Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

যশোরে বাঘার পাড়ার পাইকপাড়ায় ‘হাবু ধান’ পরিদর্শনে ডিজি ব্রি


প্রকাশন তারিখ : 2016-11-27

বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর মহাপরিচালক ড.ভাগ্যরানী বনিক সকাল ১১ টায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের চাষি উদ্ভাবিত হাবুবালাম ধান ক্ষেত পরির্দশনে যান। প্রথমে ডিজি মহোদয় চাষি সত্যজিৎ বিশ্বাস হাবুর বাড়ীতে কর্তনকৃত হাবু বালাম ধান প্রত্যক্ষ করেন । এর পর হাবু বালম ধান ক্ষেত পরিদর্শন করে চাষি হাবু সহ স্থানীয় শতাধিক চাষির সাথে হাবুবালাম ধান চাষে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন ।মত বিনিময়কালে চাষি গোলক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রথমে তিনি,হাবুর কাছ থেকে হাবু ধান নিয়ে চাষাবাদ করেন । বোরোতে আধা কাঠা জমিতে ৫৪ কেজি ফলন পান । চাষি লিটন কুমার অধিকারী জানান, গত আমন মৌসুমে হাবু ধান চাষ করে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করেছেন। ধরাজহাট ইউনিয়নের অল্প জমি সম্পন্ন ৪০ বছর বয়সী চাষি সত্তজিৎ বিশ্বাস হাবু তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত ডিজি মহোদয়সহ উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সামনে বলেন, ২০১০ সালে ভারতের রাজস্থানে ডাক্তার দেখাতে যান, সেখান থেকে ২ টি ধানের ছড়া দেশে এনে আমন মৌসুমে বীজতলার এককোনায় বপন করেন । বপনকৃত চারা জমিতে রোপন করে ভালো ফলন পান । এমনি করে স্থানীয় চাষিরা ভালো ফলন, চাল চিকন, স্বাদ ও চমৎকার দাম ও বেশী ।

(প্রতি মন ১০১০ থেকে ১০৪০ টাকা বিক্রি) এসব দেখে যেসব জমিতে চাষিরা ব্রিধান ৩৯ , গুটি স্বর্না ও বিনা-৭ ধানের চাষ করত তারা হাবু বালাম ধান চাষে ঝুঁকে পড়েন । উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে । এর মধ্যে ৫ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতেই হাবু ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা । স্থানীয় চাষিরা জানান, আমন মৌসুমে হাবু ধান ১২০ দিনে ফলে । ৫২ শতকের বিঘায় ৪০ মন ফলন পাওয়া গেছে । বোরোতে ১৫০ দিন সময় লাগে, বিঘায় ৪৫ মন ফলন পাওয়া গেছে । এক সিদ্ধ করে ভাত রান্না করলে একটু নরম হয় ২ সিদ্ধ করলে ভাত ঝরঝরে হয় এবং বেশী সময় রাখা যায় । প্রথমে চাষ করার সময় প্রতি বাইলে ৪০০-৪৫০ দানা পাওয়া গেছে । বর্তমানে ২৫০-৩৫০ দানা পাওয়া যাচ্ছে । গত মৌসুমে উত্তরবঙ্গের নওগা জেলায় প্রচুর পরিমানে ধান সরবরাহ করা হয়েছে । ব্রি,র মহাপরিচালক ধান, ধানের চাল, এমন কি ভাত নিজে খেয়ে হাবু ধান পর্যবেক্ষন করেন । তিনি ধান, চালের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং চাষিদের জানান, হাবু ধানের বীজ বাংলাদেশ ধান গবেষনার বিজ্ঞানীগন পরীক্ষানিরীক্ষা করে অচিরেই একটি ফলাফল জানাবেন । ব্রির ডিজির মতবিনিময় ও পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউট খয়েরতলা যশোরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড, সিরাজুল ইসলাম, বেনে পোতা সাতক্ষীরার ধান গবেষনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড, মোঃ ইব্রাহিম, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মামুনুর রহমান, উপপরিচালক বীজ বিপনন বিএডিসি যশোর মো: রোকনুজ্জামান, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খুলনার এআইসিও এস এম আহসান হাবিব,বাঘার পাড়া উপজেলার উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ উপসহাকরী কৃষি কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী, বিজন কুমার, ও মায়ামিনা খাতুনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও চাষিরা  উপস্থিত ছিলেন ।

পরে মহাপরিচালক ব্রিধান-৬৩ জাতের ১০ কেজি ধান চাষী হাবুকে প্রদান করেন।

উল্লেখ্য ২৫ নভেম্বর ২০১৬ বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা ) ময়মনসিংহ এর মহাপরিচালক ড.মোঃ শমসের আলী হাবু বালাম ধান ক্ষেত পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন।