষিবিদ মোঃ তৌফিকুর রহমান। তিনি মেলায় উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে কমপক্ষে ২টি করে ফলজ বৃক্ষ রোপণ করার উদাত্ত্ব আহবান জানানও মেলায় অংশ গ্রহন করার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনীর প্রধান অতিথি বলেন এই সরকার কৃষি বান্ধব সরকার বিধায় সকল প্রকার সার, কীটনাশক কৃষি কাজে ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রে ব্যাপক ভূতর্কিসহ কৃষি প্রনোদনা প্রদান করছে এবং যার ফল কৃষকগন পেতে শুরু করেছে। তিনি ফলদ ও বনজ বৃক্ষের অবদানের কথা উলে¬খ করে বলেন, ফল একটি স্বাস্থ্য রক্ষাকারি খাদ্য। যে কোন ফলে প্রচুর পরিমানে খনিজ লবণ, শর্করা ও যথেষ্ঠ পরিমানে ভিটামিন থাকে যা মানুষের দেহে শক্তি সরবরাহ ও দৈহিক গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি। তাই মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় উপযোগী ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মেলা কৃষকসহ আপামর জনসাধারনকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কাজেই প্রতিদিন কিছু না কিছু যে কোন ধরনের ফল খেতে হবে আর এজন্য বাড়িতে যে কোন ফলের গাছ থাকা প্রয়োজন। কাজেই সবাইকে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষ রোপনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে মেলা পরিদর্শণ ও মেলা থেকে কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও নতুন নতুন ধ্যান ধারনা গ্রহনের পাশাপাশি ৩টি করে ফলদ, বৃক্ষের চারাা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহবান জানান।
সভাপতি মহোদয় বলেন, এবার মেলার প্রতিপাদ্য হলো অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান। আর বিদেশী ফল নয় বেশী করে দেশি ফলের গাছ লাগিয়ে সেই সুস্বাদু ফল নিজে খাবেন এবং অতিরিক্ত ফল বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করবেন। তবেই দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। পরিশেষে তিনি মেলা থেকে বিভিন্ন জাতের কমপক্ষে ৩টি করে ফলদ ,বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
৩দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, বন বিভাগ, বি এম ডি এ, ব্যাক্তিমালিকানাধীন নার্সারীসহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন ফলের চারার গস্খাফটিং,বৃক্ষ রোপনের কলা কৌশল, দেশীয় প্রজাতির ফল প্রদর্শন বিষয়ক স্টলসহ ২১টি স্টল অংশ গ্রহন করে। উদ্বোধনী পর্বে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ৭০০ জন কৃষক কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।