Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ মার্চ ২০১৭

রাংগামাটি সদরে রাজস্ব খাতের ভূট্টা প্রদর্শণীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2017-03-09

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা-এর আয়োজনে গত ০৯/০৩/২০১৭ ইং তারিখে রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার রাঙ্গাপানি গ্রামে রাজস্ব খাতের আওতায় স্থাপিত হাইব্রিড ভূট্টা প্রদর্শণীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপ পরিচালক তপন কুমার পাল, কৃষি তথ্য সার্ভিস রাঙ্গামাটির আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আপ্রু মারমা এবং রাঙ্গাপনির কার্বারী শ্যামল মিত্র চাকমা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দ রাজস্ব খাতে স্থাপিত ভূট্টা প্রদর্শণীর ক্ষেত পরিদর্শণ করেন। এরপর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুষ্মিতা চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আপ্রু মারমা। ভূট্টা চাষের অভিজ্ঞতা, প্রাসঙ্গিকতা সম্ভাবনা এবং ভূট্টা চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা ও পরামর্শ বিষয়ে প্রদর্শণী ভূট্টা চাষী নন্দ কিশোর চাকমা তার অনুভুতি ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তপন কুমার পাল বলেন বাংলাদেশের কৃষির সর্বিক উন্নয়ন এখন দ্রুততর গতিতে এগিয়ে চলেছে। পূর্বের ঢনপোষণমূলক কৃষিকে অর্থনৈতিক কৃষিতে উত্তরনের জন্য উচ্চ মূল্যের নতুন নতুন ফসল চাষে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক তার বক্তব্যে কোন এলাকায় যেকোন নতুন ফসল চাষের ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে চাষের ব্যপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। এতে অনেক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে কাঙ্খিত ফলন লাভে অনেক সুফল পাওয়া যায়।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম হারুন-অর-রশিদ বলেন রবি মৌসুমে বোরা ধান চাষে সেচের পনি হিসেবে ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে ফসল চাষে বিভিন্ন বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে যে সকল ফসল চাষে সেচ কম লাগে যেমন ভূট্টা, গম, তরমুজ, সরিষা, মুগ ডাল, বৃষ্টিনির্ভর আউশ ধান ইত্যাদি চাষের ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য তিনি স্থানীয় কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। তাছাড়া ঘরে বসে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানান জন্য তিনি কৃষকদের কৃষি বিষয়ক মাসিক ‘কৃষিকথা’ পত্রিকার গ্রাহক হওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা বলেন হাইব্রিড ভূট্টা চাষে রোগ পোকার আক্রমন কম হয়, সেচ কম লাগে, কম খরচে লাভ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই রাঙ্গাপনি এলাকায় এর আবাদ বাড়ানো গেলে স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তণ ঘটবে। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে লাভজনক ফসল চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ, সার, বালাইনাশক ইত্যাদি সরবরাহ অব্যাহত রাখার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এলাকার সর্বস্তরের কৃষক, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।