রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট ভূমি ধ্বসের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের শুকুরছড়ি ও সাপছড়ি পাড়ায় ২০ জন এবং কাউখালী উপজেলার ঘাগড়ায় ২০ জন (মোট ৪০জন) ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রত্যেককে নগদ ১,০০০/- টাকা করে প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সহায়তা বিতরণ সভায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় গত জুন মাসে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে ব্যাপক প্রাণহানি সহ সৃষ্ট ভূমি ধ্বসের ফলে আবাদি জমি, পোল্ট্রি ও গবাদি পশু অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাহাড়ী ঢালের সমতল জমির উপর বালুর আস্তরণ জমায় মাটির গুনাগুন পরিবর্তণ হয়ে গেছে। এলাকার প্রচলিত ফসল চাষের উপর যার দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব রয়েছে। তিনি কৃষকদের পাহাড়ী ঢালে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ফল যেমন, আম, কাঠাল, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা, জারা লেবু, লিচু ইত্যাদি ফলের বাগান সৃজনের আহবান জানান। পাশাপাশি বসতবাড়িতে শাক-সব্জি আবাদ ও হাঁস মুরগী পালনের মাধ্যমে এক একটি পাহাড়কে এক একটি আধুনিক খামারে রুপান্তরের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন, পেশাজীবী সংগঠন হিসাবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ সব সময় এ দেশের কৃষকদের পাশে আছে। তিনি প্রাপ্ত সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ যেমন বীজ, সার, বালাইনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করে আগাম শীতকালীন শাক সব্জি চাষের উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য উপস্থিত কৃষকদের প্রতি আহব্বান জানান। সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সর্বস্তরের কৃষিবিদ সদস্যবৃন্দ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।