কৃষি তথ্য সার্ভিস ও এলজিইডি’র উদ্যোগে গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১১ টায় খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মিলনায়তনে সিসিআইআরপি প্রকল্পের আওতায় রুরাল রেডিও কার্যক্রম ভিত্তিক শ্রোতা সম্মেলন ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট (ইফাদ) এর সহযোগীতায় ও বাংলাদেশ বেতার, খুলনা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ। বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো. বশির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন। উপকূলের কথা অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা সুমনা সিরাজ সুমি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রোতা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকার, উপপরিচালক (গণ যোগাযোগ) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বেসরকারি সংস্থা রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন ও স্বপন গুহ। অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য দেন, আর আর আই-সিসিআইআরপি’র লিড কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট সাইফুদ্দিন আহম্মেদ সবুজ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার খুলনার উপ আঞ্চলিক পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএই উপপরিচালক বলেন, উপকূলের কথা অনুষ্ঠানটি মাত্র ১৮টি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ত এ অনুষ্ঠানের উপস্থিতি প্রমান করে এটি একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বংলাদেশ বেতারের শোতা ক্লাবের মাধ্যমে উপকূল বাসি ও আমাদের কৃষক ভাইয়েরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরো লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে লবন পানি ও মিঠা পানিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। বেতারকে শ্রোতাদের নিকট আরো আকর্ষনীয় করতে আয়োজকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শ্রোতা ক্লাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন, যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন রেজা, কপিলমুনি খুলনার রেশমা আক্তার রুমী, সাতক্ষীরার গাজী মোমিন উদ্দিন ও জি এম আক্তারুল ইসলাম, গোপালগঞ্জের বিধান চন্দ্র টিকাদার এবং বাগেরহাটের মো. রাসেল ও আমিনুর রহমান প্রমুখ। এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র থেকে অতিথিবৃন্দের নেতেৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা অঞ্চলের ৩৮টি শ্রোতা ক্লাব অংশগ্রহণ করে। এতে উপকূলের কথা অনুষ্ঠানের ১৪ পর্ব পর্যন্ত রচনা প্রতিযোগীতায় ২৪জন এবং কুইজ প্রতিযোগীতায় ১৬জনকে পুরষ্কৃত করা হয়।