Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd এপ্রিল ২০১৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় জাপানি কৃষিবিদদের পরীক্ষামূলক তিল চাষ


প্রকাশন তারিখ : 2017-03-30

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে তিল চাষ সম্প্রসারণের লক্ষে এদেশের বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ এবং জাপানি কৃষিবিদদের সমন্বয়ে উপজেলায় ১১টি জাতের  তিলের ১১টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে বলে জানা যানা। ১০শতাংশের প্রতিটি প্লটে কৃষকদেরকে প্রযুক্তি, বীজ সরবরাহ এবং উপকরণ বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। জাপানী বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ  সিনজি মারুয়া এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.মো. আবিয়ার রহমানসহ একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ২৯ মার্চ দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিস পরিদর্শন করে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন এর সাথে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ব্লকে তিল আবাদ সম্প্রসারণ কল্পে তিলের প্রদর্শনী প্লট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তেলের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আনতে এবং দেশে তেলের চাহিদা পূরন সহ অধিক পরিমানে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদনের লক্ষে তিল আবাদের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ গ্রহণ করা হয়েছে। যদি দৌলতপুর উপজেলায় সফল ভাবে প্রর্দশনী প্লটে তিল উৎপাদন হয় তবে দেশে অন্যান্য জেলায়ও এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক জানা যায়, বংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট এবং পারমানুবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের তিল এবং জাপান, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের ১১ টি উন্নত জাতের তিল দিয়ে প্রতিজন কৃষককে দশ শতকের বীজ, সার প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে ১১ টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপনের মাধ্যমে তিল চাষ সমপ্রসারণ করা হবে। উৎপাদিত তিল উপযুক্ত মূল্যে ক্রয় করে আবার সেটা দেশের বিভিন্ন জেলায় বীজ হিসেবে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে। এ বিশেষজ্ঞ দল ডাল ফসলের চাহিদা মেটানো সহ অধিক উৎপাদনের লক্ষে পিরোজপুর এবং পটুয়াখালি জেলায় মুগ প্রদর্শনী প্লট স্থাপনের  কাজও করে যাচ্ছেন। এই জাতের তিলে তেলের পরিমাণ বেশি এবং আবাদের খরচ কমিয়ে কৃষকগনকে লাভবান করতে বিশেষজ্ঞ দলের কৃষিবিদগন আশা প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশে তেল এবং ডালের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে অধিক উৎপাদনের লক্ষে বিশেষজ্ঞ দল সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা এ ও বলেন, তেলের চাহিদা পূরন, অধিক উৎপাদন কৃষকদের বেকারত্ব মোচন এবং সর্বোপরি কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে তাদের এ অভিযান। সফল হলে বাংলাদেশের কৃষিতে ডাল এবং তেল উৎপাদনে একটি নতুন মাত্র যোগ হবে।